বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

ব্লাড প্রেসারের আমল

 
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاء وَالضَّرَّاء وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
 

যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।

প্রত্যহ সকালে অথবা বিকালে ১০১/৫০/১১ বার তেলোয়াত করতে হবে প্রথমে দুরুদ পাঠ করতে হবে পরে আউজুঃ পাঠ করে শুরু করতে হবে

(সুরাহ আল ইমরান)

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮

নফস ও রুহের পরিচয়

নফস (জীবাত্মা, মন, ইগো, জীবনীশক্তি) আর
রুহ (পরমাত্মা) একই বস্তু নয়। মানুষ মরে। কী
মরে? মানুষের নফস (জীবন, মন) মরে যায়।
নফসের জীবনীশক্তি দেহের সব খানেই
থাকে। এজন্য কোরআন বলছে- কুল্লুু নাফসিন
জায়িকাতুল মাউত। অর্থ: প্রত্যেক নফসই (জীবন)
মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-৩৫)
সুতরাং নফস মরে যায় কিন্তু মানুষের রুহ (আত্মা) মরে
না। মৃত্যুর স্বাদ বলতে শাস্তিই বুঝায়। সুতরাং সকল শাস্তি
নফস কে ভোগ করতে হয়। সেটা দেহ ধারনের
আগেই হোক, আর দেহ ধারনের পরেই হোক
আর দেহ ত্যাগের পরেই হোক। এই তিন
অবস্থাতেই নফস (জীবাত্মা) শাস্তি ভোগ করে।
রুহ কখনই শাস্তি ভোগ করে না, রুহ নফসের শাস্তির
ভাব প্রকাশ করে মাত্র। রুহ শাস্তি ভোগ করার অর্থ
স্রষ্টা নিজেই শাস্তি ভোগ করেন। এটা হতে পারে
না। আল্লাহ পাক বলেন- ওয়া নাফাখতু ফীহি মির রুহী।
অর্থ:আমি তাতে (মানবের মাঝে) আমার রুহ ফুতকার
করে দিয়েছি। (সুরা সোয়াদ. আয়াত-৭২) আররুহু
আমরুল্লাহ বা রুহ আল্লাহর নির্দেশ। রুহ আল্লাহর
তাজাল্লী। এক কথায় মানবদেহে রুহটাই হলো
আল্লাহর প্রতিনিধি যা মানবদেহের মহারাজ। যে রুহ বা
আত্মা আল্লাহর তাজাল্লী বা আদেশ, তার ভুল-ত্রুটি
কী করে হয়? রুহের কোন ‘মৃত্যু’ নেই। সুতরাং
তার কোনো শাস্তিও নেই। না বুঝে সাধারণ মানুষ
তো বটেই এমনকি অনেক জ্ঞানীগুণীরাও ভুল
করে বসেন যে- নফসই আত্মা বা রুহই আত্মা বা
নফস ও রুহ একই। নফস ও রুহ আরবি শব্দ।
একশ্রেণির পীর, আলেম ও তাফসিরকারকগণ
বাংলাতে লিখার সময় এই নফস ও রুহকে আত্মা বলে
এক করে ফেলেছেন। আত্মা বলতে যদি নফস
বুঝানো হয় তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ
করতে হবে। আর আত্মা বলতে যদি রুহ বুঝায়
তাহলে সে কখনই শাস্তির উপযুক্ত নয়। কেননা সে
আল্লাহর তাজাল্লী। অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা মৃত্যুর
পর তো দেহ থাকে না, তাহলে রুহকেই দুনিয়ার
অপকর্মের শাস্তি ভোগ করতে হয়। সত্যিকার
অর্থে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। কারণ দেহ ধারণ ছাড়া রুহ
কে অনুভব করা সম্ভব নয়। রুহকে বাধ্য করা সম্ভব
নয়। মানবদেহ না থাকলে রুহ কখনই তাতে বসত
করতো না। এজন্য মায়ের গর্ভে শিশুর দেহ
(জীবনীশক্তিসহ) আগে তৈরি হয় এবং ৪ মাসের
সময় দেহের মাঝে আল্লাহ পাকের তরফ হতে
রুহ নাযিল হয়। দেহের এই জীবনশক্তি (নফস) এবং
রুহ (আত্মা) একে অপরের সাথে পরিপূরক ও
অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দেহ না থাকলে রুহ থাকবে না।
আবার রুহ চলে গেলে দেহ অসার। এটা অত্যন্ত
নিখুঁত ও সূক্ষ্ম ব্যাপার। 

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

কেবলা জানের উপদেশ

হযরত শাহ্সূফী ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের কতিপয় উপদেশঃ
(১) পীরের খাসলতে খাসলত ধর, তবেই ত্রাণ ও শান্তি।
(২) প্রত্যেক নিঃশ্বাসে কালবের মধ্যে ডুবিয়া থাক, নচেৎ হালাক হইবার ভয় আছে। জীবনভর এবাদত করিয়া শেষ নিঃশ্বাসে আল্লাহকে ভুলিয়া মরিলে যাবতীয় এবাদত বিনষ্ট হইয়া যাইবে-বেঈমান হইয়া মরিবে। তাই আল্লাহর প্রিয়সকল ঈমানের সহিত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিবার জন্য আল্লাহর হুজুরে জীবনভর কাঁদিতেন। তোমরা ঈমানের সহিত মরিবার জন্য কতদিন কাঁদিয়াছ? মাতালের মত বেহুঁশ হইও না। হুঁশিয়ার হও- অমূল্য জীবন আর ফিরিয়া পাইবে না।
(৩) একমাত্র ইসলাম ধর্মের ভিতর দিয়াই খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্ব হাসিল করা সম্ভব। আর এই কারণেই ইসলাম আল্লাহতায়ালার মনোনীত শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
(৪) যদি পরিপূর্ণ মুসলমান হইতে চাও তবে শরীয়তের যাবতীয় হুকুম মানিয়া চল। তাহা হইলে মারেফাতের জ্ঞান তোমাদের জন্য সহজ হইবে।
(৫) কোন ব্যক্তি, কোন পীর কিংবা কোন মানুষকে সিজদা করিও না- ইহা আল্লাহর নিষেধ।
(৬) বিশ্ব আত্মার সহিত স্বীয় আত্মার যোগসূত্র স্থাপন প্রতিটি মুসলমানেরই কর্তব্য এবং সেই বিদ্যাই সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যা যাহার দ্বারা আল্লাহতায়ালাকে সনাক্ত করা যায়।
(৭) কামেল পীরের তাওয়াজ্জুহ-এর বলে মুরীদের মুর্দা দিল জিন্দা হইয়া প্রকৃত সত্যকে অনুধাবন করিতে পারে। মুর্দা দিল জিন্দা হইলে ঐ দিলে আল্লাহ ও রাসূলের (দঃ) খাস মহব্বতের ফয়েয ওয়ারেদ হইতে থাকে। তখন মানুষ হুজুরী দিলে নামায আদায় করিতে সক্ষম হয়।
(৮) শুধু মুখে আল্লাহর নাম আর অন্তরে দুনিয়ার চিন্তা এমন নামাযে কোন ফল নাই। তাই রাসূলুল্লাহ (দঃ) বলেন, ‘নামাযই নয় হুজুরী দিল ব্যতীত।' সুতরাং নামায পরিবার সময় খেয়ালকে সব দিক হইতে ফিরাইয়া আপন কালবের ভিতর ডুবাইয়া রাখ। যতক্ষণ খেয়াল কালবে থাকিবে, ততক্ষণ আল্লাহকে মনে থাকিবে; যেইমাত্র খেয়াল কালব হইতে বাহির হইয়া যাইবে, তখনি আল্লাহকে ভুলিয়া যাইবে। নামাযের সময় যদি আল্লাহই মনে না থাকে, তবে কাহাকে সিজদা করিতেছ, তাহা চিন্তা করিয়া দেখ। অল্প সময়ের জন্যই তোমরা আল্লাহর হুজুরে দাঁড়াইয়া থাক, সুতরাং এই সামান্য সময়ের জন্য মন ও মুখ এক করিয়া আল্লাহতায়ালার সিজদা কর।
(৯) রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর মহব্বতই প্রকৃত ঈমান। রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর মহব্বত যাহার অন্তরে যতটুকু তাহার ঈমানও ততটুকু।
(১০) যদি তোমরা আল্লাহ রাসূলের মহব্বত অন্তরে সৃষ্টি করিতে চাও, তবে কামেল পীরের সাহচর্য সন্ধান কর।
(১১) কালব আল্লাতায়ালার ভেদের মহাসমুদ্র এবং এই কালবের মধ্যেই আল্লাতায়ালার নিদর্শনসমূহ লাভ করা যায়। ক্ষুদ্র একটি বটের বীজের মধ্যে যেমন একটি বটগাছ লুকাইয়া থাকে, তেমনি মানব বক্ষস্থিত কালব নামক ক্ষুদ্র একটি মাংসপিন্ডের মধ্যে আল্লাহর ভেদের দফতর লুক্কায়িত। নাফসের কুখাসলতের ফলে মানব বক্ষস্থিত কালব (যাহা স্বচ্ছ) কালো হইয়া যায়। আল্লাহতায়ালার ভেদের নিদর্শন সমূহ অনুধাবন করিতে হইলে এবং তাঁহার সহিত যোগসূত্র স্থাপন করিতে হইলে কালবকে আয়নার ন্যায় স্বচ্ছ করিতে হইবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাতায়ালার সহিত যোগসূত্র স্থাপন করিতে না পারিবে, ততক্ষণ তোমার আত্মা অতৃপ্ত থাকিবে এবং যখন তাঁহার সহিত যোগসূত্র স্থাপন করিতে পারিবে, তখন তোমার আত্মা এক অনাবিল শান্তির অধিকারী হইবে।
(১২) যেইমাত্র তুমি তোমার ময়লা দিলকে পীরে কামেলের পাক দিলের সহিত মিশাইতে পারিবে, সেই মুহূর্তে তোমার অন্ধকার দিল আলোকিত হইবে এবং আল্লাহর জিকিরে নাচিয়া উঠিবে।
(১৩) মুর্শিদে কামেলের পথই প্রকৃত সত্যের পথ এবং গযব হইতে বাঁচিবার পথ।
(১৪) আল্লাহ্কে চিনিবার পথে অনেক দুঃখ ও লোক-নিন্দা সহ্য করিতে হয়।
(১৫) ‘উরস শরীফ' জামে আম্বিয়া, জামে আওলিয়া ও তামাম পৃথিবীর মুমিন মুসলমানদের বিদেহী আরওয়াহ পাকের উপর সওয়াব রেছানীর মজলিস। উক্ত মজলিসে তোমরা শোরগোল ও বেয়াদবী করিও না। ইহা ওলী-আল্লাহগণের মজলিস। সুতরাং কেহ বেয়াদবী করিলে দুই দিন আগে বা পরে তকদিরে পোকা ধরিবে। তোমরা খোদার অন্বেষণে আসিয়াছ, তাই খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকো।
(১৬) আল্লাহতায়ালা বলেন, “আল্লাহকে ভয় কর এবং তাহাকে পাইবার জন্য ওসিলা অন্বেষণ কর”। সেই ওসিলাই যামানার কামেল ওলীসকল, যেহেতু তাঁহাদের পাক আত্মার যোগাযোগে বিশ্ব আত্মার সান্নিধ্য লাভ হয়।
(১৭) বর্তমান যামানা অত্যন্ত মুসিবতের যামানা। অদূর ভবিষ্যতে এমন এক সময় আসিবে, যখন মানুষ জলে-স্থলে সর্বজায়গায় বিপদ ছাড়া আর কিছুই দেখিবে না। আখেরী যামানার গযব হইতে একমাত্র মুমিন লোক ব্যতীত কেহই বাঁচিতে পারিবে না। যদি তোমরা উক্ত গযব হইতে বাঁচিতে চাও, তবে তরিকতের কাজ সঠিকভাবে পালন কর এবং যামানার মুজাদ্দিদের দামনকে শক্তভাবে ধারণ কর।
(১৮) ওলীআল্লাহ সকল একটি জ্বলন্ত লৌহসদৃশ। এক খন্ড লৌহ যেইরূপ আগুনে পুড়িয়া আগুনের রং ধারণ করে, সেইরূপ আল্লাহর ওলীসকল আল্লাতায়ালার নূরের তাজাল্লিতে জ্বলিয়া আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হন।
(১৯) নিশির শেষভাগে সমগ্র সৃষ্টি জগৎ আল্লাতায়ালার দিকে ঘুরে এবং আল্লাতায়ালা এই সময় তাঁহার সৃষ্টির প্রতি রহমতের নযরে তাকান। তাই এই সময়টি অত্যন্ত মূল্যবান।
(২০) হে তামাম দুনিয়ার মুসলমান সকল! অমূল্য জীবন স্বপ্নের মত চলিয়া যাইতেছে। হুশিয়ার হও। নিশির শেষভাগে আল্লাতায়ালাকে ‘ইয়া আল্লাহু, ইয়া রাহমানু, ইয়া রাহীমু' -এই তিন নাম ধরিয়া ডাক। তবেই কল্যাণ -সন্দেহ নাই।
(তথ্যসূত্রঃ সংক্ষিপ্ত ওজিফা)

<<<বিশ্ব ওলীর বানী-৩>>>

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

ব্যথার দোওয়া

ব্যাথা উপশমের দোয়া,,,,,,,,,,,,,,
(আউযুবি ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শার’রি মা আজিদু)
হযরত উসমান (রাঃ) একবার ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতড়াচ্ছিলেন। রাসূল বললেন, আপনি ডান হাত দিয়ে ব্যাথার স্থান বুলানোর সময় এই দোয়া সাতবার পড়ুন। ব্যাথা ধীরে ধীরে কমে যাবে। (সুনান আবু দাউদ,খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৫৪৩)

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮

হামারা নাবী

""""""" হামারা নবী

সবছে আওলা ও আলা হামারা "নবী"
সবছে বালা ও আলা হামারা "নবী"
আপনে মাওলা কা পেয়ারা হামারা "নবী"
দোনো আলমকা দুলহা হামারা "নবী"
বজমে অাখির কা শাময়া ফিরোজ হুয়া
নূরে আউয়ালকা জলওয়া হামারা "নবী"
জিছকো ছায়া হ্যায় আরশে খোদা পর জুলুছ
হেঁ ওহ সুলতানে ওয়ালা হামারা "নবী"
বুজ গেয়ী জিছকে আগে সবহী মাশ আলী
শাময়া ওহ লেকর আয়া হামারা "নবী"
খালক ছে আওলিয়া অাওলিয়া ছে রাসূল
আওর রুছুলোঁছে আলা হামারা "নবী"
মুলকে কাওনাইন মে আম্বিয়া তাজেদার
তাজেদারোঁ কা আকা হামারা "নবী"
কেয়া খবর কেতনে তারে খেলে ছোব গিয়ে
ফের নাডুবে নডুবা হামারা "নবী"
কোন দেতাহায় দেনেকো মুহ চাহিয়ে
দেনে ওয়ালাহে সাচ্ছা হামারা "নবী"

বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১৮

মোকামে-মাহমুদা?

মোকামে_মাহমুদা /লা_মোকাম।
★সৃষ্টির ও স্রষ্টার এই দ্বৈত অস্তিত্বের মিথ্যা ধারণা সকল মানসিক দ্বন্দ্বের মূল উৎস। তাহাকেই দুই সমুদ্রের মিলন ক্ষেত্র বলে--- যেখানে এই দুই একাকার। মানসিক এই স্তরের অপর নাম 'মোকামে মাহমুদা' তথা 'লা মোকাম'। এই স্তরে না-পৌঁছা পর্যন্ত কাহারও পক্ষে মোহাম্মদের প্রশংসা বা স্বরূপ চেনা সম্ভবপর হয় না।
______ স্তিষ্কের সম্মুখ অংশকে বা কপালকে "নাওয়াসী" বলে। মানুষের বুদ্ধি - বিবেচনা, ভালমন্দ, ইত্যাদি সকল গুণাগুণের ভাণ্ডার হইল মস্তিষ্কের সম্মুখভাগের এই বড় অংশটি। যতরকমের আসক্তি বা শেরেক তাহা এখানেই জমা হইয়া থাকে। ইহা দ্বারাই সৃষ্টির বন্ধনে মানুষ ধরা খাইয়া যায়। (তুলনীয় ৫৫:৪১)।অর্থাৎ মৃত্যুর পরে আবার তাহাকে শেরেকের সঞ্চয় অনুযায়ী আর একটি তক্দীর় দেওয়া হয় যাহাতে শেরেক সংশোধনের সুযোগ গ্রহণ করিতে পারে। আমল অর্থাৎ কর্ম যখন মোহশূন্য বা শেরেকমুক্ত হইয়া যায় তখনই কেবল মাথার সম্মুখ ভাগের এই অংশে আর কোন সঞ্চয় থাকে না। তাই সৃষ্টির মোহ-বন্ধন হইতে মুক্ত হইয়া পরম মহত্ব লাভ করে। ইহাকে বলে 'লা_মোকা ' বা 'মোকামে_মাহমুদা '। ইহা মহা শক্তিশালী এবং জান্নাতের মর্যাদা হইতেও উন্নত মর্যাদাপূর্ণ সর্বোচ্চ স্তর।
_____
★মোকামে মাহমুদা, ইহার অর্থ মোহাম্মদী ঘর বা মোহাম্মদী স্তর বা প্রশংসিত স্তর। শ্রেষ্ঠতম নেতার নাম অনুসারে এই মোকামের নাম। ইহা মানব জীবনের জন্য উচ্চতম আধ্যাত্মিক স্তর, যাহা লা-মোকামে স্থিতিমান। ইহা বস্তুর মোহ বন্ধন হইতে মুক্তমনের উচ্চতম স্তর। ইহার সদস্যগণ 'আমরা দল'-এর সদস্য হইয়া থাকেন। সর্বস্তরের প্রভুগণের মহাপরিচালক এবং মহাপ্রভু হইলেন মোহাম্মদ আলাইহে সালাতু আসসালাম। তাঁহারই পরিচালিত দরবারের নাম হইল 'দরবারে_রেসালাত'। এই মোহাম্মদী দরবারের মর্যাদার স্তরকে 'মোকামাম_মাহমুদা' বলে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ প্রশংসার অধিকারী মর্যাদার স্তর বলা হয়। ইহা হইতে উচ্চতম আধ্যাত্মিক স্তর মনুষ্য জাতির জন্য আর নাই।
____সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী ; কোরান দর্শন।