সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১

ফকির অর্থ

ফকির শব্দের অর্থ কি???
ফকির বলতে কাদের বুঝায়???
শব্দের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণঃ একদা কোন
এক ব্যাক্তি হুজুর গাউছে পাকের কাছে
ফকির কাকে বলে জানতে চাইলে তিনি
উত্তর দিলেন, ফকির এর আরবী বর্ণ
১।'ফে' দ্বারা বুঝায় নিজেকে আল্লাহর ইচ্ছার উপর ফানা বা বিলীন করে দাও।
২।'ক্বাফ' দ্বারা বুঝায় তোমার অন্তরকে আল্লাহর প্রেমে পরিশুদ্ধ কর, তাঁর রেজামন্দির কাজে
মগ্ন থাক।
৩।'ইয়ে' দ্বারা বুঝায় আল্লাহর ভয় অন্তরে
রেখে তাঁর নিকট চাও।
৪।'রে' দ্বারা বুঝায় আন্তরিক নম্রতা, কোমল চিত্ততা গ্রহণ কর।
অর্থাৎ যিনি নফছানিয়ত খায়েশ ছেড়ে কেবল
আল্লাহমুখি হয়েছেন এবং ফানা ফিশ শায়েখ,
ফানাফির রাসুল, ফানাফিল্লাহর মকামে লাভ করেছেন তিনিই ফকির। ফকিরের আভিধানিক অর্থঃ দরিদ্র, গরিব, অভাবী, যার কিছুই নাই।এরা দুনিয়ার মুখাপেক্ষী
ফকির ২ প্রকারঃ
১।আল্লাহর মুখাপেক্ষী
২।দুনিয়ার মুখাপেক্ষী
কাশফুল মাহজুব কিতাবে দাতা গন্জে
বখশ লাহোরী কঃ বলেন, যারা জাহেরী
ধনসম্পদের সম্পর্ক ছিন্ন করে রব্বে
তায়ালার রেজামন্দি হাসিল করেছেন
তিনিই ফকির। যিনি হয়ে যাও বলার
সাথে সাথেই হয়ে যায়,সকল মাখলুকাত তাঁর
চোখের সামনে হয়ে যায়।এ প্রকার ফকিরি
সম্পর্কে রাসুল সাঃ বলেন, ফকিরী আমার
থেকে। অর্থাৎ সকল ফকিরী আসে রাসুল সাঃ
হতে।ফকিরী দরবেশী আল্লাহর নিয়ামতের
অন্যতম ভান্ডার। ফকির ব্যক্তি চুপচাপ থাকে, কিন্তু তাঁর কলব সদা আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকে।তাঁর কলব ঈমানী নূরে পূর্ণ থাকে। এ ধরণের ফকির সম্পর্কে রাসুল সাঃ এরশাদ করেন, এমন অনেক লোক আছে যাদের মাথার চুল এলোমেলো, যারা মানুষের দুয়ার হতে
বিতাড়িত।যদি তারা আল্লাহর নামে শপথ
করে কিছু বলে ফেলে তা কবুল হয়ে যায়
(মুসলিম শরীফ)। তাঁরা একমুহুর্তও আল্লাহর
জিকির হতে গাফেল হন না। মজ্জুব
পর্যায়ের ওলীআল্লাহগণ এমনই
হয়ে থাকেন।। জয় হোক মানবতার, শান্তিময় হোক পৃথিবী।।

শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১

দেখেছি তোমায় আমি

বটতলা হাটতলা নদীর ঘাটে 
পুকুর পারে তোমায় দেখিনি। 
রুমুর ঝুমুর পায়ে হলদে শাড়ী গায়ে
বৈশাখী মেলায় তোমায় দেখিনি।
খোঁপায় জবা ফুলে একটু হেলে দুলে
খালি পায়ে হাটতে তোমায় কভু দেখিনি।
দেখেছি তোমায় হেরে যাওয়া জীবন সংগ্রামে
 হার কখনো তুমি মানোনি।
দেখেছি তোমায় কত যাতনায় কত বেদনায়
ছেঁড়া পালের হাল তুমি ছাড়োনি।
দেখেছি তোমায় সাহসী বীরের মতো 
আহত হয়েও,পিছু ফিরোনি।
তোমায় দেখে দেখে আমি অভিভূত, মুগ্ধ 
ফিরে পাই টিকে থাকার চেতনা সংগ্রামী।
ভালো থাকলে তুমি, 
ভালো থাকবো আমি।।
(সাজু) ৬/০৩/২০২১(১১ঃ২০ ঘটিকা)

সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

রুপ স্বরূপ

★প্রসংগ ★
★রুপ, স্বরুপঃ>>>>>>>>>>>>>
_______________________
* খালাকা আদমা আলা সূরাতিহী* 
অর্থঃ আমি নিজ রুপে আদম গড়েছি! আমার স্বরুপটাই তার রুপ! লা শারীকাল্লাহ! তিনি এখানেই!
আমার মতো দ্বীতীয় আর কেহ ছিলো না! নাই আর থাকবেও না! 

* লাইছা কামিছলিহী শাইয়ুন*(সূরা শুয়ারা) 
অর্থঃ আমার সদৃর্শ আর কেউ নাই!
তাই গুরু রুপকে অছিলা বা আয়না করে, নিজ রুপকে চিনতে হবে!

* ফা আইনামা তুওয়াল্লাুউ ফাছাম্মা ওয়াজহুল্লাহ অর *
অর্থঃ যে দিকেই মুখ করো, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা বর্তমান! 
অথচঃ মোল্লারা তাকে নিরাকার বলে, সদাই অসহায় ধর্ম প্রান মানুষদেরকে ধোকা দিচ্ছে!

* কুল্লুমান আলাইহা ফানিও ওয়া ইয়াবকা ওয়াজহু রব্বিকা জুল জালালি ওয়াল একরাম *(আর রহমান) 
অর্থঃ খোদার সুরাত ছারা সবকিছুই ফানা হয়ে যাবে! 
তাই এই মোকামটি চিনে আমাদের সাধন করতে হবে! 

 গুরুঃ
গুরু হলেন বট বৃক্ষ স্বরুপ, 
ভক্ত হলেন ক্লান্ত পথিক, 
যখন পথিক বট বৃক্ষ তলে আশ্রয় নেয়! 
তখন তার দেহ মন শীতল হয়ে যায়! 
    ( জয় গুরু আলেক সাইঁ)
_____________________________
<<সংগৃহীত>

ফানাফিল্লাহ্

----------ফানাফিল্লাহ্-এর অর্থ।
 ---------------------------------------
মহান আল্লাহ্‌ তাআলার দিদার পেতে হলে-
শরীয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারেফত-এর৩৬তম স্তর বা স্টেজ পাড় হয়ে সর্বশেষ ৩৭ তম স্তর এর নাম।

# শরীয়ত,তরীকত,হাকীকত ও মারেফত এর কিছু রহস্য।

# শরীয়ত,তরীকত,হাকীকত ও মারেফতে এই চারটি স্তর আল্লাহ্‌র দর্শন লাভ বিষয়ে তারা যে যা বলে থাকে---

# শরীয়ত বলে---
আমি শরীয়ত আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ নিরাকার,আল্লাহ অদৃশ্য চোখে দেখা যায়না।

# তরীকত বলে---
আমি তরিকত আমি বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ্ অদৃশ্য নয় আল্লাহ্কে দুই নয়নে দেখা যায় এই ত্রিভুবনে তিনি সাকারে বিরাজিত এবং সেই তরীতে না উঠলে আল্লাহর দর্শন লাভ সম্ভব নয়।

# হাকিকত বলে---
আমি তরিকত থেকে হাকিকতের ঞ্জান  অর্জন করেছি এবং এইমাত্র আল্লাহর গুপ্ত রহস্য বুঝতে পারলাম।

# মারেফত বলে---
আমি এইমাত্র আল্লাহর গুপ্ত রহস্য ভেদ করলাম এবং এখন আমি আল্লাহর অতি নিকট বর্তী আছি এবং যে কোন মুহুর্তে দর্শন ময় পর্দা বিস্ফোরন হতে পারে।

এবার মারেফাত সাধনাবলে ধীরে ধীরে সপ্তম আসমানে অগ্রসর হতে লাগল-এবং সপ্তম আসমানে হঠাৎ একদিন-

'লাওহে মাহফুজের'

ভিতরে এক উজ্জ্বল আলকিত বস্তুু দেখতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল আর বলে উঠল।
'হে আলো আমি তোমার অতি নিকটে।
 এবার তোমার রহস্য ভেদ না করে আমার ফিরার পথ নেই।
আমি তোমার প্রেম দরিয়ায় উন্মাদ হয়ে গিয়েছি।

আজ তোমার আমার মাঝে এই পর্দা ভেদ করবো।

দেখবো তোমায় নয়ন ভরে,দেখবো তুমি কোন রুপে লীলা করো।

ধীরে ধীরে তার এস্কের যশ চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে-

 'ফানাফিল্লাহ্' 

অবস্হা ধারণ করলো এবং সাথে সাথে মারেফাতের দর্শনময় পর্দা বিস্ফোরন হলো এবং পর্দা ভেদ করে ভিতরে ঢুকেই দেখতে পেল-

 জ্যোতিময় সেই আলোকিত বস্তুু চারিদিকে-

 তরীকতের বায়াত গ্রহনের সময় ইতিপুর্বেও দেখেছিলাম-

আমার মুর্শিদের ঐ রুপের মাঝে -এ আমি কি দেখছি-
---এই তো দেখতে পারছি সেই রুপ--

-এইতো আলোর মধ্যে ঝলকানি দিয়ে মাঝে মাঝে ভেসে উঠছে আমার মুর্শিদের চেহারা জামান মুবারক।

হঠাৎ সেই ধারালো আলো আমার নিজ রুপকে আলোকিত করে ফেলল এবং আমাকে টেনে নিয়ে গেল তার রুপের গহীনে সাথে সাথে একটা ঝলকানি দিয়ে আমি তার রুপের মধ্যে বিলীন হয়ে গেলাম।

অতঃপর-নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলাম-

--আমি নিজেই সেই আলোক বস্তুর আকার ধারন করেছি-
সঙ্গে সঙ্গে নিজের রুপের মাঝে আমি হাবু-ডুবু খেতে খেতে এক পযার্য় গর্জন করে বলে উঠলাম-

"আমি-ই আলো,আমি-ই জ্যোতিময়,তোমার রুপের মাঝে আমার রুপের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই।

অতঃপর-মা'রেফত সিদ্ধি ধারনকারী-

-লাওহে মাহফুজ থেকে বায়তুল মামুরে-

 'সিদরাতুলমুনতাহায়'

পা রেখেই চিৎকার করে বলে উঠলো-

"আমি এখন 'ফানাফিল্লাহ্'

এইমাত্র আল্লাহ্ আর আমি এবং আমি  আর আল্লাহ্ দর্শন লাভ করলাম-

অতঃপর বির্দ্যুতের ন্যায় আওয়াজ করে-

"নিজেকেই নিজে"বলতে লাগলো-

 সত্যি-ই তুমি রুপনগরের রুপসী,
তুমি-ই অনাদির আদি,
তুমি-ই অনন্ত অসীম, 
তুমি-ই মহান,তুমি-ই সর্বশ্রেষ্ঠ।