বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩

মানব দেহে ৭২ হাজার নদী

আমাদের শরীরের মধ্যে অসংখ্য নাড়ী আছে, তার মধ্যে ১৪টি প্রধান। এগুলো হলো- ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না, সরস্বতী, বারূণী, পূষা, হস্তিজিহ্বা, যশস্বিনী, বিশ্বোদরী, কুহূ, শঙ্খিনী, পরদ্বিণী, অম্লম্বুষা ও গান্ধারী। জননেন্দ্রিয় ও গুহ্যদেশের মাঝখানে অবস্থিত কুন্দস্থান থেকে ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না, কুহূ, শঙ্খিনী প্রভৃতি প্রধান নাড়ীগুলোর উৎপত্তি হয়েছে। এদের মধ্যে কুহূনাড়ী জননেন্দ্রিয়ের সমস্ত কাজ সুসম্পন্ন করে আর শঙ্খিনী নাড়ী দেহের মলাদি নির্গমনে সহায়তা করে। এই কুন্দস্থানেই কুলকুণ্ডলিনী নিদ্রিত সাপের আকারে বিরাজ করছেন। কুলকুণ্ডলিনী হচ্ছে সমস্ত শক্তির আধার। প্রাচীনকালের সিদ্ধিপ্রাপ্ত যোগী-ঋষিরা মানবদেহ ও মনের কুণ্ডলিত শক্তি-উৎস সম্পর্কে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে মত অনুসরণ করেই যুগে যুগে সাধকপুরুষরা যোগসাধনায় ব্যাপৃত থেকে এই শক্তিকে জাগরিত করে সিদ্ধিলাভের অন্বিষ্ট খুঁজেছেন।

 বলা হয়ে থাকে, আমাদের শরীরের মধ্যে মৃণালতন্তুর ন্যায় সূক্ষ্ম জগন্মোহিনী আদ্যাশক্তি ও প্রাণশক্তির মূল কুলকুণ্ডলিনী শক্তি নিজের মুখব্যাদান করে ব্রহ্মদ্বারের মুখ আবৃত করে জননেন্দ্রিয় ও গুহ্যদেশের মধ্যবর্তী কুন্দস্থানে সর্বদা নিদ্রিত রয়েছেন। এ স্থানকে বলে মূলাধারচক্র। এটা সুষুম্না নাড়ীর একটি গ্রন্থি। আমাদের স্নায়ুরজ্জুর প্রধান ধারক মেরুদণ্ড মস্তিষ্কের নিম্নাংশ থেকে বের হয়ে গুহ্যদেশে এসে শেষ হয়েছে। যোগ-শাস্ত্রকারীদের মতে মেরুদণ্ডের বাঁদিকে ইড়া (Ida Nadi), মধ্যে সুষুম্না (Sushumna Nadi) ও ডানদিকে পিঙ্গলা (Pingala Nadi) নাড়ী বিরাজমান।
আমাদের সঞ্চারণমান প্রাণবায়ু ইড়া-পিঙ্গলা নাড়ীর মধ্যে দিয়ে চক্রাকারে সতত আবর্তিত হচ্ছে। সুষুম্না একটি অতি সূক্ষ্ম, জ্যোতির্ময়, সূত্রাকার ও প্রাণময় পথ- মেরুদণ্ডের পথে যার অবস্থান। সুষুম্না নাড়ীর এই প্রাণময় পথে ছয স্থানে ছয়টি চক্র বিরাজ করছে, যাকে ষটচক্র বলা হয় ৷ --- (Vishuddhi Chakra),

 বিমুক্তিসোপান গ্রন্থে বলা আছে গুহ্যেলিঙ্গে তথা নাভৌ হৃদয়ে কণ্ঠদেশকে। ভ্রূমধ্যহেপি বিজানীয়াৎ ষটচক্রান্ত ক্রমাদিতি।। অর্থাৎ ভ্রূমধ্যে, কণ্ঠদেশে, হৃদয়ে, নাভিমূলে, লিঙ্গদেশে ও গুহ্যস্থানে ষটচক্র বিরাজ করেন। এই ষটচক্র হচ্ছে

 ১) ললাটে অর্থাৎ ভ্রমধ্যে আজ্ঞাচক্র (Agnya Chakra),

 ২) আজ্ঞাচক্রের নিচে কণ্ঠমূলে বিশুদ্ধিচক্র

 ৩) বিশুদ্ধিচক্রের নিচে হৃদিস্থানে অনাহত চক্র (Anahata Chakra),

 ৪) অনাহত চক্রের নিচে নাভিমূলে নাভিচক্র বা মণিপুর চক্র (Nabhi Chakra/Manipura Chakra),

 ৫) মণিপুর চক্রের নিচে লিঙ্গমূলে সুষুম্নার মধ্যে স্বাধিষ্ঠান চক্র (Swadhisthana Chakra), ৬) স্বাধিষ্ঠান চক্রের নিচে গুহ্য ও লিঙ্গের মধ্যস্থলে কুন্দস্থানে সুষুম্নানাড়ীর মুখদেশে মূলাধারচক্র (Mooladhara Chakra ) । এই মূলাধার প্রদেশেই মুখব্যাদান করে ব্রহ্মদ্বারে সর্পাকৃতি কুলকুণ্ডলিনীর অধিষ্ঠান।সুষুম্নার এই সূক্ষ্ম, জ্যোতির্ময়, সূত্রাকার ও প্রাণময় পথই মুক্তির পথ। মুক্তির এই পথ দিয়েই কুণ্ডলিনীকে উর্ধ্বদিকে চালিত করতে হয়।
কুণ্ডলিনীর অবস্থান সম্বন্ধে সিদ্ধ-যোগীদের বক্তব্য হচ্ছে- ‘মেরুদণ্ডের নিম্নদেশে যে মূলাধার চক্র আছে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই স্থানটি হচ্ছে প্রজননশক্তি বীজের আধার। একটি ত্রিকোণ মণ্ডলে একটি ছোট সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে আছে- যোগীরা এঁকে এই প্রতীকে প্রকাশ করেছেন। এই নিদ্রিত সৰ্পই কুণ্ডলিনী; এঁর ঘুম ভাঙানোই হচ্ছে রাজযোগের একটিমাত্র লক্ষ্য।'

 কুণ্ডলিনীকে জাগরিত করার উপায় হিসেবে স্বামী বিবেকানন্দ বলেন- ' প্রাণায়ামের পূর্বে ঐ ত্রিকোণ মণ্ডলকে ধ্যানে দেখবার চেষ্টা কর। চোখ বন্ধ করে এঁর ছবি মনে মনে স্পষ্টরূপে কল্পনা কর। ভাবো এর চার পাশে আগুনের শিখা, তার মাঝখানে কুণ্ডলীকৃত সর্প ঘুমিয়ে রয়েছে। ধ্যানে যখন কুণ্ডলিনীশক্তি স্পষ্টভাবে দেখতে পাবে তখন কল্পনায় তাকে মেরুদণ্ডের মূলাধারে স্থাপন কর; এবং তাকে অনুভব করার চেষ্টা কর। প্রাণায়ামসহ বিভিন্ন মুদ্রা ও বন্ধন অভ্যাস কালে কুম্ভকে শ্বাস রুদ্ধ রাখার সময় সুপ্ত কুণ্ডলিনীকে জাগাবার জন্যে ঐ রুদ্ধ বায়ু সবলে তার মস্তকে নিক্ষেপ করবে। যার কল্পনা শক্তি যত বেশি সে তত শীঘ্র ফল পায়, আর তার কুণ্ডলিনীও তত শীঘ্র জাগেন। যতদিন তিনি না জাগেন ততদিন কল্পনা কর- তিনি জাগছেন। আর ইড়া ও পিঙ্গলার গতি অনুভব করার চেষ্টা কর, জোর করে তাদের সুষুম্না পথে চালাতে চেষ্টা করো- এতে কাজ খুব তাড়াতাড়ি হবে। মনের সংযমের দ্বারাই কল্পনা করা সম্ভব।'

 মহাসৰ্প অনন্ত যেমন রত্ন-নিধিসমাকীরণা পৃথিবীর একমাত্র আধার, তেমনি কুণ্ডলিনী
শক্তি হন্ত্রের আধার। ঐ কুণ্ডলিনী শক্তি জাগরিতা হলে শরীরে ষটচক্রস্থিত অখিল পদ্ম ও গ্রন্থি ভেদ হয়ে যাওয়ায় প্রাণবায়ু সুষুম্নাচ্ছিদ্র দিয়ে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে। প্রাণায়াম অভ্যাসে যা বিশেষ প্রয়োজন। প্রণয়মূলক চিন্তা বা পাশব-কার্য থেকে যে যৌনশক্তি উত্থিত হয়, তাকে উর্ধ্বদিকে মানব শরীরের মহাবিদ্যুৎ আধার মস্তিষ্কে প্রেরণ করতে পারলে সেখানে সঞ্চিত হয়ে যৌনশক্তি 'ওজঃ' বা আধ্যাত্মিক শক্তিলাভে সাহায্য করে। এই ‘ওজস’ হচ্ছে মানুষের মনুষ্যত্ব- একমাত্র মনুষ্যশরীরেই এই শক্তি সঞ্চয় করা সম্ভব। যাঁর ভেতর সমস্ত পাশব যৌনশক্তি ওজঃশক্তিতে পরিণত হয়ে গেছে, তিনি মহাপুরুষ বা দেবতার পর্যায়ে উন্নীত

 হন। যোগীরা মনে মনে কল্পনা করেন যে এই কুণ্ডলিনী সর্প সুষুম্না পথে স্তরে স্তরে চক্রের পর চক্র ভেদ করে মস্তিষ্কের সহস্রধারে (Sahastrara Chakra) উপনীত হয়। মনুষ্য শরীরের শ্রেষ্ঠ শক্তি যৌন- শক্তি যে পর্যন্ত না ওজঃশক্তিতে পরিণত হয়, সে পর্যন্ত নারী বা পুরুষ কেউই ঠিক ঠিক আধ্যাত্মিক জীবন লাভ করতে পারে না । কোন শক্তিই সৃষ্টি করা যায় না, তবে তাকে শুধু ঈপ্সিত পথে চালিত করা যেতে পারে। এটাই রাজযোগের উদ্দেশ্য। কিন্তু এটা সাধারণ গৃহীদের কাজ নয়। একমাত্র যোগীরাই যোগ প্রভাবে এই সমস্ত নাড়ী সম্বন্ধে সবিশেষ জানতে পারেন এবং তা অনুভবও করেন। রাজযোগ অভ্যাস করতে হলে প্রথমে হঠযোগ আয়ত্তে আনতে হয়। হঠযোগই রাজযোগের সোপান।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩

দেহতত্ত্ব

♥দেহতত্ব বা মানব শরীরে বিশ্ব তর্থ্য ♥

★★ মানব  দেহে তেরটি নদী আছেঃ
1. কাম নদী।২.প্রেম নদী।3. আশা নদী।4. মায়া নদী।
5. রুপ নদী। 6. ভাব নদী।7. প্রসাব নদী।8. রক্ত নদী।9. বীর্য নদী।10. ক্রোধ নদী। 11. মোহ নদী।1২। হায়াত নদী।13. ত্যাগ নদী। 

আমাদের মানব দেহের ভিতরে পাঁচটি রুহু আছে।
1 / রুহু জামাদাতঃ (বৃক্ষ) যাহা লিঙ্গের নিচে অবস্থান করে।
২ / রুহু নাবাদাতঃ (ধাতু) যাহা শরিলের মধ্যেবীর্য রুপে অবস্থান করে।
3 / রুহু হাইওয়ানী পশু আত্মাঃ (নাভীতে অবস্থান)
4 / রুহু কুদসী বা রুহুল কুদসী ঃ পরম আত্মা (বক্ষস্থলে অবস্থিত)
5 / রুহু ইনছানিয়াতঃ মানব আত্মা (মানব দেহ, মুল চালিকা)

★★পাঁচ জাতের সেফাত সমুহ:
ক্ষিতি: মল, মুত্র, শুক্র, বীর্য, শৈত্য
অব: চেতনা, প্রান, পিপাসা, করনা ও ঘটনা
তেজ: বিশ্ব, ব্রম্ম, অগ্নি, অনল, অগর
মরুৎ: অন্তঃদৃষ্টি, বহিদৃষ্টি, বাকশক্তি, শ্রবনশক্তি, সঞ্চালন

 ★ পাঁচ একিন.
1.বেল গায়েব: কান দ্বারা২.এলেম জ্ঞান দ্বারা3.আইনুল: চক্ষু দ্বারা
4.হাক্কুল: বিবেক দ্বারা5.হুওয়াল: মন দ্বারা 

★ চার আলমের ভেদ বা মানব দেহেরঅবস্থান
1.আলমে আরওয়াহ: রুহ জগত২.আলমে খালাক: সৃষ্টিকাল
3.আলমে বার্যাখ: মৃত্যুকাল4.আলমে আখেরাত: পরকাল 

★ কোরআনের কিছু ভেদ অংশের রহস্য:
1.দুনিয়া: মনের আমিত্ব
২.আখেরাত: নতুন জীবন
3.হামীম: বীর্য পানি
4.হাবিয়া: মাতৃ গর্ভকাল
5.নশ্বর: অশান্তিতে পাড়ি দেওয়া
6.আযাবুন আযীম: দেহের শান্তি
7.আযাযুন আলীম: দেহ ও মনের শান্তি
8.কবর: দেহ অর্থাৎ নারীর পেট।
9.জাহিম: মনের আগুন
10.হুর:. নিজ দেহের পরিশুদ্ধ ও আলোকিত রুপ এবং সাধনা জগতে নিজেকে নারী রপে আত্মপ্রকাশ করার নাম হলো হুর, এবং সাধারন নারীগন ও হুরের মাঝে পরে। 

★★। নফি মানে কিছু অস্বীকার করা, না বলা; ইসবাত – ঐটাকে প্রতিষ্ঠিত করা, হা বলা। তো কালিমার মধ্যেও এই নফি-ইসবাত আছে। লা ইলাহা – নফি। কোন মাবুদ নাই। আল্লাহ শব্দ এখনো আসেনি। লা ইলাহা – কোন উপাস্য নাই। ইল্লাল্লাহ – আল্লাহ ছাড়া। লা ইলাহা নফির অংশ, ইল্লাল্লাহ ইসবাতের অংশ।
বাস্তব জীবনে এমনি সব ইসবাতের সাথেই একটা নফি জড়িত আছে।★1.লাইল্লাহ / নফি = তন বা দেহ
২.ইল্লাল্লাহ / এজবাত = জান বা জীবন
3.আনাল হক / আল্লাহ = আমিই সত্য
4.কালুল্লা = আদম তন বা ছায়া
5.আল্লাহ = কায়া 

★ সৃষ্টি রহস্য:
1.অহিমুণ্ড: যৌনাঙ্গ
২.আলমে আরওয়াহ: পুরুষের দম
3.অখন্ড মন্ডল: পুরুষের মাথা
4.আযাযীল: গুপ্তাঙ্গ
5.গর্ভকাল: পুরুষ 40 দিন নারী 10 মাস
10 দিন

★ পুরুষের প্রকারভেদ.
1.শশত পুরুষ: সত্যবাদী
২.মৃগ পুরুষ: উরধোভেদি
3.মহাপুরুষ: সম্যক গুরু
4.বাকারাতান ছাফারা: পুরুষ হবার পথে সাধক
5.জন্মগত পুরুষ: সাধারন 

★ মানব দেহের দশটি ইন্দ্রিয় রয়েছে, যা দ্বারা মানুষ বিভিন্ন পাপ করে থাকে.এই ইন্দ্রিয় গুলোকে আবার দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে.
যথা; 1.জ্ঞান ইন্দিয়২.কর্ম ইন্দ্রিয়
জ্ঞান ইন্দ্রিয়:
1.চক্ষু / দেখা
২.কান / শ্রবন
3.নাসিকা / ঘ্রাণ
4.জিহ্বা / স্বাদ
5.মুখ / বাগ / কথা বলা
কর্ম ইন্দ্রিয়:
1.হাত / কাজ করা
২.পা / হেটে যাওয়া
3.ত্বক / অনুভুতি
4.জ্বলদার / ত্যাগ করা
5.মলদ্বার / ত্যাগ করা

 ★ 18 মোকামের নাম
মাহমুদ,ইব্রাহীম,সুলতানুল নাসিরা,মুওয়াহেদ,ওরাইল ওরা
আরওয়াহ,মাসুদ,নাছুতমলকুজবরুত
লাহুত
হাহুত
লা
হা
বেল ফেল
নাসি
খায়ের নাসি
বেল কুয়া 

★ সৃষ্টির বিবরন.
পুরুষের ---
1.মন থেকে চন্দ্র
২.চক্ষু থেকে সুর্য
3.কান থেকে বায়ু ও প্রান
4.মুখ থেকে অগ্নি
5.নাভী থেকে অন্তরীক্ষ
6.মস্তক থেকে স্বর্গ
7.পাদদ্বয় থেকে ভুমি 

★ শরীয়তের কিছু অংশের ভেদ:
1.সালাত: আল্লাহ ও রাসুলের মধ্যে সংযোগ.
২.যিকির.স্মরণ ও সংযোগ
3.সদকা: সত্য উপলব্ধি
4.যাকাত: নিজের আমিত্ব বিসর্জন
5.সিয়াম: নফস সংযম করা
6.হজ্জ: আত্ম দর্শন করা
7.কেবলা:শুরুতে সামনে গুরুর রুপ এবং ফিনিশিং এ মুহাম্মাদি জাত সুরুত রুপে
8.কাবা: সুন্দর মাতৃস্তন
9.গেলেমান: অর্থাৎ তথাকথিত পুরুষ যারা সাধনার পৌছে নাই এবং এর মুল ভেদ আরো গভিরতম
10.পানপাত্র: সাধকের ইন্দ্রিয় 

★ মানুষ পাঁচ প্রকার:
1.নাস: সাধারন মানুষ
২.আওলাদে আদম: গুরুর বায়াতী
3 ইনসান: গুরু ভক্ত বায়াত প্রাপ্ত মুত্তাকিন
4.বনি আদম.খেলাফত প্রাপ্ত গুরু.
5.আদম / সহজ মানুষ: শ্রী গুরু, চৈতন্য গুরু, সম্যখ গুরু

 ★ পঞ্চগুনে মানব দেহ.
1.প্রাণীজ: কাম, ক্রোধ, লোভ, অংহকার ইত্যাদি.
২.উদ্ভিজ্জ: স্থুল বুদ্ধি, জড় মনভাব.
3.খনিজ: জিহ্বারর স্বাদ, কামনা, বাসনা.
4.মানবীয়: কৃপনমনা, সন্দেহ প্রবন, তরকো প্রিয় ইত্যাদি.
5.ঐশ্বরীয়:. প্রেম, দয়া, ভালবাসা ইত্যাদি

 ★ মেরাজের ভেদ তত্ত্ব ..
1.বোরাখ: নারীলোক কিন্তুু মুল বিষয়টি হলো জ্ঞানের রবরব।
২.রফরফ: দমের বাহন অর্থাৎ জ্ঞান দ্বারা উপরে উঠা
3.হাজারে আসওয়াদ: স্ত্রী লিঙ্গ
4.সিদরাতুল মুনতাহা: কপাল দেশ
5.বাইতুল মামুর.মানব দেহ
6.জাহান্নাম.নাভী থেকে নিম্ন দেশ
7.জান্নাত: নাভী থেকে উপরের দেশ
8.পুলসিরাত: কামের ঘাট এবং দুনিয়া 

★ আট কুটুরী:
1.হাড়
২.রগ
3.লহু
4.মগজ
5.গোশত
6.পশম
7.চামড়া
8.খুর

★9 নয় দরজা.
1.দুই চক্ষু
২.দুই কান
3.দুই নাকের ছিদ্র
4.মুখ
5.জলদ্বার
6.মলদ্বার 

★১৮ চিজে মানুষ পয়দাঃ
বাপের ৪ চিজঃ
১.হাড়২.রগ৩.লহু৪.মগজ
মাতার চার চিজ:
১.গোশত২.পশমম৩.চামড়া৪.খুর
আল্লাহ ১০ চিজ:
১.দেখা২.শুনা৩.কথা বলা৪দৈহিক শক্তি৫.স্বাদ
৬.গন্ধ৭.দম৮.বুদ্ধি৯.বিবেক১০.অনুভুতি।দম

★দেহতত্ব পাঁচ মোকামে পাঁচ মহামানবের অবস্থান।
যথাঃ…১।মাকামে মাহমুদা=হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)…২।সুলতানুন নাসিরা=খাজা মঈনুদ্দীন আল চিশতী(রাঃ)…৩।মুওয়াহেদ মোকাম=বড় পীরআব্দুল কাদের জিলানী(রাঃ)…৪।মাকামে ইব্রাহীম=হযরত ইব্রাহীম(আঃ)…৫।ওরাউল ওরা মোকাম=ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেন(রঃ)✔✔

★দেহতত্ব ৰেহেস্তের চার নহরঃ…
১।কাওসারেরপানি=
স্বচ্ছ বিবেক…২।দুধের নহর=সূক্ষ্যজ্ঞান…৩।মধুর নহর=খোদার সান্নিধ্য অনুভূতি…৪।শরাবনতাহুরা=খোদার প্রেমের নেশারুপক অর্থকে ভাবার্থে প্রকাশ করলাম। 

★দেহতত্ত্ব লিঙ্গ তিন প্রকার। যথাঃ…
১।পুংলিঙ্গ ২।স্ত্রী লিঙ্গ…৩।নপুংশ বা ব্রক্ষ্ম লিঙ্গশেষেরটাই প্রেমের লিঙ্গ।এটাই সাধুরা বেশী ব্যবহার করে।

★দেহতত্ব মহলের বিবরণঃ…
১।রং মহল=মুখমুন্ডল…২।স্বর্ন মহল=বুক
৩।আয়না মহল=চোখ…
৪।মনি মহল=মনি মগজ ॥
.দেহতত্ব যিকির চার প্রকার।
যথাঃ…
১।লেছানি=মুখের…
২।পাছ আনফাছ=দমের…
৩।আয়নি=চোখের…৪।ক্বলবি=ক্বলবের

★দেহতত্ব -
১/বোরাখ=নারী লোক ২/রফরফ=দমের বাহন ৩/হাজারে আসওয়াদ=স্ত্রী লিঙ্গ
৪/সাদরাতুল মুনতাহা=কপাল দেশ .. ৫/বাইতুল মামুর=পূর্নাঙ্গমানবদেহ.৬/জাহান্নাম=পেট থেকে নিম্নদেশ ...
৭/জান্নাত=বুক থেকে উপর দেশ 
৮/পুলসিরাত=কামের ঘাটপ্রকৃত পক্ষে জান্নাত ও জাহান্নাম মানসিক অবস্থা।যারা গুরুর ছায়াতলে তারা জান্নাতবাসী।

★দেহতত্ব -
1/আরশ=মন …
2/কুরসী=দেহ
3/লওহে মাহফুজ=স্মিতি রাজ্য 4/আসমান=মাথা...
5/জমীন=শরীর...
6/পাহাড়=বুক

★দেহতত্ব লোকের নাম হলোঃ…
১।দ্যুলোক=মাথা…
২।ভূলোক=দেহ জগত
৩অন্তরিক্ষলোক=হৃদয় বা ব্যুম
দেহতত্ব সিদ্ধর চারটি চাবি।যথাঃ…

★১।দমেহরদম…
২।নেগা বারকদম…
৩।হুশদরদম ও…
৪।সফর করদম ॥

♥দেহতত্ব বা মানব শরীরের গোপন তর্থ্য ♥

মানব দেহে দশ দরজা
১.প্রসাবে এক দরজা।
২. কানে দুই দরজা।
৩.নাকে দুই দরজা।
৪.পায়খানা এক দরজা।
৫.চক্ষু দুই দরজা।
৬.আপনার মুখ এক দরজা  
৭.মাথার তালুতে এক যা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে. অনেকে নাভি কে বন্ধ দরজা বলে এবং অনেক সাধুর মতে এবং আমার দেখাতে  সুষম্না হলো প্রকৃত  বন্ধ দরজা কেননা সুষম্নার  দারটি যখন উম্মচন হয় সাধক তখন সব কিছু দেখতে পায় এই হলো দশ দরজা। 

আঠারো হাজার মাখলুকাতের ভেদ হলো
১/ছয় হাজার ডিম দ্বারা বংশ বিস্তার করে।
২/ছয় হজার বাচ্চা দিয়ে বংশ
৩/ছয় হাজাব বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার করে, মানে
বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

স্রষ্টার শ্রেষ্ট মানব জাতীকে আঠারো চিজে মানব দেহ গঠন করেছনঃ
বাবার চারঃ
১/মনি
২/মগজ
৩/রগ
৪/হাড়

মায়ের চার
১/চামড়া
২/লোম
৩/রক্ত
৪/মাংস

পরম আত্মার দশটি
১/ বাকশক্তি
২/ অনিভূতি শক্তি
৩/ ঘ্রান শক্তি
৪/ শ্রবন শক্তি
৫/ দর্শন শক্তি
৬/ বিবেক শক্তি
৭/ অন্তর দৃষ্টি শক্তি
৮/ জমাতাত
৯/ নবাতাত
১০/ হায়েন

হাতের পাঁচ আঙ্গুলে পাক পাঞ্জাতন।
১/ সাব্বাবা / বৃদ্ধা আঙ্গুলী = মোহাম্মদ (সঃ)
২/ সাব্বাহুম / তর্জনী = হযরত আলী (আঃ)
৩/ সাব্বা / মধ্যমা = মা ফতেমা (আঃ)
৪/ পেনসির / = ইমাম হসান (আঃ)
৫ / খেনসির / কনিষ্ঠা = ইমাম হুসাইন ( আঃ)

মানবের স্তর কয়টি?
মানবের স্তর মোট ৯টি যেমনঃ
(১) ফানা ফিশ নফস (২) ফানা ফিশ শায়েখ
(৩) ফানা ফির রাসুল (৪) ফানায় কাবা
(৫) ফানা ফিল্লাহ্ (৬) বাকা বিল্লাহ্
(৭) নূরীতত্তন (৮) কেসিফাতন
(৯) লা মোকাম বা শুন্য
অনেকে আবার লা মোকামকে প্রথম মোকাম বলে। আমার দেখায় প্রথমে আপনার নিকট কিছু ছিলনা, সেই জন্যে লা হবে প্রথম মোকাম কারন লা মানে শূণ্য। যখন আপনে গুরুর নিকট যাবেন তখন আপনি লা মানে শূণ্যতে আর থাকলেননা আর যখন আপনি সাধনা করে শেষ স্তরে পৌছিয়ে যাবেন তখন লয় হয়ে উর্দ্ধে উপরে যাবেন মিশে। আমার দেখায় মানবের স্তর হল ১০টি আর যে সকল পিরেরা মাত্র চারটি বা পাঁচটি বলে তারা ভুল বলে কেননা তারা সঠিক ভাবে জানেনা, বিলিভ না হলে আপনার গুরুর নিকট আদবের সহিত প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলতে পারে কিনা। দেখুন আমি ভুল বলছি কিনা তা প্রমান হয়ে যাবে।

মানবের অজুদের বর্ণনা :
মানবের পাঁচ মোকাম-
(১) লাহুত (নাক)
(২) লাছুত (চোখ)
(৩) মালাকুত (কান)
(৪) জাবারুত(জিহবা)
(৫)হাহুত
পঞ্চমে আছে হাহুত দমের ঘরে বিরাজ করে হুয়ের সেকেল "হু" বিনে কেউ থাকেনা, হু দেখবে যদি হইয়া হুশিয়ারী ধরে গুরুর চরন তলে।

যথাক্রমে যে লাল সবুজ সফেদ ছিয়া জর্দ
চার ফেরেস্তা
(১) ইসরাফীল (আঃ)
(২) মিকাইল (আঃ)
(৩) আজরাইল (আঃ)
(৪) জীবরাইল (আঃ)
এগুলো হলো দেল কোরআন
(১) দর্শন
(২) শ্রবন
(৩) গন্ধ
(৪) স্বাদ
(৫)বাক
(৬)দেহ 
(৭)মন 
(৮)আহাদ 
(৯)আহমদ 
(১০)মোহাম্মদ

জ্ঞানন্দ্রীয় পাচঁটি: চক্ষু, কর্ন, নাসিকা, ত্বক এবং জিহবা

মানবদেহে ছয়
মোকামে জিকির জারী
হয়: নফছ, রুহ, ছের, খফি, আখফা এবং ক্বলব★ ★মাথা = মীম
মগজ = হে
কান = তে, যে
চোখ = আয়েন, গায়েন
নাক = লাম আলিপ
ঠোট = লাম মীম
ফোফড়া, ফেসকি = ফা
মুখ = বে
জিহবা = জীম
বাজু = ছিন, সিন
কলিজা = ক্বফ
নাভি = বড় ক্বাফ
হৃদ = ছোয়াদ, ধোয়াদ
নুনু, খুন, নাড়িভূড়ি = নুন
জানু = দাল, জাল
হাড় = হে
পায়ের বেড়ী = ইয়া, ইয়ায়ে মারুফ
টিমটিমারি = হামজা
তিল্লী = ত্বয়, জ্বয়
আওয়াজ = ওয়া
দম = জে★★ ★★★★★★★★★★
🍁 Copy post 🍁

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২

লুৎফার লেখা

চাইলে ই সব কিছু পাওয়া যায় না,
সময়ের কাছে হেরে যায় - হৃদয়ের লেনদেন!!
সময়ের উত্তাল স্রোতে - ভেসে যায় স্বপ্নের বালিঘর,
ব্যার্থতার গ্লানি টুকু থাকে আজীবন!!
কিছু ব্যাথা, কিছু অশ্রু তাই আজ থাক না গোপন,
অনবদ্য ইচ্ছাগুলোর না হোক মরণ!!
হিয়ায় হিয়ায় মিশে থাক - কায়া যত হোক দূরে,
অসমাপ্ত গল্পের হাহাকারের হৃদয় যাক না পুড়ে!!
কিছু আকাঙ্ক্ষার না হলো মিলন,
অপেক্ষা থাকবে তবু জনম জনম!!

শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

মানব দেহের তত্ত্বভেদ

মানব দেহের তত্ত্ব ভেদ 

*মানব দেহের = হাত পায়ের চারটি বৃদ্ধ আঙ্গুল কে চার কুতুব বলা হয়
*মানব দেহের = হাত পায়ের ষোলটি আঙ্গুল কে ষোল প্রহরী বলা হয় ।
*মানব দেহের = দুই হাতে ছয় বুরুজ দুই পায়ে ছয় বুরুজ ইহাকে বার বুরুজ বলা হয় 
*মানব দেহের = ছিনার দুই পাশে সাতটা করে চৌদ্দটা হাড় আছে 
 ইহাকে চৌদ্দ কামান বলা হয় ।

*মানব দেহের = আট কুঠুরি, মস্তকে একটি, কপালে একটি, ঘারে একটি, বহ্মদেশে একটি, ডাইন স্তনের নিচে একটি, নাভীমুলে একটি,মেরুদণ্ডে একটি, মলদ্বার ও মৃত্রদ্বারের মাঝখানে একটি, ইহাকে আট কুঠুরি বলা হয় 

*মানব দেহের = দুইটি কর্ণ দুইটি চহ্মু নাশিকার দুইটি অংশ ও একটি মুখ, ইহাকে সাত সমুদ্র বলা হয় ।

*মানব দেহের = তেরটি নদী, কাম নদী, প্রেম নদী,আশা নদী,মায়া নদী,রুপ নদী, ভাব নদী,ক্রোধ নদী,মোহ নদী,হায়াত নদী,ত্যাগ নদী,কাম নদীতে তিন নদী,একধারে রক্ত একধারে মুত্র, একধারে রজ। 

*মানব দেহের =বায়ান্ন বাজার, মোকাম,ওরাউল ওরায়, বায়ান্ন বাজার অবস্থিত।

*মানব দেহের =তেপ্পান্ন গলি, দাতে ত্রিশটি,মস্তক হইতে লিঙ্গ প্রর্যন্ত বাইশ টি রগ দ্বারা আবৃত করা, এবং লিঙ্গে একটি, ইহাকে তেপ্পান্ন গলি বলা হয়।

*মানব দেহের =ছাপ্পান্নটি মাথা আছে, বত্রিশ দাতের বত্রিশ মাথা, হাত পায়ের কুরি মাথা নাশিকার একটি মাথা,নিজের একটি মাথা,জিহ্বার একটি মাথা,লিঙ্গের একটি মাথা, ইহাকে ছাপ্পান্নটি মাথা বলা হয়

*মানব দেহের =সারে চব্বিশ চন্দ্র, বিশ আঙ্গুলে বিশ চন্দ্র, মস্তকে এক চন্দ্র,নাশিকাতে এক চন্দ্র, জিহ্বাতে এক চন্দ্র, আদি চন্দ্র গোপনে রহিলো ইহা কামেল মুর্শিদের নিকট থেকে জেনে নিবেন

*মানব দেহের =তিনটি চহ্মু, চর্ম চহ্মু,অন্তর চহ্মু, জ্ঞান চহ্মু  
 
হাজী মোঃ ইমান শাহ্ বনপূরী

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

হাবিব বাবার নসব নামা

( আমাদের প্রাণপ্রতিম মুর্শিদ কেবলা  হযরত শাহ্ সুফি আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ হাবিবুল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারী পবিত্র নছব নামা 
Hazrat Shahsufi Alhaz Maulana  Sayed Habibul Bashar Al Hasani Al Maizbhandari Holy Nashab Nama)

1. Holy Prophet Hazrat Ahmed Mujtaba Muhammad Mustafa Sallallahu Alayhi Wasallam

2. Hazrat Syeda Fatima Binte Rasul & Hazrat Shere-e-Khoda Mawla Ali (RA)

3. Hazrat Imam Hasan Ibne Ali (RA)

4. Hazrat Syed Hasanul Musanna Al-Hasani (RA)

5. Hazrat Syed Abullah Mahz Al-Hasani (RA.)

6. Hazrat Syed Musa Al-Zoon Al-Hasani (RA.)

7. Hazrat Syed Abdullah Sani Al-Hasani (RA.)

8. Hazrat Syed Muas Al-Sani Al-Hasani (RA.)

9. Hazrat Syed Abu Bakar Dawd Al-Hasani (RA.)

10. Hazrat Syed Samsuddin Zakaria Al-Morech Al-Hasani (RA.)

11. Hazrat Syed Yahia Zahed Al-Hasani (RA.)

12. Hazrat Syed Abu Abdullah (Abdullah) Al-Jili Al-Hasani (RA.)

13. Hazrat Syed Abu Saleh Musa Jangi Dost Al-Hasani (RA.) 

14. Hazrat Syed Gausal Azam, Qutb-e-Rabbani, Mahbub-e-Sobhani Shaikh Sayed Abu Mohammad Mohiuddin Abdul Qader Jilani Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

15. Hazrat Syed Abdur Razzak Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

16. Hazrat Syed Abu Saleh Nashr (NADR) Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

17. Hazrat Syed Jamaluddin Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

18. Hazrat Syed Mohammad Daud Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

19. Hazrat Syed Jalaluddin Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

20. Hazrat Syed Bahauddin Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

21. Hazrat Syed Tajuddin Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

22. Hazrat Syed Hamiduddin Shah Ghori Hindi Al-Hasani Wal Hussainy (Q)

23. Hazrat Syed Abdul Qadir Shah Al-Hasani Wal Hussainy (Q)

24. Hazrat Syed Ataullah Shah Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

25. Hazrat Syed Tayebullah Shah Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

26. Hazrat Syed Motiullah Shah Al-Hasani Wal-Hussainy (Q)

27. Gausul Azam Hazrat Syed Ahmadullah Maizbhandari Al Hasani (Q)

28. Gausul Azam Hazrat Syed Gulamur Rahman Al Hasani Wal Hussainy Baba Bhandari (Q)

29. Hazrat Shahsufi Alhaz Maulana  Syed Shafiul Bashar Al Hasani Wal Hussainy Maizbhandari (Q)

30. Hazrat Shahsufi Alhaz  Maulana Syed Habibul Bashar  Al Hasani Al Maizbhandari (M.J.A.)

31. Hazrat Shahsufi Alhaz Maulana Syed Mahtabul Bashar Al-Hasani Al Maizbhandari.

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চরণ কি?

চরণ কি?
======

আজ আমি লালন শাঁইজির গানে ব্যাবহৃত চরণ ও তাঁর দৃষ্টিতে কোরান নিয়ে আলোচনা করবো।কেন না লালন শাঁইজি তার অনেক গানের মধ্যে কয়েক প্রকার চরণের কথা উল্লেখ করেছেন।যেমন-

সাধু চরণ,গুরু চরণ,শ্রী চরণ, রাঙ্গা চরণ, উভয় চরণ ও অভয় চরণ।

চরণ শব্দের অর্থ কি?

আপনারা জানেন চরণ মানে পা।তাই যখন লালনের গান-

১।কবে সাধুর চরণ ধুলি মোর লাগবে গায়।আমি বসে আছি আশা সিন্ধু কুলেতে সদায়।

তখন লালন পন্থিরা বলেন।চরণ মানে পা।আর গুরুর চরণ আশায় শিষ্য আশা সিন্ধু কুলে বসে থাকে।

আবার এই গানের ই শেষ লাইনে লেখা আছে,

আমি শুনেছি সাধুর করুণা,সাধু চরণ পরশিলে হয়গো সোনা। 

তাহলে দেখা গেলো সাধু চরণ স্পর্শ হলে সোনা হয়ে যায়।কিন্তু চরণ মানে পা হলে ,এই পায়ের পরশে কিছুই সোনা হওয়া সম্ভব নয়।গুরুর মুখ নিসৃত বাণীতে হয়তো খারাপ ভালো হয়ে যেতে পারে, কিন্তু চরণ ধুলিতে নয়।

আবার লালন শাঁইজি তার গানের মধ্যে বলেছেন-

২।রাঙ্গা চরণ পাবো বলে,বাঞ্ছা সদায় হৃদ কমলে।
৩।সার করো মন গুরুর চরণ।পারে যাওয়ার থাকলে আশা।
৪।রেখো মোরে শ্রী চরণে,চরণ ছাড়া করো না।
৫।যুগলো চরণের ধুলি লাগবে কবে পাপির গায়।আশা সিন্ধু কুলে বসে আছি গো সদায়।

আবার বলেছেন-ধরো চরণ ছেড়ো না,নিতাই কাওরে ফেলে যাবে না।

তাই এই চরণের মাহাত্ম কি? কি বলতে চেয়েছেন লালন এই চরণকে।আসুন আজ আমরা জেনে নিই চরণ বলতে লালন কাকে বুঝিয়েছেন।এবং চরণের সাধনা কি।

চরণ শব্দের অর্থ পঠিত।অর্থাৎ যাহা পাঠ করা হয় তাহাকেই চরণ বলে।যেমন কোরান অর্থ পঠিত।এই কোরানকেই লালন তার ভাষায় চরণ বলেছেন।অর্থাৎ কোরান মানেও পঠিত, চরণ মানেও পঠিত।এখন কোরানের মধ্যে পাঁচটি কিতাব বর্তমান ঠিক তেমনি লালনও চরণকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন।যেমন-

১।শ্রী-চরণ-=যার অর্থ পুরুষ লিঙ্গ।আর শ্রী-চরণের ধুলি হলো শুক্রাণু।
২।রাঙ্গা-চরণ-=যার অর্থ স্ত্রী-লিঙ্গ।আর রাঙ্গা চরণের ধুলি ডিম্বাণু।
৩।সাধু-চরণ-=যার অর্থ নারীর ডান স্তন।সাধু চরণ ধুলি ডান স্তনের দুধ।
৪।গুরু-চরণ-=যার অর্থ নারীর বাম স্তন।আর গুরু চরণ ধুলি বাম স্তনের দুধ।
৫।যুগল-চরণ-=যার অর্থ নারীর ডান ও বাম স্তন।আর যুগল চরণ ধুলি ডান ও বাম স্তনের সম্মিলিত দুধ।এ্কে অভয় চরণ ও বলা হয়েছে।অর্থাৎ যে,গুরুর মুখ নিসৃত বাণীতে সাধু চরণ সাধতে সাধতে যুগল চরণে প্রবেশ করতে পেরেছে।সেই অভয় প্রাপ্ত হয়েছে।