সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

ফানাফিল্লাহ্

----------ফানাফিল্লাহ্-এর অর্থ।
 ---------------------------------------
মহান আল্লাহ্‌ তাআলার দিদার পেতে হলে-
শরীয়ত,তরিকত,হাকিকত ও মারেফত-এর৩৬তম স্তর বা স্টেজ পাড় হয়ে সর্বশেষ ৩৭ তম স্তর এর নাম।

# শরীয়ত,তরীকত,হাকীকত ও মারেফত এর কিছু রহস্য।

# শরীয়ত,তরীকত,হাকীকত ও মারেফতে এই চারটি স্তর আল্লাহ্‌র দর্শন লাভ বিষয়ে তারা যে যা বলে থাকে---

# শরীয়ত বলে---
আমি শরীয়ত আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ নিরাকার,আল্লাহ অদৃশ্য চোখে দেখা যায়না।

# তরীকত বলে---
আমি তরিকত আমি বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ্ অদৃশ্য নয় আল্লাহ্কে দুই নয়নে দেখা যায় এই ত্রিভুবনে তিনি সাকারে বিরাজিত এবং সেই তরীতে না উঠলে আল্লাহর দর্শন লাভ সম্ভব নয়।

# হাকিকত বলে---
আমি তরিকত থেকে হাকিকতের ঞ্জান  অর্জন করেছি এবং এইমাত্র আল্লাহর গুপ্ত রহস্য বুঝতে পারলাম।

# মারেফত বলে---
আমি এইমাত্র আল্লাহর গুপ্ত রহস্য ভেদ করলাম এবং এখন আমি আল্লাহর অতি নিকট বর্তী আছি এবং যে কোন মুহুর্তে দর্শন ময় পর্দা বিস্ফোরন হতে পারে।

এবার মারেফাত সাধনাবলে ধীরে ধীরে সপ্তম আসমানে অগ্রসর হতে লাগল-এবং সপ্তম আসমানে হঠাৎ একদিন-

'লাওহে মাহফুজের'

ভিতরে এক উজ্জ্বল আলকিত বস্তুু দেখতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল আর বলে উঠল।
'হে আলো আমি তোমার অতি নিকটে।
 এবার তোমার রহস্য ভেদ না করে আমার ফিরার পথ নেই।
আমি তোমার প্রেম দরিয়ায় উন্মাদ হয়ে গিয়েছি।

আজ তোমার আমার মাঝে এই পর্দা ভেদ করবো।

দেখবো তোমায় নয়ন ভরে,দেখবো তুমি কোন রুপে লীলা করো।

ধীরে ধীরে তার এস্কের যশ চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে-

 'ফানাফিল্লাহ্' 

অবস্হা ধারণ করলো এবং সাথে সাথে মারেফাতের দর্শনময় পর্দা বিস্ফোরন হলো এবং পর্দা ভেদ করে ভিতরে ঢুকেই দেখতে পেল-

 জ্যোতিময় সেই আলোকিত বস্তুু চারিদিকে-

 তরীকতের বায়াত গ্রহনের সময় ইতিপুর্বেও দেখেছিলাম-

আমার মুর্শিদের ঐ রুপের মাঝে -এ আমি কি দেখছি-
---এই তো দেখতে পারছি সেই রুপ--

-এইতো আলোর মধ্যে ঝলকানি দিয়ে মাঝে মাঝে ভেসে উঠছে আমার মুর্শিদের চেহারা জামান মুবারক।

হঠাৎ সেই ধারালো আলো আমার নিজ রুপকে আলোকিত করে ফেলল এবং আমাকে টেনে নিয়ে গেল তার রুপের গহীনে সাথে সাথে একটা ঝলকানি দিয়ে আমি তার রুপের মধ্যে বিলীন হয়ে গেলাম।

অতঃপর-নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলাম-

--আমি নিজেই সেই আলোক বস্তুর আকার ধারন করেছি-
সঙ্গে সঙ্গে নিজের রুপের মাঝে আমি হাবু-ডুবু খেতে খেতে এক পযার্য় গর্জন করে বলে উঠলাম-

"আমি-ই আলো,আমি-ই জ্যোতিময়,তোমার রুপের মাঝে আমার রুপের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই।

অতঃপর-মা'রেফত সিদ্ধি ধারনকারী-

-লাওহে মাহফুজ থেকে বায়তুল মামুরে-

 'সিদরাতুলমুনতাহায়'

পা রেখেই চিৎকার করে বলে উঠলো-

"আমি এখন 'ফানাফিল্লাহ্'

এইমাত্র আল্লাহ্ আর আমি এবং আমি  আর আল্লাহ্ দর্শন লাভ করলাম-

অতঃপর বির্দ্যুতের ন্যায় আওয়াজ করে-

"নিজেকেই নিজে"বলতে লাগলো-

 সত্যি-ই তুমি রুপনগরের রুপসী,
তুমি-ই অনাদির আদি,
তুমি-ই অনন্ত অসীম, 
তুমি-ই মহান,তুমি-ই সর্বশ্রেষ্ঠ। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন