শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২

দম-----

হাওয়ার পাখি হাওয়া তত্ত্বঃ হাওয়া ৩ প্রকার
১.রেসক ২.পূরক ৩.কুম্ভুক,
ধরো চোর হাওয়ার ঘরে ফাদ পেতে হাওয়া কিভাবে ধরবেন,
রেসক মানে= ফেলে দেওয়া শ্বাস ত্যাগ করা পুরক মানে গ্রহন করা শ্বাস ভিতরে প্রবেশ
কুম্ভুক মানে নেবও না, ফেলবও না?(শ্বাস যদি ভিতরে নিয়ে না ফেলেন বা শ্বাস ত্যাগ করে আর ভিতরে না প্রবেশ করান সেটাই কুম্ভুক
হাওয়া দম বেধে ভেলা,
অধর চাঁদ মোর করছে খেলা,
উদ্ধ নালে সদায় চলা,
ও তার কল কলকাঠি ব্রক্ষদ্বারে আছে হাওয়া দ্বারে দম কুঠুরি,মাঝখানে অটল বিহারি?শূর্ণ্যবিহার স্বর্ণপুরি,বহু সাধন গুনে কেউ দেখেছে,
এখানে কি দেখার কথা বলা হয়েছে,যেটা বহু সাধন গুনে দর্শন হয়, এ বিষয়ে প্রবিএ কুরআন কী বলছে, 

তুমি কী দেখনি, আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন,এতঃপর তদ্দবারা আমি ভিন্ন বর্ণের ফল-মূল উদগত করি।পর্বতসমূহের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বর্ণের গিরিপথ- সাদা লাল ও নিকষ কালো কৃষ্ণ?সূরা ফাতির আয়াত ২৭.
এটাই সেই রহমতের বৃষ্টি যেটা মানুষের মস্তিক থেকে নিগৃত হয়ে আলিফের মাথা দিয়ে বের হয়?
যে পানির রং তিনটি, লাল, সাদা,কৃষ্ণ? 
মিয়া সাহেব, এই পানিরসাধনা যে করলো না,
তার কোনো ইবাদতই কবুল হবার নয়?
কি ভাবে এই পানিটাকে দমের সাহায্যে কন্টল করে,
ধরে রাখা যায়,গুরু ভজে এই তত্ত্ব আগে করো সার?
আল্লাহ তার প্রবিএ কালামে বলছেন,

হে বনী আদম,তোমরা প্রত্যক নামাজের সময়, 
সাজ্জসজা পরিধান করে নাও?
খাও এবং পান করো, খবরদার অপচয় করো না,আল্লাহ অমৃত ব্যয়িদের পছন্দ করেন না,
সূরা আরাফ আয়াত=৩১.

এটা কোন নামাজ যে নামাজে খাওয়া যায় পান করা যায়,আর সেই নামাজ পড়ার মসজিদি বা কী?
ঐ মসজিদের গুম্বুজের পাশে,
এক দরজায় তিনটা দেখো নালা রইয়াছে,,,
ময়ূর রুপে পাক- পান্জাতন আল্লাহ জিকির করতেছে,,ছায়া বিহীন আল্লাহ পাকে মসজিদ বানাইছে,ঐ মসজিদে বেহেস্তি সু ফল,
প্রথম মাসের প্রথম দিনে আসে অবা-হায়াতের জল(আব মানে পানি,হায়াত মানে আয়ু,যে পানিতে বায়ু যুক্ত থাকে?,,,
পানি পানি সবাই বলে,
পানির হিসাব করে কয় জনা
,পানির অপর নাম জীবন, তারে করিও যতন,অযতনে ফেললে পানি জীবের অকালে মরণ,পানি করিলে নষ্ট পাবি কষ্ট,সুস্থ দেহ রবে না,পরম আত্মা পরম ঈশ্বর তার জলের মধ্যেই ঘর,হাওয়ায় এসে জলে মিশে থাকে নিরান্তর,জল শুকালে মীন পালাবে,পস্তাবিরে ভাই মনা,যে পানিতে জীবের গতি,তার করো সৎগতি,জল শূণ্য যেমন হবে,তেল শূণ্য গাড়ী,লাল মিয়া কয় মুর্খ মতি, গুরু ধরে পানির হিসাব শিখে নাও,,

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

আমি,, দর্শনে কি এমন রহস্য?

👉''আমি'' দর্শনে কি এমন রহস্য লুকিয়ে আছে?"

✍️এই দেহের বাহিরের রুপ দেখে মানুষ মানুষের প্রেমে পড়ে, পাগল হয়, একজন আরেকজন কে পাওয়ার জন্য আত্ম হত্যা পর্যন্ত করে, আবার কেউ কাম রিপুতে জ্বলে উঠে কিন্তু কেউ যদি একবার দেহের ভিতরের রুপ দেখতে পারতো তাহলে সে হয়তো সারাজীবন তাকে পাবার জন্য তার দাসত্ব করত। ঐ রুপের সাথে বুকে বুক মিশিয়ে আলিঙ্গন করার জন্য আহার নিদ্রা ত্যাগ করে এক নিরিখে বন্দেগীতে লিপ্ত থাকতো। অপার সৌন্দর্যময় সেই রুপের পাগলে সে হয়ে যেত 'পাগল'। কারণ আত্মা এক জ্বলন্ত নূরের প্রদীপ। যার আলোতে আলোকিত এই 'মানব দেহ'।
আসলে মানুষ ৬০-৭০-৮০ বছর একটা পরিবারে ক্ষনিকের জন্য আসে, তারপর অনেক মায়া মহব্বত রেখে সবাই কে কাঁদিয়ে একদিন হঠাৎ করে চলে যায়। আর ফিরে আসে না। যে চলে গেল তাকে ঐ পরিবারের কয়জন চিনতে পেরেছে?
যেমন- স্বামী-স্ত্রী বাসর রাত হতে সারা জীবন এক খাটে এক বিছানায় শুয়ে কত কথা, কত ব্যাথা, হাসি খুশি আলাপন করে সাংসারিক জীবন অতিবাহিত করে দিল কিন্তু তারা কি আদৌ স্বামী স্ত্রী ছিল নাকি শুধু দেহের সাথে বসবাসের পরিচয় ছিল। সে হিসেবে মূল তত্ত্বে স্বামী-স্ত্রী খুজে পাওয়া বিরল হবে। কারণ উভয়ের আত্মদর্শন না হলে তাদের কে স্বামী স্ত্রী বলা আর পরগাছা কে গাছ বলা সমান কথা। দেহের মধ্যে কোনটুক স্বামী আর কোনটুক স্ত্রী তা স্বচক্ষে না দেখলে কেউ বলতে পারবে না কার সাথে কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।
স্বামী = স্ব+আমি
= আমি+আমি
= আমি। জিব্রাইল নামক ফেরেশতাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। অথচ আমরা সবাই জানি যে জিব্রাইল ফেরেশতা যতই মর্যাদার অধিকারী হন না কেন, কিন্তু জিব্রাইল ফেরেশতার মাঝে রূহ্‌ও নাই এবং নফ্‌সও নাই। একমাত্র চৈতন্য আত্মার বা রুহের আজ্ঞাবহ বা রুহের বার্তা বাহক হয়ে সে তাহার হুকুম পালন করে থাকেন।
আল্লাহ যদি পূর্বেই সমস্ত রুহ কে সৃষ্টি করে থাকেন অর্থাৎ সব আত্মাই যদি পুরাতন হয়ে থাকে তাহলে এটা নিশ্চিত বলা যায় যে, সকল রুহ বা আত্মা পূর্ব হতেই সকল সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে অবগত রয়েছে। অর্থাৎ সকল আত্মাই জ্ঞানী। যে দেহের মধ্যে রুহ বা আত্মা নেই সে দেহের রহস্য শুন্য, তার মূল্যও শুন্য। আবার সকল আত্মাই যদি "জ্ঞানী" হয় তাহলে সকল শিশু বাচ্চা কেন অবুঝের মত চলাফেরা করে? কেন অজ্ঞানী হয়?
কারণ আত্মা নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে দেহের মধ্যে নিজেকে আত্ম গোপন করে কিন্তু জ্ঞানী হয়েও দেহের ষড় রিপুর মায়াবী জালে সে প্রতিবন্দী হয়ে যায়। তখন সে মাতাল হয়ে ঘুমের ন্যায় শিকলে আটকা পড়ে আর বলে কেন এলাম এমন ভয়ানক কলকাঠির ঘরে? আমাকে মুক্ত কর এ বেড়াজাল থেকে ! বলতে বলতে মায়ার জালে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। একারণে শিশু বাচ্চা ঘুমের ঘরে কখনও কেঁদে উঠে আবার কখনও হেসে উঠে এবং ঘুম ভাঙ্গলে জ্ঞান বিবেক হারিয়ে ফেলে। এই মহাবিশ্বের সঙ্গে বিশ্ব নবুয়াতের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সুনিবীড় সম্পর্কও আমাদের আত্মা চেতন করে জানতে হবে। তাহলে মহাবিশ্ব এবং বিশ্ব নবুয়তের সঙ্গে মহান স্রষ্টার কি সম্পর্ক তা আমরা জানতে ও বুঝতে পারবো।
সর্বোপরি জীবনের বহু উপরে জীবন্ত কোরআনের সঙ্গে মহাবিশ্ব এবং মহান স্রষ্টার কি সুমধুর সম্পর্ক রয়েছে সে বিষয়ে আমাদের মনের সকল অজ্ঞতা ও অন্ধকার কেটে যাবে।
বাহ্যিক চক্ষু দিয়ে দেখে আমরা মনে করি, আগুন, পানি, মাটি, বাতাসের সমন্বয়ে এই পৃথিবীর এত বিচিত্র বন-বনানী, ফুল, ফল, পাখি, সাগর, নদী, ঝর্ণা, পাহাড়, মরুর অগণিত বালুকারাশি, বিচিত্র জীবগোষ্ঠী সবকিছু ঠিকঠাক মতো তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্তর দর্শন বা রুহানী দর্শন দ্বারা দেখলে আমরা সত্যিকার অর্থেই দেখতে পাবো এই মহাবিশ্বের সবকিছু এক বিস্ময়কর, মহা সৃজন ক্ষমতা সম্পন্ন অনন্ত কারখানার মধ্যে স্থাপন করা রয়েছে। এটা একটা মহাসৌন্দর্যময় মহাব্যবস্থাপনা জগত। এই সৌন্দর্য হলো মহান স্রষ্টা থেকে আগত অনন্ত গুনরাজি ও শক্তিময় নূর বা আলো। আরশ থেকে ভূতল পর্যন্ত সবকিছু সৃষ্টির মূল কারণ এই শক্তি ও সৌন্দর্যময় আলো।
জন্মের পূর্বে সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে আত্মা জ্ঞানে যদিও পূর্ণ থাকে তবু তার পিছনের কর্মফল তাকে চম্বুকের মতে টেনে নিয়ে যায় পরবর্তী ফলস্বরুপ দেহ ঘরে। মানব দেহতে এসে সৃষ্টির সর্ব প্রথম নিজের জ্ঞান প্রকাশ করতে গিয়ে আত্মা নিজেই নিজেকে ধোকা দিতে শুরু করে এবং এভাবে চলতে চলতে এক দেহের কর্মফল তাকে আরেক দেহতে গিয়ে ভোগ করতে হয়।
সুতরাং যদি সকল আত্মাই পুরাতন হয় এবং নতুন সৃষ্টি কেউ না হয়ে থাকে, তাহলে বলা যায় -- আত্মাকে আবার নতুন করে কেন জ্ঞান অর্জন করতে হয়?
যেহেতু জ্ঞান দিয়েই তৈরী হয়েছে আত্মা অর্থাৎ আত্মাই জ্ঞান সেহেতু জ্ঞান অর্জনের বিষয় নয় , জ্ঞান জাগ্রত করার বিষয় , উপলব্ধির বিষয়। জ্ঞান মানুষের অন্তরে ঘুমন্ত, জ্ঞানে মানুষের আত্মা পূর্ণ, প্রয়োজন কেবল আত্মা জাগ্রত করা, আত্মা কে চেতন করা। তাই ফকির লালন শাঁইজী বলেছিলেন-- আত্মা রুপে কর্তা হরি; আবার -- আত্মা চেতন হলে জানতে পাবি।
আত্মার এই জ্ঞান থাকে সুপ্ত বা ঘুমন্ত সেই জ্ঞান জাগাতে হয় । আত্মার জ্ঞান পূর্ণ জাগ্রত হলেই আত্মা পূর্ণ শক্তিশালী হয়ে উঠবে,আত্মা পাবে তার কাঙ্খিত পূর্ণতা । আত্মার জ্ঞান পূর্ণ জাগ্রত করতে পারলেই মিলবে মানুষের পূর্ণ মুক্তি তখন মানুষের বা আত্মার
কোন সীমাবদ্ধতা থাকবেনা । আত্মা হয়ে যাবে পূর্ণ শক্তিশালী পূর্ণ স্বাধীন।
যেমন: সালাত অর্থ স্বরণ করা।
এই স্বরণ শুধু হাতে গুণা পাঁচ ওয়াক্তে টাইম মাফিক নয়, পাঁচ ওয়াক্ত হচ্ছে প্রাথমিক ট্রেনিং। এই ট্রেনিং এ পাশ করার পর প্রতিটা দমে দমে আল্লাহ কে স্বরণ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এমন একজন মহা মানবের নিকট শপথ গ্রহণ করে স্বরুপ কে প্রতিষ্ঠিত করার উপায় খুজে বের করতে হবে। অত:পর এই স্বরণ এমন হতে হবে যে, স্বরণ করতে করতে মহা সত্ত্বার সাথে সংযোগ হয়ে আপন সত্ত্বা জাগ্রত হয়ে উঠবে। সত্ত্বা অর্থ আত্মা। সুতরাং মহাসত্ত্বা বা মহা আত্মার সাথে সংযোগ করে আপন আত্মাকে জাগ্রত করাই সালাত। আর আপন আত্মা য্খন চেতন হবে শুধু তখনই সালাত কায়েম হবে।
আবার পূজা অর্থ = পূ + জা
= পূণ + জাগরণ
অর্থাৎ আপন আত্মাকে পূণরায় জাগরণ করাই পূজা। এখানে আত্মা দেহমুক্ত অবস্থায় পূর্বে জাগরণ ছিল, দেহের মধ্যে ঐ ঘুমন্ত আত্মাকে আবার পূণরায় জাগরণ করতে বলা হয়েছে। আর ইহাই প্রকৃত ঈশ্বর পূজা।
আর আত্মাকে পূর্ণ জাগ্রত করতে হলে আরেকটা জাগ্রত আত্মার সাথে তথা কামেল মুর্শিদী আত্মার সাথে পরশ বা ঘর্ষণ পাওয়ার জন্য তার সোহবত গ্রহণ করতে হবে।
এজন্য মুর্শিদ ধরিবার আছে প্রয়োজন। মুর্শিদী আত্মারুপ দেখিবার করিতে হয় সাধন। একবার যদি হয় দেখাদেখি করণ। মুর্শিদী আত্মার রুপের আলোতে নিজ আত্মার রুপ হবে দর্শন তথা স্ব-রুপ আত্মা হবে জাগরণ এবং এমনাবস্থায় কেউ নিজেকে রাখে গোপন আবার কেউ ভাব হারিয়ে সদায় করে উচ্চারণ--
"একমাত্র আমি-ই ছিলাম এক, আমি-ই আছি এক, আজ শুধু আমি-ই জাগ্রত এবং আমি-ই কাঙ্খিত মহা দর্শন।
এমনাবস্থায় সাধকের দেহের ওজনের পরিমাণ শূন্য হয়ে যায় এবং ইচ্ছানুযায়ী সে শূন্যে উড়ে বেড়ায়। তখন সে মনের আনন্দে বলতে থাকে

"তুমি" দর্শনে পেয়েছি "আমি" দর্শন
"আমি" দর্শনে পেয়েছি "তুমি" দর্শন
নয়ন ভরে দেখেছি এই বিশ্ব ভুবন""
কে তুমি - কে আমি নাইকো আজ বিভাজন ""
যতদিন গুরু রুপের ধেন
গুরুর আত্মারুপ দর্শন না হবে
ততদিন নিজ আত্মার স্বরুপ দর্শন
অদেখা রবে।
যতদিন মনের মানুষকে না দেখিবে
ততদিন নামে মাত্র মুরিদ হয়েছি
নিজেকে জানিবে।

- সুফীবাদ -

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২

সেজদা ১ম পর্ব

#তাজিম_সেজদা (পর্ব—১)

ছিলনা সৃষ্টির আদিতে কোন চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, আরশ কুরশী, লৌহ, কলম, জ্বিন-ইনসান, গাছপালা, তরুলতা, পশুপাখি ইত্যাদি। মহা শূন্যময় নিথর নিস্তব্ধ ছিল এ বিশ্ব চরাচর। কারণ শূন্য অবস্থায় মহাশূন্যের গর্ভে গোপন ছিলেন আল্লাহতায়ালা। আপন হতে আপনিই প্রকাশ হলো ইরাদা, পঞ্চ আলম সমষ্টি করে। তিনি প্রকাশিবেন, বিকাশিবেন, তাঁর গোপন প্রেম ব্যক্ত করবেন, খেলবেন ইশকের খেলা তথা আশেক ও মাশুকের খেলা, নিবেন আপন পরিচয়, দেখবেন স্বীয় গোপন মোহনীয় জ্যোতির্ময় রূপ। তাই আপনা হতেই আপনি প্রকাশ করলেন আহামদী নূর, এ সৃষ্টি রূপান্তর সৃষ্টি, প্রভেদ কেবল দু’টি অবস্থা। এ নূর সৃষ্টির পর আল্লাহপাক বলেনঃ “লাওলাকা লামা খালাকতু আফলাক” অর্থাৎ আপনাকে সৃষ্টি না করলে আমি কিছুই সৃষ্টি করতাম না। আর হযরত রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “আনা মিন নূরীল্লাহ ওয়াল খালকো কুল্লুহিম মিন নূরী” অর্থাৎ আমি আল্লাহর নূর হতে এবং সমস্ত সৃষ্টি আমার নুর হতে সৃষ্টি। এ সৃষ্টির বিবর্তনের ধারায় “আহাদ” এর সাথে “মীম” সংযুক্ত হয়ে হলো “আহামদ” তথা মীমের পর্দায় “আহাদ” লুক্কায়িত হলো। হযরত রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “আনা আহমাদুল বেলামীম” অর্থাৎ আমি মীম ছাড়া আহামদ তথা তিনিই আহাদ এবং তিনিই আহামদ। এ “আহামদ” নযুলের ধারায় তথা প্রকাশিত ধারায় দ্বিতীয়বার মীমের পর্দায় আবৃত হয়ে হলো “মোহাম্মদ” তথা “আহাদ” স্থিত অবস্থা হতে উপস্থিত হলো মোহাম্মদ (সাঃ) তথা আহাদ হতে মোহাম্মদ পর্যন্ত “মীমের” পর্দায় আবৃত এবং মীমের পর্দায় আবৃত অবস্থাটি রূপান্তর প্রকাশ [খালাক] যা মোহাম্মদ (সাঃ) রূপে প্রস্ফুটিত হয়েছে ধরায়। এ জন্যই কোরআনে আলিফ-লাম-মীম এ তিনটি হরফে মুকাত্তায়াত এর মধ্যে “মীমের” উপর তাশদীদ দেখানো হয়েছে- যার দ্বারা রূপান্তর সৃষ্টির ধারাটি বিকাশমান বুঝাচ্ছে। আল্লাহ পাক তাঁর রূপান্তর সৃষ্টি মঞ্জিলে দাখিল [আলিফ-দাল-মীম] হয়ে “হামদ” [প্রশংসা] করছে এবং এ অবস্থায় “আহামদ” তাঁর আদি অবস্থার অভিমুখে লক্ষ্য করে প্রশংসা করছে ও তাঁর স্রষ্টা বলে স্বীকার করে নিয়ে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করছে [বায়াত স্বীকার করছে]। শুরু হল আহাদ ও আহামদের মাঝে আশেক মাশুকের খেলা তথা গুরু-শিষ্যের খেলা এখানেই হলো বায়াতের আদি ইতিহাস। আশেক মাশুকের খেলা কি করে প্রকাশ করবেন তারই পরিকল্পনা প্রকাশ হলো তার ইরাদার মাধ্যমে। সৃষ্টি করলেন জামাদাত, নাবাদাত, হায়ানাত তথা আরশ, কুরশী লৌহ, কলম, গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য, গাছপালা, তরু-লতা, পশু-পাখি, জ্বিন-ফেরেশতা ইত্যাদি। কিন্তু কারো মাঝেই গোপন ভেদ রহস্য প্রকাশ হলো না, প্রজ্বলিত হলো না স্রষ্টার পরিচয় তাই নিহিত সেই প্রেম রহস্য। আল্লাহ পাক বেচ্যান, বেকারার হয়ে আঠারো হাজার মাখলুকাতের সমষ্টি করে এক রহস্যময় সৃষ্টির ইরাদা করলেন এবং সেই রহস্যময় সৃষ্টিই হল মানুষ- যা আল্লাহর ইরাদা ও গোপন প্রেমের মূর্তরূপ। আল্লাহপাক স্বীয় পরিচয় ও প্রেম বিকাশিত করার জন্য সৃষ্টি করলেন স্বীয় সিরাত ও সুরতের সমষ্টি করে এ মানুষকে। 

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২

অধিকাংশ মানুষ কোন পথে?

এক শিষ্য বলল, ‘আপনার কথাগুলো যখন আমি লোকদের বলি তখন অধিকাংশ লোক আমাকে ‘ধর্মদ্রোহী’ ও ‘কাফের’ বলে গালি দেয়। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে এই ধরনের অপবাদ পেলে আমার খুব খারাপ লাগে। এই খারাপ লাগা দূর করার উপায় বলে দিন গুরুজি‘।
গুরু বললেন, ‘অধিকাংশ মানুষ যাকে ধর্ম বলে, তা বর্জন কর।  অধিকাংশ লোক যাকে ধর্মদ্রোহিতা ও কুফুরি বলে, তা বেশি বেশি করতে থাক’।
শিষ্যের চোখে-মুখে গুরুর বচনে অনাস্থাভাব দেখা দিল। গুরু তখন ডান পাশ থেকে কুরআন হাতে নিয়ে বললেন, ‘সুরা বাকারার ১০০নং বলা আছে, অধিকাংশই কুরআন বিশ্বাস করে না। সুরা মায়েদার ৪৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষ নাফরমান’; একই সুরার ১০৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষের বিবেক বুদ্ধি নেই’।  সুরা আনআমের ১১১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,  ‘অধিকাংশ মানুষ মুর্খ, অজ্ঞ’। 
সুরা আরাফের ১৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষ অকৃতজ্ঞ’; একই সুরার ১০২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ লোক ফাসিক’ এবং ১৩১ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষই জানে না’। সুরা তওবার ৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ লোক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী’। সুরা ইউনুসের ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ লোক আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে’। সুরা ইউসুফের ৩৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ লোক ধারনার অনুসরণ করে’ এবং ৬৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়’; একই সুরার ১০৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে’। সুরা আম্বিয়ার ২৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষ সত্য জানে না’ এবং সুরা মুমিনুনের ৭০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ অধিকাংশ মানুষ সত্য অপছন্দ করে’। সুরা ফুরকানের ৪৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষ চতুস্পদ জন্তুর মতো; বরং আরও নিকৃষ্ট’। সুরা শুআরার ২২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশই মিথ্যাবাদী’ । সুরা সফফাতের ৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর আয়াতকে বাঞ্চাল করার চেষ্টা করে’ এবং সুরা মুমিনের ৫৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তারা আল্লাহর আয়াত নিয়ে বিতর্ক করে। সুরা ফুরকানের ৫০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ লোকই কুফুরি করে’।
সুরা আনআমের ১১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং তুমি যদি অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে’। 
সুরা আরাফের ১৭৯ নং আয়াতে বলা আছে, ‘অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামি হবে’। 
৭৩ কাতারের মধ্যে ৭২ কাতারই জাহান্নামি। 
ইহকালে যারা অধিকাংশ লোকের অনুসারী হয়, পরকালেও তারা অধিকাংশ লোকের অনুসারীই হবে।

রবিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২২

গান বাজনার দলিল প্রমাণ সহ

গান বাজনা জায়েজের দলিল প্রমান সহ।

যে গান কু-প্রবৃত্তি জাগায় সে গান নাজায়েজ। যে গান আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেয়, ভাল কাজের প্রেরনা জোগায় সে গান জায়েজ।

পবিত্র কোরানে এবং হাদিসে গান বাজনা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য আছে! তাই আমরা গান বাজনাকে হারাম বলার আগে তা আলোচনা করে নিজেদের উক্তি দেওয়া উচিত।

আল্লাহ এবং তার রাসূলের ভক্তদের জন্য গান বাজনা তাদের আত্মার খোরাক। যদি আনন্দ, ফুর্তির জন্য গান বাজনা করা হয়, তা হারাম বলে গন্য হবে!!!

নিম্নে গান বাজনা সম্পর্কে কিছু দলিল দেওয়া হলোঃ

১) আমার রাসূল (সাঃ) এর ইন্তেকালের আগে তার ঋন ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে, ঢোল বাজিয়ে রাসূলের ঋন ক্ষমা চেয়েছিলেন সেদিন! সাক্ষী তার (তাওয়ারীতে মোহাম্মদী)

২) খাজা মইনুদ্দীন চিশতী বড় পীরকে গান শুনিয়েছিলেন, নিশ্চয় রাসূলে খোদা পুরুষ প্রধান,, মহা গুনে গুনান্নিত মহা মহিয়ান!! সেদিন আকাশ, জমিন একসাথে নৃত্য করেছিলো খাজা বাবার গানের ছন্দে, সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৪র্থ খন্ড!!

৩) মুসলমানদের জানমালের হেফাযতে রাসূল বিল্লালকে সুসংবাদ দেওয়ার জন্য অনুমতি দিলে, বিল্লাল গলায় ঢোল নিয়ে তা প্রচার করেছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৩য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা!!

৪) রাসূলের নির্দেশে সেদিন বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে মদকে নিষেধ করেছিলো, কিন্তু ঢোলকে নয়! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ষষ্ঠ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা!!

৫) খাজা বাবা এবং তার পীর ওসমান হারুনি, খানকার মজলিসে বসে গান শুনতেছিলেন! আসরে ৯ব্যক্তি ছিলো তার মধ্য ২ ব্যক্তির শুধু পোশাক ছিলো, কিন্তু তারা ছিলো না! খাজা বাবা তার পীরকে জিজ্ঞেস করলে, ওসমাম হারুনি বলেন! তারা এস্কের জিকিরে খোদার জাতের সাথে লয় হয়ে গেছে! তারা আর কখনো এ পৃথীবিতে ফিরে আসবে না। সাক্ষী তার (আনিসুল আরোহা) ৮৮ পৃষ্ঠা!!

৬) রাসূল (সাঃ) যখন মক্কা থেকে মদিনায় এসেছিলেন হিযরত করে! মদিনার মেয়েরা সেদিন ঢব বাজাইয়া রাসূলকে গান শুনিয়েছিলেন! রাসূল সেদিন গান কে হারাম বলেন নি,! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড, ২২২পৃষ্ঠা!!

৭) আনসারী মেয়েরা আমার রাসূলের হিযরতের সময় নৃত্য করে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সেদিন রাসূল নিজেই আনন্দিত ছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ২২৩পৃষ্ঠা।
৮) রাসূল (সাঃ) যখন মা আয়েশার ঘরে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন, তখন মদিনার মেয়েরা নৃত্য করে গান গেয়ে নবীর ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছিলেন! আবু বক্কর মেয়েদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতে গেলে, রাসূল তখন আবু বক্কর (রাঃ) কে ধমক দিয়ে তাদের গাওয়াকে উৎসাহ দিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ১ম খন্ড ২৭৭পৃষ্ঠা!!

৯) একদিন জিব্রাঈল রাসূলকে সংবাদ দিলেন, তার গরীব উম্মৎ গন ধনী উম্মতদের ৪শত বছর আগে জান্নাতে যাবে! সেদিন রাসূল খুশি হয়ে বলেছিলেন, তোমাদের মধ্য কে গান জানো? তখন বধুবী নামক এক ব্যক্তি রাসূল সহ ভরা মজলিসে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (কুৎনীত শরীফ) ৩৩৭পৃষ্ঠা!!

১০) রাসূল মূসা নামক তার এক সাহাবীর কন্ঠে গান শুনে, সেদিন বলেছিলেন হে মূসা নিশ্চয় দাউদ নবীর বংশ হতে আমার আল্লাহ তোমাকে এই সুর দিয়েছেন! সাক্ষী তার (মূল বুখারী শরীফ) ৭৫৫পৃষ্ঠা!
১১) সায়মা নামক এক মহিলা আমার রাসূলকে কোলে নিয়ে গান গেয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ৫৩-৫৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত তার ব্যাখ্যা দেওয়া আছে!

১২) পবিত্র কাবা তোয়াফ কালে এক রমনী জুনায়েদ বোগদাদী কে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৩য় খন্ড ১৩৭পৃষ্ঠা!!

১৩) মসজিদে নববী তৈরি করার সময় আমার রাসূল নিজেই তারানা গেয়েছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৮ পৃষ্ঠা।

উপরের দলিল গুলো যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয়, তাহলে আপনারা নিজেরাই পড়ে দেখতে পারেন! তবে হ্যাঁ শরিয়তের ইবাদত – নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাতের বেলায় গান বাজনা নিষেধ আছে! কারন তুমি আমার আল্লাকে যেভাবে, যে অবস্থায় স্বরন করো আমার আল্লাহ তাতেই সাঁড়া দিবে।

সেমা/সংগীতের প্রশংসা ও সমর্থনসূচক কিছু হাদিস মৌজুদ আছে।

নিচে কিছু সহীহ হাদিস শরীফের রেফেরেন্স দেওয়া হলঃ

  • বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড ১৩৫ পৃঃ,
  • নেসায়ী শরীফ ১ম খণ্ড ১৮১ পৃঃ,
  • মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড ২৯১ পৃঃ,
  • বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড ১৩০ পৃঃ,
  • মেশকাত শরীফ ২৭৩ পৃঃ,
  • তিরমিজী শরীফ ১ম খণ্ড ২০৭ পৃঃ,
  • মেশকাত শরীফ ৫৫৮ পৃঃ,
  • মেশকাত শরীফ ২৭২ পৃঃ,
  • নেছায়ে ২য় খণ্ড ৭৫ পৃঃ,
  • বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৭৭৩ পৃঃ, (১২), মেশকাত শরীফ ২৭১ পৃঃ,
  • মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড ২৯২ পৃঃ,
  • বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৭৭৫ পৃঃ,
  • তাফসীরে আহমদি-৪০০ পৃঃ,
  • ইবনে মাজা-১৩৮
  • বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৭৫৫ পৃঃ, (১৮)

আরো হাদিসঃ

১। আবু মুসা রাসুল পাক (স.) এর একজন সাহাবী ছিলেন। তিনি সুমধুর সুরে গান করিতে পারিতেন এবং রাসুলপাক (স) কে সময়
সময় গান শুনাইতেন।তাই তার গানের সুরের প্রশংসা করে নবী পাক (স) বলেন, “হে আবু মুসা ,নিশ্চয়ই দাউদের বংশধরের সঙ্গীত হইতে তোমাকে সঙ্গীত প্রদান করা হইয়াছে ।” ( বুখারী শরীফঃ ৭৫৫)

২। হযরত আয়েশা (র) হইতে বর্ণিত যে, আমি একটি স্ত্রীলোকের বিবাহ আনসারের একটি লোকের সাথে করিয়া দিলাম। তখন রাসুল পাক (স) ফরমাইলেন ” তোমাদের নিকট কি কোন গানের বন্দোবস্ত নাই? কারন আনসারগন গান ভালোবাসেন। (বুখারী -রাবি আশায়াতুল লোমায়াত শরহে মিশকাত,৩য় খণ্ড -সোহবত অধ্যায়ের ১০৮ পৃষ্ঠা ), (তাফসীরে আহমদি-৪০১ পৃঃ)।

সেমা/সংগীতের প্রশংসা ও সমর্থনসূচক নিচের কিতাব গুলি দেখুনঃ
  • ইহইউয়াউল উলুম কিতাবে (লেখকঃ ইমাম
    গাজ্জালী রঃ),
  • আওয়ারিফ কিতাবে (বলছেনঃ শেখ সাহাব উদ্দিন সোহরাওয়ার্দী (রঃ)।
  • ইজাজ কিতাব (ইমাম আবু হানিফা রঃ এর সমর্থন),
  • কশফ কিতাবে, ওমদাতুলকারী কিতাবে (ইমাম মালেক রঃ

শানে মাওলা, নাতে রাসুল, শানে মোর্শেদ, শানে অলী-আল্লাহ, শানে নবী রাসুল ইত্যাদী সম্পর্কিত গান ১০০% জায়েজ।

সুতরাং যে গান মানুষের মনুষ্যত্ব জাগিয়ে আল্লাহর পথে পরিচালিত হওয়ার প্রেরনা জোগায় তা সম্পুর্ন জায়েজ। আর যে গানে অপসংস্কৃতি, বিনোদন, এবং ইসলামকে কটাক্ষ করে তা হারাম।