সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

আযানের দোওয়া প্রসঙ্গে /সংগ্রহ অনলাইন থেকে

আজানের শেষে, দোয়া নামে যে শব্দগুলো শুনতে পাই, তা বিবেকের কোষকে দংশন করে। মনে পড়ে একটি কবিতাংশ, যে অন্তঃকরণে নবীপ্রেম অর্জিত হয়নি, সে যতবড় মোমিনই হোক না কেন ঈমানের পূর্ণতা তার মধ্যে নেই। তাই এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, একবার এক লোকের ফাঁসির হুকুম হয়। কিন্তু বিচারক লোকটার বয়সের কথা বিবেচনা করে রায় বহাল রেখে লোকটাকে খালাস দেন। তখন লোকটা কৃতজ্ঞত হয়ে বিচারককে এই বলে দোয়া করেন ‘আল্লাহ যেন আপনাকে চৌকিদার বানায়’ কারণ লোকটার মনে হয়েছে চৌকিদারের অনেক ক্ষমতা এবং তার মর্যাদা অনেক বেশি। লোকটার দোয়া কতটা সঠিক তার বিচারের ভার আমি পাঠকদের ওপর ছেড়ে দিলাম। তবে প্রসঙ্গটা কেন বললাম এখন সে বিষয়ে আলোকপাত করি। বাংলাদেশের প্রতিটি মুসলমান আজানের সঙ্গে পরিচিত। টিভি এবং রেডিওতে আজানের পর এ দোয়া শোনানো হয়।

‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং শাশ্বত নামাজের তুমিই প্রভু। হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে দান করো বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এবং সুমহান মর্যাদা। আর তাঁকে অধিষ্ঠিত কর শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থানে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম কর না।’

আমরা সবাই আজানের দোয়া প্রতিদিন বহুবার শুনলেও এ ব্যাপারে কখনও চিন্তা করিনি। আজানের দোয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলে সবাই তা উপলব্ধি করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

প্রথমত: আজানের দোয়ায় বলা হয়েছে ‘হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে দান করো বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এবং সুমহান মর্যাদা’ ওই অংশটি সম্পূর্ণ ভবিষ্যৎ নির্দেশ করে। যার বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়নি অথবা দেয়া হলেও সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান নয় (নাউজুবিল্লাহ)। কিন্তু প্রতিটি মুসলমান মাত্র বিশ্বাস করেন এবং জানেন যে, হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে সৃষ্টি না করলে এ মহাবিশ্বের কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না। কারণ এ মহাবিশ্বের সবকিছু হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর নূর থেকে তৈরি করা হয়েছে। আর আজ চৌদ্দশ’ বছর পর তাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানে স্থান দান করার কথা এবং মর্যাদা দান করার কথা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার মতো জ্ঞানহীনের মাথায় ঢুকছে না, আর বিজ্ঞ ও জ্ঞানীদের কথা আমার জানা নেই।

আর এখানেই শেষ নয়, আরও আছে, আর তাকে অধিষ্ঠিত করো শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থানে। এখানে পুরোটাই ভবিষ্যৎ। মানে তাকে এখনও শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করা হয়নি। (নাউজুবিল্লাহ)।

যার নূরে সব জগৎ সৃষ্টি হয়েছে সেই মোহাম্মদ (সা.)কে যদি শ্রেষ্ঠতম প্রশংসতি স্থানে অধিষ্ঠিত করার জন্য স্রষ্টার কাছে দোয়া করা হয়, তা কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলমান মেনে নিতে পারবে না বলেই আমার ধারণা।

তৃতীয়ত: নিশ্চয়ই তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করি না, এ থেকে এ কথা প্রমাণিত হয়, আল্লাহপাক হয়তো তার প্রতিশ্রুতি পাল্টাতে পারেন।

এ দোয়ার প্রচলন করেছে, সব ইমামদের উপেক্ষাকারী লামাযহাবি, ওহাবিরা। যারা সুকৌশলে নবী কারিম (সা.)-এর শান খাটো করে ইসলামের ভিত্তি মূলে আঘাত করেছে। বর্তমানেও যেহেতু এ দোয়া চালু আছে তাই অনেক ক্ষোভে ও দুঃখে বলতে বাধ্য হচ্ছি। বর্তমানে যারা ইসলামের কথা বেশি করে বলছেন এবং সমাজে ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করে যাচ্ছেন; তারা কেন এমন মিথ্যে কলঙ্কজনক বিষয়টি উপলব্ধি করছেন না। আশা করি এখন তারা এ ব্যাপারে নজর দেবেন এবং আজানের দোয়াকে শোধরে দেবেন। আমি আমার সামান্য জ্ঞানে নিন্মক্তভাবে দোয়াটি সংশোধনের প্রস্তাব রাখছি।

‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং শাশ্বত নামাজের তুমিই প্রভু। হজরত মোহাম্মদ (সা.)কে দান করেছ বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানে এবং সুমহান মর্যাদা। আর তাকে অধিষ্ঠিত করেছ শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থানে। যার কথা তুমি পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছ। তুমি আমাদেরও তার নির্দেশিত পথে চলার শক্তি, সাহস দান কর। আমরা যেন সফলকাম হতে পারি।

আশা করি সব ধর্মপ্রাণ নবীপ্রেমিক মুসলমান আমার আলোচ্য বিষয়টি নিয়ে একটু ভাববেন। আমার মতামতের সঙ্গে একমত পোষণ করবেন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কর্মকর্তারা যেন আর মহাভুল করে বিচারপতিকে চৌকিদারের চেয়ে বড় মর্যাদা দিয়ে চির মর্যাদাবানকে খাটো না করেন। আল্লাহপাক সবাইকে সহজ ও সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

তোমার আমি

তোমাতে এই আমি কেন যে,হারাই?
নিজেকে তোমার সাথে কেন যে জড়াই?
এখন শুধুই মনে হয়, আমরা তো আমরাই।
তোমাতে বিমুগ্ধ, মোহিত কেন আমি?
সেটা জানে একমাত্র, আমার অন্তর্যামী।
জানি না তো কেন তুমি থাকো ভাবনায়,
সারা দিবস জুড়ে থাকো আমার কল্পনায়।
কোথায় তুমি, কোথায় আমি, ছিলেম কোথা দু'জন,
দুটি মন আজ এক হলো,
এর নেই তো কোন কারন।
      তুমি আমার,শুধুই আমার ভাবতে ভালো লাগে,
         কেন আমি পাইনি     তোমায়, আরো ক' যুগ আগে?
তুমি আমার সকল চাওয়া সকল সুখের পরশ,
এই তুমি যে শ্রেষ্ঠ তুমি,সবার চেয়ে সরস।
তোমার মায়ায় মোহিত আমি, চাই না কিছু আর,
তোমার চেয়ে দামী চাই না কোন উপহার।
তোমায় আমি চাই যে পেতে সদা সর্বক্ষণ,
উজার করে দিতে চাই যে,আমার পোড়ামন।
ভালোবাসা দিতে তুমি করো না কার্পন্য,
তোমার ভালোবাসা পেয়ে হবো যে আমি ধন্য।����

কে তুমি

কে তুমি?
কে তুমি যাকে আমি এক দেখাতেই শত জনম চিনি?
কে তুমি যাকে এক পলক দেখলে শত জনমের আত্মতৃপ্তি পাই আমি?
কে তুমি দিবা রাতি যার স্মরণে রত থাকি আমি?
কে তুমি যার মাঝে নিজের কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনা আমি?
কে তুমি যার কথার ফুলছড়িতে আমার বিরান তপ্ত মরুভুমি হমদয়ে সঞ্চার হয় পানি?
কে তুমি যার বাকচিত্তে হৃদয়ে হৃদয় মিশে আন্দোলিত হই আমি?
কে তুমি যার ভালবাসার উষ্ণ আবেশে হারিয়ে যাই আমি?
কে তুমি যার আবেশ মাখানো স্নিগ্ধ প্রেমে সর্গের সুখ পাই আমি?
কে তুমি যার মুক্ত ঝড়া হাসি দেখলে শত যান্ত্রনায় হাসি আমি?
কে তুমি যাকে খুশি করার জন্য বাস্তব কবিতা লিখি আমি?
কে তুমি যার নয়নাবরণের উৎকৃষ্ট আকুতিতে সর্গীয় প্রেম খুজে পাই আমি?
কে তুমি যার স্নিগ্ধ প্রেমময় বাহুতে হারিয়ে যেতে চাই আমি?
কে তুমি যাকে এক মুহুর্ত না দেখলে থাকতে পারিনা আমি?
কে তুমি যার আলতো ছোয়ার উষ্ণ পরশে বিলিন হতে চাই অামি?
কে তুমি যাকে একটু সুখের পরশ দিতে শত নত হই আমি?
কে তুমি আমি জানি এই তুমি সেই তুমি যাহা নিজে আমি।।
চল সুলতানা এক নতুন সর্গীয় প্রেমের ভুবন রচনা করি তুমি আর আমি।
যেখানে থাকবে না কোন ক্লেশ,ক্লান্তি,থাকবো শুধু তুমি আর আমি।।

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফোন কোড

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোবাইল কোড
নাম্বার =
বাংলাদেশ (+880)
অস্ট্রিয়া (+43)
অস্ট্রেলিয়া (+61)
অ্যাঙ্গুইলা (+1)
অ্যাঙ্গোলা (+244)
অ্যান্টিগুয়া (+1)
অ্যান্ডোরা (+376)
আইভরী কোস্ট (+225)
আইল অভ ম্যান (+44)
আইসল্যান্ড (+354)
আজারবাইজান (+994)
আফগানিস্তান (+93)
আমেরিকান সামোয়া (+1)
আয়ারল্যান্ড (+353)
আরমেনিয়া (+374)
আরুবা (+297)
আর্জেন্টিনা (+54)
আলজেরিয়া (+213)
আলবেনিয়া (+355)
ইউক্রেন (+380)
ইকুয়েডর (+593)
ইতালী (+39)
ইথিওপিয়া (+251)
ইন্দোনেশিয়া (+62)
ইয়েমেন (+967)
ইরাক (+964)
ইরান (+98)
ইরিত্রিয়া (+291)
ইসরায়েল (+972)
উগান্ডা (+256)
উজবেকিস্তান (+998)
উত্তর কোরিয়া (+850)
উরুগুয়ে (+598)
এল সালভাদোর (+503)
এস্তোনিয়া (+372)
ওমান (+968)
ওয়ালিস এবং ফুটুনা (+681)
কঙ্গো রিপাবলিক (+242)
কমোরস (+269)
কম্বোডিয়া (+855)
কলম্বিয়া (+57)
কসোভো (+381)
কাজাখস্তান (+7)
কাতার (+974)
কানাডা (+1)
কিউবা (+53)
কিরগিজস্তান (+996)
কিরিবাতি (+686)
কুক দ্বীপপুঞ্জ (+682)
কুয়েত (+965)
কুরাসাও (+599)
কেইম্যান আইল্যান্ড (+1)
কেনিয়া (+254)
কেপ ভার্দে (+238)
কোস্টা রিকা (+506)
ক্যামেরুন (+237)
ক্রোয়েশিয়া (+385)
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো (+243)
গাম্বিয়া (+220)
গায়ানা (+592)
গিনি (+224)
গিনি-বিসাউ (+245)
গুয়াডেলোপ (+590)
গুয়াতেমালা (+502)
গুয়াম (+1)
গ্যাবন (+241)
গ্রাঞ্জি (+44)
গ্রানাডা (+1)
গ্রিস (+30)
গ্রীনল্যান্ড (+299)
ঘানা (+233)
চাদ (+235)
চিলি (+56)
চীন (+86)
চেক প্রজাতন্ত্র (+420)
জর্জিয়া (+995)
জর্ডান (+962)
জাপান (+81)
জাম্বিয়া (+260)
জার্মানি (+49)
জার্সি (+44)
জিবুতি (+253)
জিব্রাল্টার (+350)
জিম্বাবুয়ে (+263)
জ্যামাইকা (+1)
টার্ক্স এন্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ (+1)
টুভালু (+688)
টোংগা (+676)
টোগো (+228)
ডেনমার্ক (+45)
ডোমিনিকা (+1)
ডোমিনিকান রিপাবলিক (+1)
তাইওয়ান (+886)
তাজিকিস্তান (+992)
তানজানিয়া (+255)
তিউনিসিয়া (+216)
তুরস্ক (+90)
তুর্কমেনিস্তান (+993)
তোকেলাও (+690)
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো (+1)
থাইল্যান্ড (+66)
দক্ষিণ আফ্রিকা (+27)
দক্ষিণ কোরিয়া (+82)
দক্ষিণ সুদান (+211)
নরওয়ে (+47)
নরফোক দ্বীপ (+672)
নর্থান মেরিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ (+1)
নাইজার (+227)
নাইজেরিয়া (+234)
নাউরু (+674)
নামিবিয়া (+264)
নিউ ক্যালেডোনিয়া (+687)
নিউই (+683)
নিউজিল্যান্ড (+64)
নিকারাগুয়া (+505)
নিরক্ষীয় গিনি (+240)
নেদারল্যান্ড (+31)
নেপাল (+977)
পর্তুগাল (+351)
পশ্চিম সাহারা (+212)
পাকিস্তান (+92)
পানামা (+507)
পাপুয়া নিউগিনি (+675)
পালাউ (+680)
পুনর্মিলনী (+262)
পুয়ের্তো রিকো (+1)
পূর্ব তিমুর (+670)
পেরু (+51)
পোল্যান্ড (+48)
প্যারাগুয়ে (+595)
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ (+500)
ফরাসি গায়ানা (+594)
ফরাসি পলিনেশিয়া (+689)
ফারো দ্বীপপুঞ্জ (+298)
ফিজি (+679)
ফিনল্যান্ড (+358)
ফিলিপাইন (+63)
ফিলিস্তিন (+970)
ফ্রান্স (+33)
বতসোয়ানা (+267)
বলিভিয়া (+591)
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা (+387)
বাংলাদেশ (+880)
বারবাডোস (+1)
বারমুডা (+1)
বাহরাইন (+973)
বাহামা (+1)
বুরুন্ডি (+257)
বুর্কিনা ফাসো (+226)
বুলগেরিয়া (+359)
বেনিন (+229)
বেলজিয়াম (+32)
বেলারুশ (+375)
বেলিজ (+501)
বোনায়ের, সিন্ট ইউস্টাসিয়াস ও
সাবা (+599)
ব্রাজিল (+55)
ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ (+1)
ব্রিটিশ-ভারতীয় সমুদ্র এলাকা (+246)
ব্রুনাই (+673)
ভানুয়াতু (+678)
ভারত (+91)
ভিয়েতনাম (+84)
ভূটান (+975)
ভেনিজ়ুয়েলা (+58)
ভ্যাটিকান সিটি (+39)
মঙ্গোলিয়া (+976)
মন্টসেরাত (+1)
মন্টেনিগ্রো (+382)
মরক্কো (+212)
মরিশাস (+230)
মলদোভা (+373)
মাইক্রোনেশিয়ার জোটবদ্ধ রাষ্ট্র (+691)
মাদাগাস্কার (+261)
মায়ানমার (+95)
মায়োটি (+262)
মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ (+1)
মার্টিনিক (+596)
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ (+692)
মালদ্বীপ (+960)
মালয়েশিয়া (+60)
মালাউই (+265)
মালি (+223)
মাল্টা (+356)
মিশর (+20)
মেক্সিকো (+52)
মেসিডোনিয়া (+389)
মোজাম্বিক (+258)
মোনাকো (+377)
মৌরিতানিয়া (+222)
ম্যাকাউ (+853)
যুক্তরাজ্য (+44)
যুক্তরাষ্ট্র (+1)
রাশিয়া (+7)
রুয়ান্ডা (+250)
রোমানিয়া (+40)
লাইবেরিয়া (+231)
লাওস (+856)
লাটভিয়া (+371)
লিচেনস্টাইন (+423)
লিথুয়ানিয়া (+370)
লিবিয়া (+218)
লুক্সেমবার্গ (+352)
লেবানন (+961)
লেসোথো (+266)
শ্রীলঙ্কা (+94)
সংযুক্ত আরব আমিরাত (+971)
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ (+677)
সাইপ্রাস (+357)
সাওতোম ও প্রিন্সিপ (+239)
সান ম্যারিনো (+378)
সামওয়া (+685)
সার্বিয়া (+381)
সিঙ্গাপুর (+65)
সিয়েরা লিওন (+232)
সিরিয়া (+963)
সিসিলি (+248)
সুইজারল্যান্ড (+41)
সুইডেন (+46)
সুদান (+249)
সুরিনাম (+597)
সেইন্ট বারথেলেমি (+590)
সেইন্ট মার্টিন (+590)
সেইন্ট মার্টিন (+599)
সেইন্ট হেলেনা (+290)
সেনেগাল (+221)
সেন্ট কিটস এবং নেভিস (+1)
সেন্ট পিয়ের ও মিকেলন (+508)

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮

সালাতের কথা

ওয়াক্তিয়া নামাজ কি রাসুল (সাঃ) মেরাজ থেকেই এনেছিলেন?
সালাতঃ সালাত শব্দের অর্থ আল্লাহ্‌র সাথে অবিরত সংযোগ করার চেষ্টা করা বা সার্বক্ষণিক নামাজ। সালাতের সাথে নামাজের সম্পর্ক ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। নামাজ ফার্সি শব্দ এর আরবী অর্থ সালাত আর বাংলা অর্থ উপাসনা করা, পুজা করা, আরাধনা করা। আমরা যে চব্বিশ ঘণ্টায় পাঁচ বার সালাত কায়েম করি তার উল্লেখ কুরআন এর কোথাও নেই। কুরআন এ যে সালাতের কথা বলা হয়েছে সেটি দায়েমি সালাত। কিন্তু প্রচলিত মতে কোরআন এর দায়েমি সালাত কেই ওয়াক্তিয়া নামাজ হিসাবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ দায়েমি সালাতের কথা সূরা মাজেদে পরিষ্কার করে বলা আছে। হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) ও বলেন “আস্‌সালাতুল দাওয়ামি আফজালুম মিনাল সালাতিন ওয়াক্তিয়া” অর্থ “ওয়াক্তিয়া নামাজ হতে দায়েমি সালত অনেক বেশী র্মযাদাবান”। অপর দিকে কুরআন বলছে “আলস্নাজিনা হুম আলা সালাতেহিম দায়েমুনা” অর্থ “তাহারা সবসময়ই সালাতের উপর অবস্থান করে”(৭০:২৩)। দায়েমি সালাতের কথা সরাসরি কুরআনে বলা হল কিন্তু ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা ইঙ্গিতেও এক বার বলা হল না কেন? বলা হয়ে থাকে কুরআনে ৮২ বার সালাতের কথা বলা হয়েছে, আল্লাহ্‌ ৮২ বার দায়েমি সালাতের কথা বলতে পারলেন এক বার ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা বললে এমন কি বাড়তি অসুবিধা হতো? ইহা কি একটি অবাক করা বিষয় নয়? কত হাজারো কথা কুরআনে বলা হল, অথচ মুসলমানদের এত প্রিয় ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা এক বারও বলার প্রয়োজন হল না। দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মারিফত মৌলানা হযরত রুমি বলেন “ওয়াক্তিয়া নামাজ পথ দেখানো নামাজ কিন্তু আল্লাহ্‌ প্রেমিক গণ সার্বক্ষণিক নামাজে (দায়েমি সালাতে) রত থাকেন। হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) সালাতের হকিকত বলেন “হে উমার হুজুরি কল্‌ব ব্যাতীত সালাত সিদ্ধ হয় না। যে নামাজ শুধু রুকু, সেজদা, কেয়াম, কেরাত,সালাম এইসব শারীরিক কসরতে পর্যবসিত হয় তাতে আল্লাহ্‌ প্রাপ্তি হয় না। যে সকল মুসলমান সাজ সজ্জা করে লোক দেখানোর জন্য নামাজ পরে তাদে না নামাজ হয় না আল্লাহ্‌র সাথে মিলন
হয়! আম্বিয়া ও আউলিয়া গণের সালাতে তাদের ইদ্রিয় গুলি ও আল্লাহ্‌র জেকেরে ও ফেকেরে থাকে, কারণ আল্লাহ্‌ প্রতিটি নিঃশ্বাসের হিসাব রাখেন। হে উমার এরই প্রকৃত মুসলমান, আল্লাহ্‌কে এরই পাবে। তাই কুরআন বলছে “সেই ব্যক্তি মুসলমান, যে ব্যাক্তি দায়েমি সালাত পালন করে”(৭০:২২-৩৫)। তাহলে ২৪ ঘণ্টা অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে তো নামাজ আদায় করা সম্ভব নয়, তবে কি প্রকৃত মুসলমান হবার জন্য কুরআনে অন্য কোন নামাজ কে বুঝিয়েছে। কেন না বিরাম হীন ভাবে প্রচলিত নামাজ পরা তো সম্ভব নয়। কুরআন আরও বলতেছে “আমি মানুষ ও জ্বীন জাতি কে কেবল মাত্র আমার ইবাদতের উদ্দেশে তৈরি করেছি” (যারিয়াত-৫৬)। কুরানের উক্ত বাণী দুটি অনুসরণ করলে দায়েমি সালাতের বিষয় টি স্পষ্ট ভাবে ধরা পরে।
হযরত আনাস ইবনে মালিক হতে বর্ণিত হাদীসটিকে কেন্দ্র করেই ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা বলা হয়ে থাকে। একটু চিন্তা করলেই হাদীসটির আসল আর নকল বিষয় টি ধরা পরে। আল্লাহ্‌ না জেনে না বুঝে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করলেন, আর মহানবী (সাঃ) বোকার মত তা নিয়ে চলে আসার পথে মুসা নবীর নির্দেশে আবার ফেরত গিয়ে ৫ ওয়াক্ত কমিয়ে পূনরায়৪৫ ওয়াক্ত নামাজ আনলেন। একই ভাবে মুসা নবীর সাথে দেখা হলে তিনি মোহাম্মাদ (সাঃ) ও আল্লাহ্‌ পূনরায় একই ভুল করাতে মুসা নবী আবারও নামাজ কমিয়ে আনার আদেশ দিলেন। এমনি করে প্রথমে ৪৫ ওয়াক্ত, দ্বিতীয় বার ৪০ওয়াক্ত, পরে ৩৫ এভাবে ৩০,২৫,২০,১৫,১০ ওয়াক্ত সব মিলিয়ে ৪৫ওয়াক্ত  কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত করলেন। বিষয় লক্ষ করুন মুসা নবীর নির্দেশে নবীদের সর্দার হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এরূপ ৯ বার আসা যাওয়া করে উম্মতের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ আনলেন। যদিও মুসা নবী আল্লাহ্‌র- নবীর সর্ব শেষ সিদ্ধান্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজেও সম্মতি দেননি। যদি হাদিস টি সত্য বলে ধরি, তবে আল্লাহ্‌ ও হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর চরিত্রকে অতিশয় ছোট করে দেখা হবে, এবং আল্লাহ্‌ ও হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর সিদ্ধান্তে বার বার সম্মতি না দেবার কারণে মুসা নবীকে আদব-কায়দাহীন হিসাবে ধরে নিতে হবে। অথচ কুরআন বলছে “নবীগণ আল্লাহ্‌র আদেশের তিল পরিমাণ সংযোজন, সংকোচন, অস্বীকার বা প্রতিবাদ করেন না”(হাক্কা-৪৪,৪৫,৪৬)। “আল্লাহ্‌র বিধানে কোন রদবদল হয় না”(৩৫:৪৩)। “আল্লাহ্‌র কথা ও কাজের কোন পরিবর্তন হয় না”(আহ্‌জাব)। “আল্লাহ্‌ কখনো অঙ্গিকার ভঙ্গ করেন না”(৩:৯)।“আমি কাউকে তার সাধ্যাতিত দায়িত্ব অর্পণ করি না”(আরাফ-৪২,২:২৮৬)। কিন্তু এই হাদীসটিতে দেখতে পাই কোরআন এর সম্পূর্ণ বিপরীত! তবে কি হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে ছোট করা এবং আল্লাহ্‌ ও নবীর দায়েমি সালাতের দর্শনকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এই হাদীসটি পরবর্তীতে রচনা করা হয়েছিল? কেন না হাদীসটিতে হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে উম্মতের জন্য অযোগ্য, অদূরদর্শী, জ্ঞানহীন, বানানো হয়েছে এবং স্বয়ং আল্লাহ্‌কেই অবিবেচক,কান্ডজ্ঞানহীন, কথার রদবদলকারী, উম্মতের উপর জুলুমকারী, ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর মুসা নবীকে শ্রেষ্ঠ নবী এবং আল্লাহ্‌র চেয়েও জ্ঞানী বানানো হয়েছে; যেহেতু আল্লাহ্‌ ও মহানবীর ভুল সিদ্ধান্ত মুসা নবী কতৃক ৯বার সংশোধিত হয়েছে! এত কিছুর পরও যদি হাদীসটিকে সত্য বলে ধরে নিতে চান তবে কুরানের বাণীগুলো মিথ্যা হয়ে যায় এবং আল্লাহ-নবীর চরিত্রের অস্তিত্ব থাকে না, আর যদি হাদীসটি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে শরিয়তের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কোন অস্তিত্বই থাকেনা।
সকল নবি-রাসূলের আমলেই ‘সালাত’ পালনের কথাটি কোরআনে বলা হয়েছে (২:১২৫,৩:৪৩,২:৮৩)। কিন্তু পূর্ববতী নবীদের অনুসারীদের মাঝে কোন আনুষ্ঠানিক ওয়াক্তিয়া নামাজ প্রচলিত ছিল না, এবং কুরআন,ইঞ্জিল, যাবুর, তাওরাত কোন গ্রন্থেই এই বিষয়ে উল্লেখ নেই। তাহলে তারা কোন্ নামাজ এবং কি রুপে আদায় করতেন? যেহেতু কুরআন তাদের সালাত পালনের কথাটি বলছে। মোহাম্মাদ (সাঃ) মক্কায় অবস্থান কালেও ওয়াক্তিয়া নামাজ প্রচলিত ছিল না। অথচ কোরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে ৮৬ টি সূরাই মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং যার অধিকাংশ সূরাতেই সালাতের কথা বলা হয়েছে। তাহলে উক্ত সুরাগুলোতে কোন নামাজের কথা বলা হয়েছে? যেহেতু তখন কোন নামাজই ছিল না! তবে কি উক্ত আয়াতগুলো এবং কুরআনে বর্ণিত সালাত বলতে ‘দায়েমী সালাত’ কে বুঝানো হয়েছে, যা পূর্বেও ছিল এখনও আছে? তা নাহলে কুরআন কেন বলছে “অতীতের সব নবীদের হ্মেত্রেও ছিল একই বিধান, তুমি কখনো কোন পরিবর্তন পাবে না”(১৭:৭৭)। যে আয়াত গুলি কে কেন্দ্র করে শরিয়তী আলেমগন নামাজের ওয়াক্ত সৃষ্টি করে থাকেন, দুঃখের বিষয় হল সেই আয়াত গুলিতে ‘সালাত’ শব্দটি নেই। আরও লক্ষ করুন, মহানবী মেরাজে নিয়ে যাবার কথাটি কুরআনে উল্লেখ আছে, কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যে সঙ্গে নিয়ে এলেন সেই গুরুত্বপূর্ণ কথা টি কোরআনে কোথাও নাই। যে নামাজ বাদ পড়লে কথিন-ভয়ঙ্কর দোজখে যেতে হবে বলা হয়ে থাকে, উম্মতের সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ নামাজের বিষয় টি আল্লাহ্‌ এড়িয়ে গেলেন! কিন্তু পরবর্ততে মুয়াবিয়া, এজিদ এবং উমাইয়া ও আব্বাসিয়া রাজশক্তির পোষা আলেমগণ কুরআনের ‘দায়েমী সালাত’ কে বাদ দিয়ে উহার স্থলে ‘ওয়াক্তিয়া নামাজ’ কে প্রকৃত সালাত বলে মুসলিম সমাজে চেপে দেন। মহানবীর প্রকৃত দর্শনকে সমাজ হতে মুছে ফেলার জন্যই কি পরিকল্পিত ভাবে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিলো? যেহেতু তারা ছিল মউলাইত* বিরোধী এবং নবী বংশের জাত শত্রু!
সূরা মাউনে বলা হয়েছে, “ওই সকল মুসল্লীদের জন্য ওয়াইল দোজখ যারা তাদের সালাতের বেখেয়াল, যারা লোক দেখানো নামাজ পড়ে”। যে নামাজ চর্ম চোখে দেখা যায় তাকে লোক দেখানো নামাজ বলে, কেননা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যম ছাড়া মানুষকে কিছু দেখানো যায় না! মহানবী (সাঃ) বলেন “যে মানুষটি লোক দেখানো নামাজ পড়ে সে শেরেক করে”। তিনি আরও বলেন, “এমন অনেক নামাজী আছে, পরিশ্রম ও ক্লান্তি ব্যতীত তাদের নামাজ কিছুই লাভ হয় না”। লোক দেখানো নামাজ, পরিশ্রম ও ক্লান্তি, অবশেষে শেরেক ও ওয়াইল দোজখে নিক্ষেপ এই কথা গুলি কই প্রচলিত নামাজ কে উদ্দেশ্য করে বলা হল? যেহেতু ওয়াক্তিয়া নামাজেই উক্ত বিষয় গুলি ফুটে ওঠে! এজন্যই হযরত আলী দেওয়ান বলেন “মোরাকাবার নামাজ পড়ে দেখছোনি, ভেদ না জেনে নামাজ পড়লে হয় শয়তানী”। তাইতো ইসলাম গবেষক সদরউদ্দিন আহমেদ চিশ্‌তী বলেন, “পাঁচ ওয়াক্তের কাষ্ঠ নামাজের উপর জোর দিয়া উহা পালন করিবার তাগিদের উপর বাড়াবাড়ি করবার অভ্যাস মোনাফেকের লক্ষণ”। এই সমস্ত বিভিন্ন কারনে হয়ত বহু উচু স্তরের অনেক ওলীগন ওয়াক্তিয়া নামাজ থেকে বিরত  থেকেছেন। এমন কি মহানবীর নিকটতম বিশিষ্ট সাহাবী আস্‌হাবে সুফ্‌ফাগণ আনুষ্ঠানিক নামাজ হতে বিরত থাকতেন। বরং তাঁরা দায়েমি সালাতে তথা সার্বক্ষণিক ধ্যান সাধনায় ডুবে থাকতেন। মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন “সালাত-ই মোমেনের মেরাজ” যে নামাজে মেরাজ* হয় না তাকে কি শুদ্ধ ভাবে নামাজ বলে ধরে নেব?
সাধারণ মানুষ কেন বুঝতে চেষ্টা করেনা যে, মোহাম্মাদ (সাঃ) হেরা গুহায় কোন নামাজ বা সাধনা করার পর কুরআন নাজিল হয়েছিল? কোন ধ্যান সাধনার ফলে তিনি নবুয়ত পেলেন, মেরাজে গেলেন, শ্রেষ্ঠনবী হলেন? তখনতো ওয়াক্তিয়া নামাজের অস্তিতই ছিল না! আবার ওয়াক্তিয়া নামাজ নিয়ে আলেম ও মোল্লাদের মধ্যে মত বিরোধ আছে। দল-উপদল গুলির মধ্যে আনুষ্ঠানিকতার পার্থক্য ও মতভেদ-ই তার জলজ্যান্ত প্রমান।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত এর পর থেকে ওফাত গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর সাহাবিরা রাসুলের (সাঃ) সান্নিধ্যে ছিলেন । প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত হিসেবে মাসে ৩০ দিন ধরলে ১৫০ ওয়াক্ত , বছরে ১৮০০ ওয়াক্ত, আর ১০ বছরে ১৮০০০ ওয়াক্ত রাসুল (সাঃ) সালাত আদায় করেছেন সাথে সাহাবীগণও । শুধু ফরজ সালাত ।
এই ১৮০০০ ওয়াক্ত সালাত রাসুল সাঃ আদায় করেছেন সাহাবিদের নিয়ে একই পদ্ধতিতে আদায় করেছেন । অথচ প্রায় ২ যুগের মধ্যেই রাসুল সাঃ সাহাবিদের হাতে কলমে সাথে নিয়ে শিখিয়ে দেয়া সালাত আদায়ের পদ্ধতি কে বা কারা এবং কেনো পালটে ফেলেছিল ?
১০ বছরের ট্রেনিং কি সাহাবীদের জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিলো না ?

================================ 
" মেরাজের রজনীতে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ হতে ০৫ ওয়াক্ত করা প্রসঙ্গে "
বুখারী, আধুনিক প্রকাশনীর ১;৩৩৬, ৩;২৯৬৭, ৩০৯৫ ও ৩৬০০ নং হাদিস অনুযায়ী কিভাবে মেরাজে ৫০ ওয়াক্ত নামাজকে হযরত মুসা (আঃ) এর পরামর্শ গ্রহন করে ০৫ ওয়াক্তে পরিণত করা হয় তার বর্ণনা আছে । কিন্তু নিজ উম্মতের অবস্থা রাসুল (সাঃ) হযরত মুসা (আঃ) অপেক্ষা কম জানবেন, বিষয়টি আমার বোধগম্য হয় না , যিনি শ্রেষ্টতম রাসুল, সাইয়্যেদুল আম্বিয়া, আল্লাহ্ তায়ালা রাসুল (সাঃ) কে গায়েব জ্ঞাত করেছেন ( মারেফুল কোরআন, পৃঃ-২১৯ ও আল কোরআন সুরা জ্বীন, আয়াত-২৬-২৮ ),
তা হলে ওয়াক্তিয়া নামাজ কোথা থেকে আসল?
রাসুল (সাঃ) মদিনা তে আসার পর তিনি প্রথম এমন একটি শহর ও জাতি পেলেন যাদের উপর রাসুলের (সাঃ) পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে আর এই কারনেই দুনিয়ার প্রথম সংবিধান মদিনা সনদ প্রণয়ন করলেন। রাসুলের (সাঃ) যুগকে বলা হত অন্ধকারের যুগ যে যুগে রাসুলকে (সাঃ) বলতে হয়েছে তোমরা তোমাদের মা এবং বোনের সাথে যৌন সংযম করো না, কন্যা সন্তান কে জীবন্ত কবর দিওনা। এই রকম একটা বিশৃঙ্খল  সমাজকে সুন্দর ও শৃঙ্খল করার জন্য একটা সুন্দর রুটিনের প্রয়োজন ছিল। আর এই রুটিন ই হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। একটা উধারন দিলে পাঠকরা ভাল বুঝবেন। ফজরঃ ৪রাকাত, ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি নামাজ পরা কষ্টকর। এই কারনে মাত্র ৪ রাকাত।
জোহরঃ ১০ রাকাত, সারাদিন কাজ করে গোসল করে বিশ্রাম নিয়ে বেশি নামাজ পরা সম্ভব। এই কারনে ১০ রাকাত।
আসরঃ ৪রাকাত, পুরাপুরি কাজের সময়,এই কারনে মাত্র ৪ রাকাত।
মাগ্‌রিবঃ ৫রাকাত, কাজের পর ক্লান্ত অবস্থায় দীর্ঘ নামাজ কষ্টকর, এই কারনে মাত্র ৫ রাকাত।
এশাঃ ১৩ রাকাত (বেতের সহ)। বিশ্রাম নিয়ে এই নামাজ পরা সম্ভব, এই কারনে ১৩ রাকাত।
শুধু কোন সমাজ ব্যাবস্থায় না এই রুটিন যদি আমারা আমাদের মানব জীবনেও পুরাপুরি মেনে চলি তবে আমাদের জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে।

মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১৮

দায়েমি সালাত

إِلَّا الْمُصَلِّينَ
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায আদায় কারী।
الَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ

যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।