মানুষ যখন তরিক্বতের, হাক্বিকতের ও মা’রেফাতের চূড়ান্ত পর্যায় চলে আসবে তখনই মানুষ শুনতে ও দেখতে পাবে যে রূহ্ বিষয়টি কি। তবে রূহ সম্বন্ধে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে যেতে চেষ্টা করতে পারি?
মুসা নবীকে বলা হইয়াছে- “মুসা কালামুল্লাহ্, নাকি কালামু আল্লাহ্?”
দাউদ নবীকে বলা হইয়াছে-“দাউদ জাব্বুরউল্লাহ্, নাকি জব্বুর আল্লাহ্?”
ঈসা নবীকে বলা হইয়াছে- “ঈসা রূহুল্লাহ্, নাকি ঈসা রূহ্ আল্লাহ্?”
মুহাম্মদ নবীকে বলা হইয়াছে- “মুহাম্মদ রাসুুলউল্লাহ্, নাকি মুহাম্মদ রাসুল আল্লাহ্?”
কোরয়ানে আল্লাহ কি উল্লাহ শব্দটি বলিয়াছেন, নাকি আল্লাহ শব্দটি বলেছেন, এই নিয়েও দন্দ্ব চলে ওলামাদের সাথে এবং পীর ওলীদের সাথে। যাহারা উল্লাহ বলে তাহারা ওলামাগণ এবং যাহারা আল্লাহ বলেন তাহরা ওলি, আউলিয়া, কামেল পীর-ফকির। যদি ঠিক করিয়া পড়া হয় রাসুল উল্লাহ হয় না, রাসুল আল্লাহ হয়। যদি ঠিক করিয়া পড়া হয় রূহ্ উল্লাহ হয় না, রূহ্ আল্লাহ হয়।
তাহলে আমরা বুঝবো কি? রূহ্ আল্লাহ নাকি রূহ্ উল্লাহ? সাধারণ লোকেরা বলে থাকে আল্লাহ নির-আকার যে আল্লাহ দেখা যায় না, তাহলে রূহকে কেউ দেখেছে, না! দেখে নাই; তাহলে রূহও তো নির-আকার। যদি কেহো বলে না! রূহ্ দেখা যায়, রূহ্ নির-আকার নয়। তাহলে আমি বলবো রূহ্ যদি দেখা যায় তাহলে আল্লাহকেও দেখা যায়। রূহের মধ্যেই আল্লাহর বসত এবং রূহ বাতাসের মধ্যে বসত এবং বাতাস আরো এক প্রকার বাতাসের মধ্যে বসত। এই রূহ্ বাতাসের সঙ্গে বসত করিয়া মানব দেহে প্রবেশ করিয়া থাকেন, এই রূহটাকে দেখলে সাধনার দ্বারা আল্লাহকেই দেখা হয়; কারণ রূহের অস্তিত্বের মতই আল্লাহর অস্তিত্ব, রূহের রূপ ছুরতের মতোই আল্লাহর রূপ ছুরত। রূহ যেই ভান্ডের রূপ ধরে, আল্লাহ্ সেই ভান্ডেরই রূপ ধরে। এখন রূহ্ কি? আল্লাহ্ কি? এবং বাতাস কি? আপনাদের জ্ঞানেই সাড়া দিবেন।
- সূত্র: শরীয়তের পেট থেকে হাক্বিকত ও মারেফাতকে উদ্ধার,
বিশ্ব আধ্যাত্নিক জ্ঞান সঞ্চার দরবার শরীফ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন