মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯

মহিলাদের বায়াত হওয়ার দলিল

মহিলারা কি বায়াত হতে পারে ??

মহিলাদের বায়াত সম্পর্কে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন সরাসরি নির্দেশ করে আয়াত নাজিল করেছেন।পক্ষান্তরে পুরুষের বেলায় এমন সরাসরি নির্দেশ সুচক আয়াত নেই। এক শ্রেণীর তথাকথিত শিক্ষিত জ্ঞানী-গুনী সম্প্রদায় কেন যে মতানৈক্য করে তা তারাই ভাল জানেন।হোদায়বিয়ার সন্ধির উপর ভিত্তি করে যে আয়াতখানা নাজিল হয়েছে,তাকেই পুরুষের বায়াতের দলিল বলা হয়ে থাকে।হযরত ওসমান(রাঃ) এবং হযরত খিরাজ(রাঃ) সাহাবিদ্বয়কে যখন মক্কার কোরেশ সম্প্রদায় আটকে রেখেছিল,তখন রাসুল (সাঃ)এর সাথের সাহাবিগন রাসুল(সাঃ)এর হাত মোবারকে ধরে শফত গ্রহণ করে ছিলেন যে,ইয়া রাসুলুল্লাহ(সাঃ)’আমাদের জান-প্রান থাকতে আমরা কাফেরদের সাথে জেহাদ করব।এই শফত বাক্যের উপর ভিত্তি করে পুরুষের বায়াতের দলিল নেওয়া হয়।কিন্তু মহিলাদের বায়াত হওয়ার জন্য আল্লাহ্‌ আয়াত নির্ধারণ করেছেন।

পর্দা ফরয।তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।তবে পর্দার অর্থ অন্ধকার কারাগার নয়,পর্দার অর্থ মহিলাদের মূর্খ করে রাখা নয়,পর্দার অর্থ মহিলাদের শরিয়াতের বিধি-বিধান জানা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা নয়।বরং ভাল মা-ই একটা ভাল সন্তান উপহার দিতে পারে। অতএব পুরুষ অপেক্ষা নারির শিক্ষা ও দিক্ষার গুরুপ্ত কম নয়।তাই মহিলাদের পর্দার ব্যবস্থা থাকলে তারা বায়াত হতে পারবে।আল্লাহ্‌ তায়ালা এ ব্যপারে বলেনঃ”হে রাসুল সাঃ ইমানদার নারীগন যখন আপনার নিকট এসে আনুগত্যের শফত করে যে, তারা আল্লাহ্‌ সাথে কাউকে শরিক করবে না,চুরি করবে না,ব্যভিচার করবে না, তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না।জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরশ জাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবি করবে না এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্য করবে না, তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন।নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল দয়ালু।(সুরাঃ মুমতাহানাহ,আয়াতঃ১২-১৩)।

বর্ণিত আয়াতে মুসলিম নারীদের কাছ থেকেআনুগত্যের শফতনেয়ার বিষয় বিস্তারিতরয়েছে।এতে ঈমান ও আকায়েদসহশরিয়াতেরবিধি বিধান পালন করার অঙ্গীকাররয়েছে।পূর্ববর্তীআয়াতে যদিও এই শফত মুহাজির নারীদের ঈমান পরীক্ষার পরিশিষ্ট হিসেবে রয়েছে। কিন্তু ভাষার ব্যাপকতার কারনে এটা শুধু তাদের বেলাই প্রযোজ্য নয়,বরং সব মুসলমান নারীর জন্য ব্যাপকভাবে প্রযোজ্য।বাস্তব ক্ষেত্রেও তাই ঘটে। যদি এই অবাস্তব যুক্তিতে নারী সমাজকে বায়াত থেকে পৃথক করা হ্য,তাহলে পুরুষের বেলাও বায়াত বলতে কিছুই থাকবে না। কেন না,তখন বায়াত ছিল ইসলামের জন্য,জেহাদের জন্য, যে কোন কাজ বাস্তবায়নের জন্য ইত্যাদি। এখন যে, জম্মগতভাবেই মুসলমান এবনহ এই জম্মত মুসলমানিত্ব সে অস্বীকারও করে না । তাহলে  আবার বায়াত কিসের?তারপরও পুরুষের জন্য পীর-মুরিদির বায়াত আছে এবনহ বায়াত করা হয়। আর  ঐ আয়াতখানাই দলিল হিসাবে গ্রহণ করা হয়। তাহলে মহিলাদের বেলেই বায়াত না থাকার কারন কথায়?এ ব্যাপারে রাসুল সাঃ এর কাছে শুধু মুহাজির নারীরাই নয়,অন্যান্য নারিরাও বায়াত গ্রহণ করেছে। সহিহ বুখারিতে হযরত আসমা রাঃ বর্ণনা করেন’’আমি আর কয়েক জন মহিলাসহ রাসুল সাঃ এর বায়াত করেছি। যিনি আমাদের থেকে শরিয়াতের নিধি –বিধান পালনের অঙ্গীকার নেন।সাথে সাথে এই বাক্য উচ্চারণ করান,আমরা এসব বিষয় পানলে অঙ্গীকার করি,যে পর্যন্ত সাধ্যে সম্ভব ।আসমা রাঃ আরো  বলেনঃএ থেকে জানাগেল যে আমাদের প্রতি রাসুলুল্লাহ সা; এর স্নেহ মমতা আমাদের নিজেদের চেয়েও বেশি। আমরা তো নিঃশর্ত অঙ্গীকারই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের শর্তযুক্ত অঙ্গীকার শিক্ষা দিলেন।ফলে অপারগ অবস্থায় বিরুদ্বাচারন হয়ে  গেলে তা অঙ্গীকার ভঙ্গের শামিল হবে না।          

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন