রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২

লুৎফার জন্ম দিন

০৫ জুলাই,২০০০ ইং

লুৎফার লেখা

হৃদয়ের অলিখিত যত কাব্য - আজ তোমায় নিয়ে
বিষাদ সিন্ধুর কল্লোল হারায় - তোমার  হাসির স্রোতে
এলোমেলো ভাবনাগুলো সাজে - তোমায় ঘিরে
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের উর্দ্ধে উঠে মন - তোমায় নিয়ে
পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব গুলো - তোমার খাতায় শূন্য
তোমার কথার কলকাকলিতে - শূন্য হৃদয় পূর্ণ
ভেঙ্গে যাওয়া সব বাঁধ গুলো আজ - তোমার জন্য গড়ে
তোমার বদনখানি মলিন হলে - হিয়ার ভেতর পুড়ে
তোমার দুষ্টুমিতে ভরা চোখের দৃষ্টি - মনে আনন্দস্রোত তোলে
শত যাতনার মাঝে ও মন - তোমায় দেখে ভুলে
তোমার ইচ্ছে স্রোতে মনখানি আজ - গা ভাসাতে চায়
তোমার যত শত হৃদয় ক্ষত - মন পূর্ণ করতে চায়
প্রেমিক চায় প্রেমিকের তৃপ্তি - আত্নতৃপ্তি চায় না সে
তোমার দৃষ্টির গভীর থেকে গভীরতরে ছুটে মন - সেই প্রেমিকের সন্ধানে
 
বি:দ্র:- আমি অখাঁটি ই রয়ে গেলাম!!! 
                               
       উৎসর্গ:- আমার প্রাণ প্রতিম প্রিয়তম "সাজু"

রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২

সেজদায়ে তাজেমী

সেজদায়ে তাজিমি কি ও কেন ?

সেজদায়ে তাজিমির বিরুদ্ধে বানানো হয়েছে একটি মাত্র হাদিস। তাও আবার হাদিসখানা একজনের দ্বারা বর্ণিত। পৌনে দু'শত বছর আগে উনি যাদের কাছে শুনেছেন উনাদের নামধাম বলতে না পারলেও উনি বলেছেন। মানুষ মানুষকে সেজদা দেবে এটা পছন্দ হবার কথা নয়। যত বড় দলিলই দেওয়া হোক না কেন, মানুষ যেহেতু আমিত্বের চার দেয়ালে বাস করে তাই সেজদায়ে তাজিমিকে হারাম বলা হয়েছে। অবশ্য সবাই নয়। কিছু কিছু আলেমেরা এর বিরোধিতা করেছে এবং করছে। কোরানের সূরা ইউসুফের একশত নম্বর আয়াতের পরিষ্কার দলিলটি যদি দেখিয়ে সেজদায়ে তাজিমির কথাটি বলতে চান, তবু মেনে নেবে না। কারণ যারা কিছুতেই মানবে না তাদের মানাবেন কেমন করে? এই সামান্য কথাটির যে কত দলিল কোরানে দেওয়া হয়েছে তাও কি বলতে হবে? যদি নাসেক মনসুখের কথা উঠাতে চান, তাহলে আজ পর্যন্ত এই সূরা ইউসুফের একশত নম্বর আয়াতটি মনসুখ করা যায় নাই। কারণ এই আয়াতটি মনসুখ করতে হলে অন্য আয়াতের প্রয়োজন। কিন্তু কোরানে এ রকম স্পষ্ট আয়াতের বিরুদ্ধে দলিল দেবার মতো একটি আয়াতও নেই । মওলানা জালালুদ্দীন সয়ুতির মতো জাঁদরেল আলেম এবং মোল্লা জীউনের মতো শরিয়তের সূক্ষ্মদর্শী ব্যক্তি এই আয়াতটিকে মনসুখ করে যাননি। মাত্র একজনের বর্ণিত হাদিস, যাকে হাদিসে ওয়াহেদ বলা হয় তথা খুবই দুর্বল হাদিস, সেটিকে সামনে রেখে কোরানের আয়াতটিকে কেটে দেয়। অথচ চার ইমাম বলেছেন কোরানের আয়াতকে কোন হাদিস দিয়েই কাটা যায় না এবং যাবার প্রশ্নই উঠতে পারে না। এতকিছু জানবার পরও তারা সেজদায়ে তাজিমিকে হারাম করেছে। কারণ সেজাদায়ে তাজিমি এদের কাছে পছন্দ হয় না। পছন্দ হয় না ভালো কথা, তাই বলে কি হারাম করে দেবেন? এতবড় সত্যটিকে হারাম যে করা যায় না কোন অবস্থাতেই, তাও বোধ হয় এদের জানা থাকার কথা। যারা প্রকৃত জ্ঞানী, যারা জ্ঞান গবেষণাকে আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা ও সমীহ করেন তারা জানেন যে, এই সেজদায়ে তাজিমি জায়েজ অর্থাৎ হারাম নয়। কারণ মহানবীকে প্রাণীরা যে সেজদা করেছে তারও বহু দলিল আছে। প্রাণীরা সব সময় তৌহিদে বাস করছে। এটা আমার কথা নয় বরং কোরানের ঘোষণা। সুতরাং প্রাণীকুল তৌহিদে বাস করছে বলা হলে শেরেক করার প্রশ্নই আসতে পারে না। কারণ যারা তৌহিদে সব সময় বাস করছে তারা কেমন করে শেরেক করে? শেরেক করার প্রশ্নই আসতে পারে না। অথচ মহানবীকে সেজদা করেছে। মহানবীকে সেজদা করা যদি শেরেক হতো, তাহলে তিনি মানা করতেন, পবিত্র পা মোবারক অবশ্যই সরিয়ে নিতেন। হযরত ইউসুফ (আঃ) অতি উঁচু মাপের নবী এবং তাঁর বাবা হযরত ইয়াকুব (আঃ) ও বড় নবী। তাদের নাম এবং ঘটনাবলী কোরানে বলা হয়েছে। হযরত ইউসুফ নবীকে উঁচু আসনে বসিয়ে তাঁর বাবা হযরত ইয়াকুব নবী সেজদা করলেন। আরবী শব্দটি হলো লাহু অর্থাৎ তাঁর পা মোবারকে। নবী নবীকে সেজদা করার দলিল কোরানে পেলাম। একটু ভেবে দেখুন তো! বিষয়টি অবাক করার মতো নয় কি? বাবা নবী ছেলে নবীকে সেজদা করছেন। আমরা সমাজে বাস করি। কিন্তু এখানে সমাজও কি কিছুটা অবাক হবে না? কারণ বাবা কেমন করে ছেলেকে সেজদা করেন? এই একবিংশ শতাব্দীতেও যদি এমন দৃশ্য আমরা দেখি, তাহলে অবাক-এর উপর অবাক হবো। আমাদের সমাজ বাবাকে ছালাম করতে বলে কিন্তু একি দৃশ্যের বর্ণনা কোরানে পাই যে, বাবা তাঁর ছেলেকে সেজদা করছেন। তাও আবার সবচাইতে ছোট ছেলেকে সেজদা করছেন। কেবল বাবাই সেজদা করেননি বরং সেই পরম প্রিয় মা-ও তাঁর ছোট ছেলেকে তথা ইউসুফ নবীকে সেজদা করলেন। আমরা জানি, মা এর পায়ের তলে সন্তানের বেহেস্ত। অথচ সেই মা সেজদা করছেন তাও আবার ছোট ছেলেকে। এই বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তোলে। সেজদা দেবার মাঝে কি কোন বিরাট রহস্য লুকিয়ে আছে, যা আমাদের সাধারণ বিচার বুদ্ধিতে ধরা পড়ছে না? তারপর বড় বড় এগারো ভাইও সেজদা করলেন। কোরান কিন্তু সোজাসুজি বলছে এবং কোন রূপকের আশ্রয় নিয়ে নয়! এই সেজদাকে কোরান কিন্তু সেজদায়ে তাজিমি বলেনি, কেবল সেজদার কথা বলা হয়েছে। আমরা শাস্ত্রবিশারদরা এই সেজদাকে ভাগ করে নিয়েছি। তাই আমরা কোরানের বর্ণিত এই সেজদাকে “সেজদায়ে তাজিমি” ল। অনেক বড় বড় অলীরা তো এই সেজদাকে ভাগ করে বলেননি! আমি শাস্ত্রবিশারদদের পথ অনুসরণ করে বলছি যে এই সেজদা “সেজদায়ে তাজিমি” তথা সম্মানের সেজদা। কোরানের এই আয়াতটি হুবহু তুলে ধরছি এজন্য যে, দেখুন তো সেজদায়ে তাজিমির কথাটি বলছে কি-না! “ওয়া রাফা আবাওয়াইহি ওয়া খাররু লাহু সুজ্জাদা।” এর পরেও কি আমরা অস্বীকার করতে চাইবো? ভালো না লাগে সেজদা দেবেন না। তাই বলে কি ধানাই পানাই করে এবং অনেক কথার মারপ্যাচ দিয়ে নাজায়েজ করতে চাইবেন? এই বিবেকটাকে একটু নিরপেক্ষ করে দেখুন তো! আপনার বিবেক কি বলে? ভালো লাগে না অথবা মন চায় না তাই সেজদা করবো না বলা এক কথা। আর এরকম সেজদা করাটা নাজায়েজ বলা সম্পূর্ণ অন্য কথা। এর পরেও কি আপনি একটি মাত্র হাদিস তাও আবার সনদ ছাড়া, একজনের বর্ণিত, তাও আবার প্রায় দু'শত বছর পরে, এ রকম একদম দুর্বল হাদিস দিয়ে কোরানের আয়াতটিকে বাদ করে দিতে চাইছেন? যেখানে চার মাযহাবের চার ইমাম এবং যারা মাযহাব মানেন না তারাও এক বাক্যে বলছেন যে, হাদিস দিয়ে তা সেই হাদিস যত সহীহ হোক না কেন, সেই হাদিস দিয়ে কোরানের আয়াতকে বাদ বা অচল করাতো যাবেই না, বরং বাদ করার প্রশ্নই উঠতে পারে না। যারা হাদিস দিয়ে, কোরানের আয়াত বাদ করতে চাইবে তারা বিরাট ভুল এবং অন্যায় করবে। তারপরেও আমরা সেজদায়ে তাজিমির বিষয়টি নিয়ে মাঠে ময়দানে বাহাস করি। মুসলমান ভাইকে অনেক রকম ফতোয়া দিয়ে গালমন্দ করি। এই সামান্য বিষয়টি নিয়ে যদি মুসলমানে মুসলমানে মারামারি দলাদলি করি তাহলে নিম্নতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে সবাই এক হতে পারবো কি? মহা ঐক্যের বদলে এই বড় ফাটলগুলো মুসলমানদেরকে কোথায় নামিয়ে এনেছে। এই বিষয়টি নিয়ে বড় বড় আলেমদের মতামত দলিলসহ তুলে ধরলেই কি সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে? কারণ যারা নাজায়েজ বলছেন আমি তাদের একটি মাত্র কথা বলেই শেষ করতে চাই যে, .............. (চলবে)

পর্ব _১

গ্রন্থ: সূফীবাদ আত্মপরিচয়ের একমাত্র পথ (পৃষ্ঠা: ১০৭-১০৮)

- চেরাগে জান শরিফ বিনয়ের সম্রাট ডা. কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা-ইমান আল সুরেশ্বরী।

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

কে ইমাম মাহদী আ.

আসুন যেনে নেই ইমাম মেহেদী (আ) কে? তিনি কি উপস্থিত আছেন নাকি আসার অপেক্ষায় আছেন।

একজন শুদ্ধ চিত্তের মানুষ পুত-পবিত্র তার ব্যাহিক এবং অভ্যন্তরীণ সকল কিছুই পবিত্র ও সৌন্দর্য মণ্ডিত কারন তিনি সালাতি, সালাতই হল সকল সৌন্দর্যের মুল। একজন সাধারণ মানুষ যখন সম্যক (পরিপূর্ণ,পরিপূর্ণতা একমাত্র নির্বানে (লা-মোকামে)) গুরুর কাছে এসে আত্মসমর্পণ করে তখন থেকে সে তার  জীন স্বভাব ত্যাগের মোহড়া দিতে শুরু করে এর পর রুপান্তরিত হয়ে ইনসান (যে তার ভুল সম্পর্কে জাগ্রত বা সচেতন) হন এর পর পর্যায় ক্রমে মোত্তাকী,সলেহী,আমানু,মোমিন হন যখন সে মোমিন হয় তখন সে অবস্থান করে জান্নাতে তাঁর পর সালাতের (ধ্যান) মাধ্যমে ধীরে ধীরে লা এর দিকে অগ্রসর হন তথা মোকামে মাহমুদার দিকে, নির্বানের দিকে কাফগুন (আল্লার ছয়টি গুনবাচন নামের সমষ্ঠি) সম্পূর্ণ হয়ে তিনি মুক্তির স্বাদ গ্রহন করেন অর্থাৎ তিনি এখন আর জন্ম মৃত্যুর অধিনে নেই সকল প্রকার বন্ধন মুক্ত হয়ে তিনি এখন স্বাধীন। কাফ শক্তির অধিকারী হয়েছেন তিনি। কাফ শক্তি গুলা নিচে তুলে ধরা হল।
১)ক্বাইউমুন= চিরস্থায়িত্বের শক্তি। ক্বাইউমু= স্থায়িত্ব নির্ধারিত করা হইল।
২)কুদ্দুসুন= দুর্বল এবং অধঃপতিতকে উন্নত মর্যাদা দানকারী শক্তি।
৩)ক্বাবিউন= চিরঞ্জীব শক্তির উৎস। ক্বাবিউ= সৃষ্ট শক্তিশালী হইয়া উঠিল।
৪) ক্বাদিরুন= সুপরিমিত দান কারী শক্তি। তক্বদির দাতা শক্তি।
৫)কাহ্‌হারুন= অপ্রতিহত ক্ষমতা। মৃত্যু দানকারী শক্তি। ক্বাহ্ হারু= ধ্বংসকারী। ‘না’ কে ধ্বংস করা হইল। অর্থ যাহা ক্ষণস্থায়ী এবং মিথ্যা তাহা ধ্বংস করা হইল। অর্থাৎ ‘যাহা নহে’ তাহাই ধ্বংস করা হইল।
৬)ক্বাবিদুন- ক্বাবিদু= নিয়ন্ত্রক। সৃষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করা হইল। ভাঙ্গন ক্রিয়ার শক্তি বর্ধিত করিয়া সৃষ্টি হইতে কোন কিছু নিশ্চিহ্ন করিয়া ফেলার শক্তি সৃষ্টকে দান করা হইল।

মাওলা নজরুলের (আ) ভাষায় বললে এই ভাবে বলতে হয়। বল  বীর -বল  মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
       চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
       ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
       খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
       উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!

এমন একজন সত্তাই হলেন ইমাম মেহেদী(আ). তিনি যুগে যুগে উপস্থিত আছে কামেল (জ্ঞানী) গুরু (যিনি অন্ধার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যান) রুপে। একজন সম্যক গুরুই হলেন ইমাম মেহেদী (আ) তার কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে তথা আনুগত্যের বাইয়াত গ্রহন করে মুসলমান হতে হয়।

আমিই মওলা (তোমাদের অভিভাবক)
আমিই মাহদী(আমিই হেদায়ত কারী)
আমিই খিজির (অর্থাৎ আমার মধ্যে খিজির আ. এর
গুণাবলি বিদ্যাবান)

(বানীঃহযরত গাউছুল আজম ইমামুল আউলিয়া মাজহারে নুরে খোদা মওলা রহমান সৈয়্যদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী কেবলা কাবা)

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২

অসমাপ্ত /লুৎফা

তুমি হলে আমার জন্য খোদার প্রেরিত এক "শামস তাব্রিজ" - যে জাহেরি জ্ঞানের অন্ধকার থেকে স্বর্গীয় আলোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে!!
 অথবা তুমি এমনই!!
শুধু আমার জন্য নয় হয়তো - তুমি;
অথবা আমি যা উপলব্ধি করেছি - তাই! 
তৃপ্তি যে কষ্ট ভোগ করার মাঝে থাকে - আজ যে সেটাই খুঁজে পাই!
খুঁজেছিলাম সুখ এত দিন নিয়ম নীতির মাঝে - আজ তাই হারিয়ে যেতে মন পাগল পাগল সাজে!
আমার জন্য তুমি এক মহাসত্যের দিশারী - আমি তাই আজ নিজের মাঝেই অজানাকে খুঁজে ফিরি!
হর্ষ - বিষাদ, পাওয়া না পাওয়ার অঙ্ক হলো সাঙ্গ -
অসীমে যাওয়ার প্রবল বাসনায় - নিজেকে নিজেই ভাঙ্গব!
আমার মনের পিঞ্জর থেকে তোমায় মুক্তি দিলাম - না পাওয়ার বেদনার মাঝে মুক্তি খুঁজে নিলাম!
তুমি থেকো তোমারই মতো - উড়ন্ত পাখি হয়ে!
অক্লান্ত পথিক আমি হাঁটব - অজানা পথে!
অকূল পাথারে আমি হারাব নিজেকে - মহাসত্যের কূলে আমি খুঁজে পাব তোমাকে!
হিয়ার প্রতিটি মর্ম পীড়ায় বাজবে তোমারই সূর - আমি তথায় উন্মত্ততার নৃত্যের মাঝে বিভোর!
স্বর্গ সূধা না পাওয়ার মাঝে তাই যেনেছি আজ - নিজের ভেতর সাজবো আমি চরম বেদনার সাজ!
প্রাপ্তি আমার তাতেই যে হয় জীবন দিয়ে জেনেছি - হারবো না আর কারো কাছে আজ নিজের কাছেই হেরেছি! 
                - অসমাপ্ত -