ওয়াক্তিয়া নামাজ কি রাসুল (সাঃ) মেরাজ থেকেই এনেছিলেন?
সালাতঃ সালাত শব্দের অর্থ আল্লাহ্র সাথে অবিরত সংযোগ করার চেষ্টা করা বা সার্বক্ষণিক নামাজ। সালাতের সাথে নামাজের সম্পর্ক ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। নামাজ ফার্সি শব্দ এর আরবী অর্থ সালাত আর বাংলা অর্থ উপাসনা করা, পুজা করা, আরাধনা করা। আমরা যে চব্বিশ ঘণ্টায় পাঁচ বার সালাত কায়েম করি তার উল্লেখ কুরআন এর কোথাও নেই। কুরআন এ যে সালাতের কথা বলা হয়েছে সেটি দায়েমি সালাত। কিন্তু প্রচলিত মতে কোরআন এর দায়েমি সালাত কেই ওয়াক্তিয়া নামাজ হিসাবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ দায়েমি সালাতের কথা সূরা মাজেদে পরিষ্কার করে বলা আছে। হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) ও বলেন “আস্সালাতুল দাওয়ামি আফজালুম মিনাল সালাতিন ওয়াক্তিয়া” অর্থ “ওয়াক্তিয়া নামাজ হতে দায়েমি সালত অনেক বেশী র্মযাদাবান”। অপর দিকে কুরআন বলছে “আলস্নাজিনা হুম আলা সালাতেহিম দায়েমুনা” অর্থ “তাহারা সবসময়ই সালাতের উপর অবস্থান করে”(৭০:২৩)। দায়েমি সালাতের কথা সরাসরি কুরআনে বলা হল কিন্তু ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা ইঙ্গিতেও এক বার বলা হল না কেন? বলা হয়ে থাকে কুরআনে ৮২ বার সালাতের কথা বলা হয়েছে, আল্লাহ্ ৮২ বার দায়েমি সালাতের কথা বলতে পারলেন এক বার ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা বললে এমন কি বাড়তি অসুবিধা হতো? ইহা কি একটি অবাক করা বিষয় নয়? কত হাজারো কথা কুরআনে বলা হল, অথচ মুসলমানদের এত প্রিয় ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা এক বারও বলার প্রয়োজন হল না। দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মারিফত মৌলানা হযরত রুমি বলেন “ওয়াক্তিয়া নামাজ পথ দেখানো নামাজ কিন্তু আল্লাহ্ প্রেমিক গণ সার্বক্ষণিক নামাজে (দায়েমি সালাতে) রত থাকেন। হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) সালাতের হকিকত বলেন “হে উমার হুজুরি কল্ব ব্যাতীত সালাত সিদ্ধ হয় না। যে নামাজ শুধু রুকু, সেজদা, কেয়াম, কেরাত,সালাম এইসব শারীরিক কসরতে পর্যবসিত হয় তাতে আল্লাহ্ প্রাপ্তি হয় না। যে সকল মুসলমান সাজ সজ্জা করে লোক দেখানোর জন্য নামাজ পরে তাদে না নামাজ হয় না আল্লাহ্র সাথে মিলন
হয়! আম্বিয়া ও আউলিয়া গণের সালাতে তাদের ইদ্রিয় গুলি ও আল্লাহ্র জেকেরে ও ফেকেরে থাকে, কারণ আল্লাহ্ প্রতিটি নিঃশ্বাসের হিসাব রাখেন। হে উমার এরই প্রকৃত মুসলমান, আল্লাহ্কে এরই পাবে। তাই কুরআন বলছে “সেই ব্যক্তি মুসলমান, যে ব্যাক্তি দায়েমি সালাত পালন করে”(৭০:২২-৩৫)। তাহলে ২৪ ঘণ্টা অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে তো নামাজ আদায় করা সম্ভব নয়, তবে কি প্রকৃত মুসলমান হবার জন্য কুরআনে অন্য কোন নামাজ কে বুঝিয়েছে। কেন না বিরাম হীন ভাবে প্রচলিত নামাজ পরা তো সম্ভব নয়। কুরআন আরও বলতেছে “আমি মানুষ ও জ্বীন জাতি কে কেবল মাত্র আমার ইবাদতের উদ্দেশে তৈরি করেছি” (যারিয়াত-৫৬)। কুরানের উক্ত বাণী দুটি অনুসরণ করলে দায়েমি সালাতের বিষয় টি স্পষ্ট ভাবে ধরা পরে।
হযরত আনাস ইবনে মালিক হতে বর্ণিত হাদীসটিকে কেন্দ্র করেই ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা বলা হয়ে থাকে। একটু চিন্তা করলেই হাদীসটির আসল আর নকল বিষয় টি ধরা পরে। আল্লাহ্ না জেনে না বুঝে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করলেন, আর মহানবী (সাঃ) বোকার মত তা নিয়ে চলে আসার পথে মুসা নবীর নির্দেশে আবার ফেরত গিয়ে ৫ ওয়াক্ত কমিয়ে পূনরায়৪৫ ওয়াক্ত নামাজ আনলেন। একই ভাবে মুসা নবীর সাথে দেখা হলে তিনি মোহাম্মাদ (সাঃ) ও আল্লাহ্ পূনরায় একই ভুল করাতে মুসা নবী আবারও নামাজ কমিয়ে আনার আদেশ দিলেন। এমনি করে প্রথমে ৪৫ ওয়াক্ত, দ্বিতীয় বার ৪০ওয়াক্ত, পরে ৩৫ এভাবে ৩০,২৫,২০,১৫,১০ ওয়াক্ত সব মিলিয়ে ৪৫ওয়াক্ত কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত করলেন। বিষয় লক্ষ করুন মুসা নবীর নির্দেশে নবীদের সর্দার হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এরূপ ৯ বার আসা যাওয়া করে উম্মতের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ আনলেন। যদিও মুসা নবী আল্লাহ্র- নবীর সর্ব শেষ সিদ্ধান্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজেও সম্মতি দেননি। যদি হাদিস টি সত্য বলে ধরি, তবে আল্লাহ্ ও হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর চরিত্রকে অতিশয় ছোট করে দেখা হবে, এবং আল্লাহ্ ও হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর সিদ্ধান্তে বার বার সম্মতি না দেবার কারণে মুসা নবীকে আদব-কায়দাহীন হিসাবে ধরে নিতে হবে। অথচ কুরআন বলছে “নবীগণ আল্লাহ্র আদেশের তিল পরিমাণ সংযোজন, সংকোচন, অস্বীকার বা প্রতিবাদ করেন না”(হাক্কা-৪৪,৪৫,৪৬)। “আল্লাহ্র বিধানে কোন রদবদল হয় না”(৩৫:৪৩)। “আল্লাহ্র কথা ও কাজের কোন পরিবর্তন হয় না”(আহ্জাব)। “আল্লাহ্ কখনো অঙ্গিকার ভঙ্গ করেন না”(৩:৯)।“আমি কাউকে তার সাধ্যাতিত দায়িত্ব অর্পণ করি না”(আরাফ-৪২,২:২৮৬)। কিন্তু এই হাদীসটিতে দেখতে পাই কোরআন এর সম্পূর্ণ বিপরীত! তবে কি হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে ছোট করা এবং আল্লাহ্ ও নবীর দায়েমি সালাতের দর্শনকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এই হাদীসটি পরবর্তীতে রচনা করা হয়েছিল? কেন না হাদীসটিতে হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে উম্মতের জন্য অযোগ্য, অদূরদর্শী, জ্ঞানহীন, বানানো হয়েছে এবং স্বয়ং আল্লাহ্কেই অবিবেচক,কান্ডজ্ঞানহীন, কথার রদবদলকারী, উম্মতের উপর জুলুমকারী, ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর মুসা নবীকে শ্রেষ্ঠ নবী এবং আল্লাহ্র চেয়েও জ্ঞানী বানানো হয়েছে; যেহেতু আল্লাহ্ ও মহানবীর ভুল সিদ্ধান্ত মুসা নবী কতৃক ৯বার সংশোধিত হয়েছে! এত কিছুর পরও যদি হাদীসটিকে সত্য বলে ধরে নিতে চান তবে কুরানের বাণীগুলো মিথ্যা হয়ে যায় এবং আল্লাহ-নবীর চরিত্রের অস্তিত্ব থাকে না, আর যদি হাদীসটি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে শরিয়তের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কোন অস্তিত্বই থাকেনা।
সকল নবি-রাসূলের আমলেই ‘সালাত’ পালনের কথাটি কোরআনে বলা হয়েছে (২:১২৫,৩:৪৩,২:৮৩)। কিন্তু পূর্ববতী নবীদের অনুসারীদের মাঝে কোন আনুষ্ঠানিক ওয়াক্তিয়া নামাজ প্রচলিত ছিল না, এবং কুরআন,ইঞ্জিল, যাবুর, তাওরাত কোন গ্রন্থেই এই বিষয়ে উল্লেখ নেই। তাহলে তারা কোন্ নামাজ এবং কি রুপে আদায় করতেন? যেহেতু কুরআন তাদের সালাত পালনের কথাটি বলছে। মোহাম্মাদ (সাঃ) মক্কায় অবস্থান কালেও ওয়াক্তিয়া নামাজ প্রচলিত ছিল না। অথচ কোরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে ৮৬ টি সূরাই মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং যার অধিকাংশ সূরাতেই সালাতের কথা বলা হয়েছে। তাহলে উক্ত সুরাগুলোতে কোন নামাজের কথা বলা হয়েছে? যেহেতু তখন কোন নামাজই ছিল না! তবে কি উক্ত আয়াতগুলো এবং কুরআনে বর্ণিত সালাত বলতে ‘দায়েমী সালাত’ কে বুঝানো হয়েছে, যা পূর্বেও ছিল এখনও আছে? তা নাহলে কুরআন কেন বলছে “অতীতের সব নবীদের হ্মেত্রেও ছিল একই বিধান, তুমি কখনো কোন পরিবর্তন পাবে না”(১৭:৭৭)। যে আয়াত গুলি কে কেন্দ্র করে শরিয়তী আলেমগন নামাজের ওয়াক্ত সৃষ্টি করে থাকেন, দুঃখের বিষয় হল সেই আয়াত গুলিতে ‘সালাত’ শব্দটি নেই। আরও লক্ষ করুন, মহানবী মেরাজে নিয়ে যাবার কথাটি কুরআনে উল্লেখ আছে, কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যে সঙ্গে নিয়ে এলেন সেই গুরুত্বপূর্ণ কথা টি কোরআনে কোথাও নাই। যে নামাজ বাদ পড়লে কথিন-ভয়ঙ্কর দোজখে যেতে হবে বলা হয়ে থাকে, উম্মতের সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ নামাজের বিষয় টি আল্লাহ্ এড়িয়ে গেলেন! কিন্তু পরবর্ততে মুয়াবিয়া, এজিদ এবং উমাইয়া ও আব্বাসিয়া রাজশক্তির পোষা আলেমগণ কুরআনের ‘দায়েমী সালাত’ কে বাদ দিয়ে উহার স্থলে ‘ওয়াক্তিয়া নামাজ’ কে প্রকৃত সালাত বলে মুসলিম সমাজে চেপে দেন। মহানবীর প্রকৃত দর্শনকে সমাজ হতে মুছে ফেলার জন্যই কি পরিকল্পিত ভাবে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিলো? যেহেতু তারা ছিল মউলাইত* বিরোধী এবং নবী বংশের জাত শত্রু!
সূরা মাউনে বলা হয়েছে, “ওই সকল মুসল্লীদের জন্য ওয়াইল দোজখ যারা তাদের সালাতের বেখেয়াল, যারা লোক দেখানো নামাজ পড়ে”। যে নামাজ চর্ম চোখে দেখা যায় তাকে লোক দেখানো নামাজ বলে, কেননা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যম ছাড়া মানুষকে কিছু দেখানো যায় না! মহানবী (সাঃ) বলেন “যে মানুষটি লোক দেখানো নামাজ পড়ে সে শেরেক করে”। তিনি আরও বলেন, “এমন অনেক নামাজী আছে, পরিশ্রম ও ক্লান্তি ব্যতীত তাদের নামাজ কিছুই লাভ হয় না”। লোক দেখানো নামাজ, পরিশ্রম ও ক্লান্তি, অবশেষে শেরেক ও ওয়াইল দোজখে নিক্ষেপ এই কথা গুলি কই প্রচলিত নামাজ কে উদ্দেশ্য করে বলা হল? যেহেতু ওয়াক্তিয়া নামাজেই উক্ত বিষয় গুলি ফুটে ওঠে! এজন্যই হযরত আলী দেওয়ান বলেন “মোরাকাবার নামাজ পড়ে দেখছোনি, ভেদ না জেনে নামাজ পড়লে হয় শয়তানী”। তাইতো ইসলাম গবেষক সদরউদ্দিন আহমেদ চিশ্তী বলেন, “পাঁচ ওয়াক্তের কাষ্ঠ নামাজের উপর জোর দিয়া উহা পালন করিবার তাগিদের উপর বাড়াবাড়ি করবার অভ্যাস মোনাফেকের লক্ষণ”। এই সমস্ত বিভিন্ন কারনে হয়ত বহু উচু স্তরের অনেক ওলীগন ওয়াক্তিয়া নামাজ থেকে বিরত থেকেছেন। এমন কি মহানবীর নিকটতম বিশিষ্ট সাহাবী আস্হাবে সুফ্ফাগণ আনুষ্ঠানিক নামাজ হতে বিরত থাকতেন। বরং তাঁরা দায়েমি সালাতে তথা সার্বক্ষণিক ধ্যান সাধনায় ডুবে থাকতেন। মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন “সালাত-ই মোমেনের মেরাজ” যে নামাজে মেরাজ* হয় না তাকে কি শুদ্ধ ভাবে নামাজ বলে ধরে নেব?
সাধারণ মানুষ কেন বুঝতে চেষ্টা করেনা যে, মোহাম্মাদ (সাঃ) হেরা গুহায় কোন নামাজ বা সাধনা করার পর কুরআন নাজিল হয়েছিল? কোন ধ্যান সাধনার ফলে তিনি নবুয়ত পেলেন, মেরাজে গেলেন, শ্রেষ্ঠনবী হলেন? তখনতো ওয়াক্তিয়া নামাজের অস্তিতই ছিল না! আবার ওয়াক্তিয়া নামাজ নিয়ে আলেম ও মোল্লাদের মধ্যে মত বিরোধ আছে। দল-উপদল গুলির মধ্যে আনুষ্ঠানিকতার পার্থক্য ও মতভেদ-ই তার জলজ্যান্ত প্রমান।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত এর পর থেকে ওফাত গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর সাহাবিরা রাসুলের (সাঃ) সান্নিধ্যে ছিলেন । প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত হিসেবে মাসে ৩০ দিন ধরলে ১৫০ ওয়াক্ত , বছরে ১৮০০ ওয়াক্ত, আর ১০ বছরে ১৮০০০ ওয়াক্ত রাসুল (সাঃ) সালাত আদায় করেছেন সাথে সাহাবীগণও । শুধু ফরজ সালাত ।
এই ১৮০০০ ওয়াক্ত সালাত রাসুল সাঃ আদায় করেছেন সাহাবিদের নিয়ে একই পদ্ধতিতে আদায় করেছেন । অথচ প্রায় ২ যুগের মধ্যেই রাসুল সাঃ সাহাবিদের হাতে কলমে সাথে নিয়ে শিখিয়ে দেয়া সালাত আদায়ের পদ্ধতি কে বা কারা এবং কেনো পালটে ফেলেছিল ?
১০ বছরের ট্রেনিং কি সাহাবীদের জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিলো না ?
================================
" মেরাজের রজনীতে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ হতে ০৫ ওয়াক্ত করা প্রসঙ্গে "
বুখারী, আধুনিক প্রকাশনীর ১;৩৩৬, ৩;২৯৬৭, ৩০৯৫ ও ৩৬০০ নং হাদিস অনুযায়ী কিভাবে মেরাজে ৫০ ওয়াক্ত নামাজকে হযরত মুসা (আঃ) এর পরামর্শ গ্রহন করে ০৫ ওয়াক্তে পরিণত করা হয় তার বর্ণনা আছে । কিন্তু নিজ উম্মতের অবস্থা রাসুল (সাঃ) হযরত মুসা (আঃ) অপেক্ষা কম জানবেন, বিষয়টি আমার বোধগম্য হয় না , যিনি শ্রেষ্টতম রাসুল, সাইয়্যেদুল আম্বিয়া, আল্লাহ্ তায়ালা রাসুল (সাঃ) কে গায়েব জ্ঞাত করেছেন ( মারেফুল কোরআন, পৃঃ-২১৯ ও আল কোরআন সুরা জ্বীন, আয়াত-২৬-২৮ ),
তা হলে ওয়াক্তিয়া নামাজ কোথা থেকে আসল?
রাসুল (সাঃ) মদিনা তে আসার পর তিনি প্রথম এমন একটি শহর ও জাতি পেলেন যাদের উপর রাসুলের (সাঃ) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে আর এই কারনেই দুনিয়ার প্রথম সংবিধান মদিনা সনদ প্রণয়ন করলেন। রাসুলের (সাঃ) যুগকে বলা হত অন্ধকারের যুগ যে যুগে রাসুলকে (সাঃ) বলতে হয়েছে তোমরা তোমাদের মা এবং বোনের সাথে যৌন সংযম করো না, কন্যা সন্তান কে জীবন্ত কবর দিওনা। এই রকম একটা বিশৃঙ্খল সমাজকে সুন্দর ও শৃঙ্খল করার জন্য একটা সুন্দর রুটিনের প্রয়োজন ছিল। আর এই রুটিন ই হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। একটা উধারন দিলে পাঠকরা ভাল বুঝবেন। ফজরঃ ৪রাকাত, ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি নামাজ পরা কষ্টকর। এই কারনে মাত্র ৪ রাকাত।
জোহরঃ ১০ রাকাত, সারাদিন কাজ করে গোসল করে বিশ্রাম নিয়ে বেশি নামাজ পরা সম্ভব। এই কারনে ১০ রাকাত।
আসরঃ ৪রাকাত, পুরাপুরি কাজের সময়,এই কারনে মাত্র ৪ রাকাত।
মাগ্রিবঃ ৫রাকাত, কাজের পর ক্লান্ত অবস্থায় দীর্ঘ নামাজ কষ্টকর, এই কারনে মাত্র ৫ রাকাত।
এশাঃ ১৩ রাকাত (বেতের সহ)। বিশ্রাম নিয়ে এই নামাজ পরা সম্ভব, এই কারনে ১৩ রাকাত।
শুধু কোন সমাজ ব্যাবস্থায় না এই রুটিন যদি আমারা আমাদের মানব জীবনেও পুরাপুরি মেনে চলি তবে আমাদের জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে।