নফি এসবাত
==========
লা ইলাহা নফি সে হয়,
ইল্লাল্লাহু সে হয় দীন দয়াময়,
নফি এসবাত তাহারে কয়,
সেহিতো এবাদত উল্লা।।
নফি এসবাত যে বুঝেনা,
মিছে তাহার পড়া শোনা,
লালন কয় ভেদ উপাসনা,
না জেনে টসকে মরে।
নফি মানে নাস্তি অর্থাৎ কিছু অস্বীকার করা যেমন না বা নাই ! এসবাত মানে আস্তি অর্থাৎ ঐটাকে প্রতিষ্ঠিত করা যেমন হা বা আছে।অর্থাৎ বলা হচ্ছে এই নফি দ্ধারা নিজের আমিত্বকে না বা নাই করা !এসবাত দ্বারা নিজের আমিত্বর জায়গায় অন্য কেউ আছে অর্থাৎ যিনি আছেন তাকে মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত করা।লা ইলাহা নফি সে হয় ,এখানে বলা হচ্ছে যে,লা-মানে নেই,ইলাহা মানে মাবুদ,ইল্লাল্লাহু দ্বারা আল্লাহকে আপন আমিত্ব ছাড়া দেখা। এখানে লা ইলাহা নফির অংশ, ইল্লাল্লাহু ইসবাতের অংশ।অর্থাৎবলা হচ্ছে:তোমরা নফি এসবাতের জিকির করে দেখ সেখানে নেই অন্য কোন মাবুদ এক আল্লাহ ছাড়া।এইজন্য তরিকতের ফকিরগণ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুর জিকিরকে নফি এসবাত বলেন।তাই গরীবে নেওযাজ হযরত খাজা বাবা বলেছেন:নফি দ্ধারা কি নাই তা’করতে হবে এবং এসবাত দ্বারা কি আছে তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ইল্লাল্লাহুকে স্বরণ ও সংযোগের মাধ্যমে। সুতারং নফি এসবাত না জেনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুর জিকির করা শেরেকের সামিল।সেই জন্য বলা হচ্ছে:নফি এসবাত যে বুঝেনা,মিছে তাহার পড়া শোনা।সুফিগণ ঐজন্য বলে থাকেন যে কাবা ঘরে শরিয়ত আর হেরাগুহায় মারেফত।মোল্লাগণ কাবা ঘরের শরিয়ত নিয়ে মত্ত থাকেন আর আউলিয়াগণ হেরাগুহার মারেফতের মধ্যে ডুবে থাকেন।তাই বলা যায় ইঁদুরের শক্তি দ্বারা কখনও বাঘের শক্তি মাপা যায় না। তদ্রূপ মোল্লা মুন্সি দিয়ে আহম্মদ ও মোহাম্মদের ভেদ রহস্য পাওয়া যায় না।যার অন্তর দৃষ্টিহীন জাহেরী জ্ঞান দিয়ে পরিপূর্ণ্ সে কি করে আল্লাহকে পাবে? তাই ফকির লালন কয় ভেদ উপাসনা,না জেনে টসকে মরে।