আসুন যেনে নেই ইমাম মেহেদী (আ) কে? তিনি কি উপস্থিত আছেন নাকি আসার অপেক্ষায় আছেন।
একজন শুদ্ধ চিত্তের মানুষ পুত-পবিত্র তার ব্যাহিক এবং অভ্যন্তরীণ সকল কিছুই পবিত্র ও সৌন্দর্য মণ্ডিত কারন তিনি সালাতি, সালাতই হল সকল সৌন্দর্যের মুল। একজন সাধারণ মানুষ যখন সম্যক (পরিপূর্ণ,পরিপূর্ণতা একমাত্র নির্বানে (লা-মোকামে)) গুরুর কাছে এসে আত্মসমর্পণ করে তখন থেকে সে তার জীন স্বভাব ত্যাগের মোহড়া দিতে শুরু করে এর পর রুপান্তরিত হয়ে ইনসান (যে তার ভুল সম্পর্কে জাগ্রত বা সচেতন) হন এর পর পর্যায় ক্রমে মোত্তাকী,সলেহী,আমানু,মোমিন হন যখন সে মোমিন হয় তখন সে অবস্থান করে জান্নাতে তাঁর পর সালাতের (ধ্যান) মাধ্যমে ধীরে ধীরে লা এর দিকে অগ্রসর হন তথা মোকামে মাহমুদার দিকে, নির্বানের দিকে কাফগুন (আল্লার ছয়টি গুনবাচন নামের সমষ্ঠি) সম্পূর্ণ হয়ে তিনি মুক্তির স্বাদ গ্রহন করেন অর্থাৎ তিনি এখন আর জন্ম মৃত্যুর অধিনে নেই সকল প্রকার বন্ধন মুক্ত হয়ে তিনি এখন স্বাধীন। কাফ শক্তির অধিকারী হয়েছেন তিনি। কাফ শক্তি গুলা নিচে তুলে ধরা হল।
১)ক্বাইউমুন= চিরস্থায়িত্বের শক্তি। ক্বাইউমু= স্থায়িত্ব নির্ধারিত করা হইল।
২)কুদ্দুসুন= দুর্বল এবং অধঃপতিতকে উন্নত মর্যাদা দানকারী শক্তি।
৩)ক্বাবিউন= চিরঞ্জীব শক্তির উৎস। ক্বাবিউ= সৃষ্ট শক্তিশালী হইয়া উঠিল।
৪) ক্বাদিরুন= সুপরিমিত দান কারী শক্তি। তক্বদির দাতা শক্তি।
৫)কাহ্হারুন= অপ্রতিহত ক্ষমতা। মৃত্যু দানকারী শক্তি। ক্বাহ্ হারু= ধ্বংসকারী। ‘না’ কে ধ্বংস করা হইল। অর্থ যাহা ক্ষণস্থায়ী এবং মিথ্যা তাহা ধ্বংস করা হইল। অর্থাৎ ‘যাহা নহে’ তাহাই ধ্বংস করা হইল।
৬)ক্বাবিদুন- ক্বাবিদু= নিয়ন্ত্রক। সৃষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করা হইল। ভাঙ্গন ক্রিয়ার শক্তি বর্ধিত করিয়া সৃষ্টি হইতে কোন কিছু নিশ্চিহ্ন করিয়া ফেলার শক্তি সৃষ্টকে দান করা হইল।
মাওলা নজরুলের (আ) ভাষায় বললে এই ভাবে বলতে হয়। বল বীর -বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
এমন একজন সত্তাই হলেন ইমাম মেহেদী(আ). তিনি যুগে যুগে উপস্থিত আছে কামেল (জ্ঞানী) গুরু (যিনি অন্ধার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যান) রুপে। একজন সম্যক গুরুই হলেন ইমাম মেহেদী (আ) তার কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে তথা আনুগত্যের বাইয়াত গ্রহন করে মুসলমান হতে হয়।
আমিই মওলা (তোমাদের অভিভাবক)
আমিই মাহদী(আমিই হেদায়ত কারী)
আমিই খিজির (অর্থাৎ আমার মধ্যে খিজির আ. এর
গুণাবলি বিদ্যাবান)
(বানীঃহযরত গাউছুল আজম ইমামুল আউলিয়া মাজহারে নুরে খোদা মওলা রহমান সৈয়্যদ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী কেবলা কাবা)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন