স্রষ্টার আমানত কি? ------------------- স্রষ্টার অতি আদরের সৃষ্টি মানুষ. একে তিনি সৃষ্টি করলেন নিজ হাতে. শুধু নিজ হাতে সৃষ্টি করেই তিনি ক্ষান্ত হলেন না. তিনি নিজের রূহ থেকে প্রাণ ফুৎকার করে দিলেন এর ভেতর. অথচ অন্য সমস্ত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তা হয়নি. সমস্ত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তিনি আদেশ করেছেন 'কুন' অর্থাৎ 'হয়ে যাও' আর হয়ে গেছে. কিন্তু ব্যতিক্রম হয়েছে একমাত্র মানুষ নামক এই সৃষ্টিটির ক্ষেত্রে. এটা তাঁর ভালোবাসারই একটি বড় নিদর্শন. অথচ এই মানুষ স্রষ্টার সৃষ্ট মহাজগতের তুলনায় অতিশয় ক্ষুদ্র. পুরো মহাবিশ্বের তুলনায় পৃথিবী নামক গ্রহটাই যেখানে ধূলি কণার চেয়ে ছোট, সেখানে একজন মানুষের অবস্থান কোথায় তা চিন্তাও করা যায় না. অথচ সেই ক্ষুদ্র মানুষটিই ধারণ করে আছে স্রষ্টার দেওয়া রূহ, পরম আত্মা শুধু মাত্র আদমের জন্য অন্য কোন প্রাণী কে দেয়া হয় নাই. এবং মনি দুই ধরনের হয় সাধারন মনি আর মনি রাজ. মনি রাজ শুধু মাত্র আদম সন্তান কে প্রদান করা হয়. অন্য কোন প্রাণী কে দেয়া হয় না. সর্বশক্তিমানের দেওয়া আমানত.
আমি ভেঙে দিব না যারা তরিকত পন্থি তারা বুঝবেন.
আল্লাহ পাহাড়কে এই আমানত গ্রহণ করতে বলেছিলেন, কিন্তু পাহাড় অপারগতা প্রকাশ করেছে. কিন্তু মানুষ তা গ্রহণ করেছে, যদিও আল্লাহর ভাষায় তারা মানুষ সেই আমানত নিয়ে নিজেদেরকে অযোগ্যই হিসেবে প্রমাণ করেছে. কথা সেটা নয়, মানুষের এই ব্যর্থতা থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ এই মানুষের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখছেন. নিজে নিজের পথ চলায় সীমাবদ্ধতা থাকায় আল্লাহ তাদেরকে যুগে যুগে পথপ্রদর্শক পাঠিয়ে এসেছেন. এবং মনে করিয়েছেন সেই আমানতের কথা এবং বলেছেন হিসাবের কথা তাহলে কি সেই হিসাব? আল্লাহর বেশ কয়েকটি গুণ আছে যা অন্য কতক গুণকে ছাড়িয়ে গেছে. এর মধ্যে দয়া-মায়া, ক্ষমা উপল্পধি ইত্যাদি, ছাড় দেওয়া উল্লেখযোগ্য. মানুষের উপর এই বিশেষ গুণগুলো আল্লাহ সর্বদাই বর্ষিত করতে থাকেন. এমনকি তার অনুগত একজন মো'মেন বান্দার প্রতিও তিনি সদা-সর্বদা নজর রাখেন. তাঁদের সম্মানও তাঁর কাছে অপরিসীম. রসুলাল্লাহ বলেছেন, একজন মো'মেনের সম্মান কাবা ঘরের প্রতিটি ইট খুলে বিক্রি করলেও সমান হবে না.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন