বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১৮

ভুল সবই ভুল। তৃতীয় পর্ব

প্রসঙ্গ : ওয়াক্তিয়া নামাজ
প্রচলিত মতে, শেষ নবী কর্তৃকই নাকি মেরাজ হতে নামাজ আমদানী করা হয়েছে; অথচ শেষ নবীর পূর্ববর্তী সকল নবী-রসুলের আমলেই সালাত পালনের কথাটি কোরান স্বীকার করছে, যথাঃ (২:১৫, ৩:৪৩, ২:৮৩); তাহলে সেই সমস্ত পয়গম্বরগণ তাদের অনুসারীদের কোন নামাজ শিক্ষা দিতেন বা কি ধরণের নামাজ তারা পালন করতেন, যেহেতু পরবর্তীতে শেষ নবী কর্তৃক মেরাজ হতে আনিত সেই কথিত নামাজের কোন অস্তিত্বই ছিল না তখন ? আরও মজার ব্যপার হচ্ছে, পূর্ববর্তী নবীগণের অনুসারীদের মাঝে কোন আনুষ্ঠানিক ওয়াক্তিয়া নামাজ পালনের প্রথা প্রচলিত ছিল না । এ সম্পর্কে ঐশী গ্রন্থ সমূহ- কোরান, ইঞ্জিল, যাবুর তাওরাত এর কোথাও কোন উল্লেখ নেই । সুতরাং, প্রশ্ন হচ্ছে যে, তাহলে সেই সমস্ত উম্মতগণ কোন নামাজ পালন করতেন ? এবং কিরূপেই বা তা আদায় করতেন ? যেহেতু কোরান স্পষ্ট ভাষায় সেই সকল নবীগণের উম্মতদের সালাত পালনের কথাটি স্বীকার করছেন ! আরও লক্ষ্য করুন, নবী মোহাম্মদ (স.) মক্কায় অবস্থান কালেও ওয়াক্তিয়া নামাজ প্রচলিত ছিল না । কিন্তু আশ্চর্যের ব্যপার হলো, কোরানের ১১৪ টি সূরার মধ্যে ৮৬ টি সূরাই মক্কাতে অবতীর্ণ হয়েছে, আর মক্কায় নাজেল হওয়া অধিকাংশ সূরাতেই সালাতের কথা উল্লেখ রয়েছে; তাহলে উক্ত সূরাগুলোতে কোন নামাজের কথা বলা হয়েছে, যেহেতু তখন কোন নামাজই ছিল না ? এ জিজ্ঞাসাগুলোর কোন জবাব আছে কি অনুষ্ঠান-প্রিয় নামাজীদের কাছে ? তবে কি আমরা ধরে নিতে পারি যে, উক্ত আয়াতগুলো এবং কোরানে বর্ণিত সালাত বলতে কোন আনুষ্ঠানিক ওয়াক্তিয়া নামাজকে বোঝানো হয়নি বরং দায়েমী সালাতকে বোঝানো হয়েছে, যা পূর্বেও ছিল এবং এখনও আছে ? কোরান তো বলতেছেঃ অতীতের সব নবীদের ক্ষেত্রেও ছিল একই বিধান, তুমি কখনও আমার বিধানে পরিবর্তন পাবে না (১৭:৭৭);।
আরও বিবেচনার বিষয় হচ্ছে যে, কোরানের যে সমস্ত আয়াতগুলোকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান-প্রিয় আলেমগণ নামাজের ওয়াক্ত সৃষ্টি করে থাকেন, হাস্যকর বিষয়- সেই সমস্ত আয়াতগুলোতে সালাত শব্দটি নাই । হযরত বড়পীর এবং খাজা বাবা সালাতুল উস্তা বা মধ্যবর্তী সালাত বলতে আসরের নামাজ না বলে অন্তরের নামাজ বলেছেন ।
আরও লক্ষ্য করুন, মহানবীকে মেরাজে নিয়ে যাবার কথাটি কোরানে ঠিকই উল্লেখ আছে, কিন্তু নবী (স.) কর্তৃক মেরাজ হতে আমদানীকৃত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্বপূর্ণ কথাটি কোরানের কোথাও উল্লেখ নাই ।
বলা হয়ে থাকে- এক ওয়াক্ত নামাজ বাদ পড়লে নাকি কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে, অথচ বান্দার সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ নামাজের বিষয়টি বিধাতা ভুল করেন এড়িয়ে গেলেন! কিন্তু বিধাতা ভুল করলেও পরবর্তীতে এজিদী রাজ শক্তি ও আব্বাসীয়ারা তাদের পোষা আলেমগণ কর্তৃক কোরানের দায়েমী সালাতের ধর্ম দর্শনকে বাদ দিয়ে উহার স্থলে ওয়াক্তিয়া নামাজকে কোরানের প্রকৃত সালাত বলে চালিয়ে দিতে একটুও ভুল করেনি!

লেখাটি সংগৃহিত 


এবার যে আয়াত দিয়ে ওয়াক্ত করা হয় সেগুলো উল্লেখ করছি

সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন এবং ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ মুখোমুখি হয় (সুরা বনী-ইসরাঈল ১৭:৭৮)”


 অতএব তোমরা আল্লাহর তাসবীহ কর, যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে এবং সকালে উঠবে (৩০.১৭)।আর অপরাহ্নে ও যুহরের সময়ে; আর আসমান ও যমীনে সকল প্রশংসা একমাত্র তাঁরই (৩০.১৮)”

 

“এবং দিবসের দুই প্রান্তভাগে এবং রজনীর প্রথমভাগে সালাত কায়েম কর। কারণ যা ভালো তা অবশ্যই মন্দকে দূরীভূত করে । যারা [তাদের প্রভুকে] স্মরণ করে এটা তাদের জন্য এক উপদেশ (১১.১১৪)”

 

“সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। (সুরা বাকারা ২:২৩৮)”

 

আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না (সুরা আরাফ :২০৫)

 

কুরআনের এই আয়াতগুলো দিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ বের করা বেশ কষ্ট কল্পনা। ২:২৩৮ আয়াতে বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি যত্মবান হতে বলা হয়েছে। তাহলে ধরা যায় অন্যান্য নামাজগুলো ‘বিশেষ’ নয় এবং তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই নয় কি?


ভুল সবই ভুল দ্বতীয় পর্ব

কথায় কথায় একদল বলে যে নবিজিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ছেন।এমনকি অসুখেন সময়েও কাযা করেননি।হা কথাটা অবশ্যই সত্যি।পাচ ওয়াক্ত নামায তিনি পড়েছেন।কিন্তু কখন পড়েছেন বা কি পররিস্থিতিতে পড়েছেন তার কোন খবর নাই এসব কানা মোল্লার।নবিজিত মক্কায় বহু বছর কাটিয়েছেন।অনেককে মুসলিম বানিয়েছিলেন।কিন্তু তখন ত কায়েম করেননি তা।যখন মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন,সমাজ,অর্থ,বিচার ব্যবস্থা সব কুরআনের আইনে বাস্তবায়ন ও সকল ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করেন তারপর ৫ ওয়াক্ত নামায কায়েম করেন।কুরআনেই আছে যে সমাজ কুরআনের আইন দ্বারা পরিচালিত হয়না,মনুষ্য আইন দ্বারা পরিচালিত হয় সেটা কুফরি সমাজ।সেখানে শরিয়ত পালনে কোন ফায়দা নাই।নবিজি ইসলামি ব্যবস্থা ও ওয়াক্তিয়া নামাজ কায়েম করেন যেন ধনি গরিব এক কাতারে দাড়ায় সকল বিভেদ ভুলে ও একে অপরের খোজ খবর নিতে পারে।বিপদে একে অপরকে সাহায্য করতে পারে।কিন্তু আজকের সমাজ দেখুন কোনরকম দায়সাড়া নামায পড়ে।নামায শেষ হলে কে কার আগে বের হবে সে প্রতিযোগিতা করে।এটা সামাজিক এমন একটা বিষয় বানিয়েছে যে কুরআনে উল্লিখিত দায়েমি সালাত অনেকটা ধামাচাপা পড়ে গেছে।আর যে ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়েনা সে যতই চরিত্রবান হউক তাকে মূল্যায়ন করা হয়না।তাই অনেক হক্কানি পির সামাজিকতা রক্ষার জন্য নিজে ও মুরিদদের নামায পড়তে হুকুম দেন।কিন্তু গুরুর প্রতি একনিষ্ঠ ধ্যনই প্রকৃত সালাত।যেসব মোল্লারা নবিজির ওয়াক্তিয়া নামায ও দাড়ি টুপি লেবাসের দোহাই দেয় ও বলে দাড়ি না থাকলে কেমন মুসলিম,দাড়ি নাই পির কেমনে এদেরই নবিজির অন্য কাজগুলো যেমন নবিজি প্রথম বিয়ে বয়সে বড় বিধবা নারি করেছেন,অন্যান্য বিয়ে তালাকপ্রাপ্ত অসহায় নারি বিনাসার্থে করেছেন,খাবার আগে ৪০ বাড়ি খোজ নিয়ে খেতেন,সব সম্পদ বিলিয়ে দিছেন,যুদ্ধে নিজে অংশগ্রহন করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন।এসব কাজের কথা এদের বলুন দেখবেন সহজে তাদের মুখও দেখবেননা।এরা সরকার বিরোধি আন্দোলনে এতিম মাদ্রসার ছেলেগুলোকে পুলিশের বন্দুকের সামনে ঠেলে দেয়।নিজেরা আয়েসে থাকে।নিজেদের ছেলেদের মাদ্রাসায় না পড়িয়ে বিদেশে ইংলিস মিডিয়ামে পড়ায়।এদেশেত কম নামাযি নেই কিন্তু এদের চরিত্র আর দেশের অবস্থা দেখলে বুঝাই যায় নামায কতটা কবুল হয়!এরা নামাযে দাড়িয়ে বহু হিসাব করে,জুতা চুরির চিন্তা করে,বউয়ের জন্য কোন শাড়ি কিনবে তার চিন্তা করে।ত যেহেতু নবিজির ওয়াক্তিয়া নামাযের দোহাই দেয় ত তাদের হিসেবে নবিজিও এসব হয়ত করতেন নামাযে দাড়িয়ে!
একটি কথা বলে শেষ করছি যে বিখ্যাত অলি হযরত রুমি রঃ শরিয়ত ও ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়ে অলি হননি।বরং পিরের কথায় শরিয়ত ছুরে ফেলে গুরুর প্রতি গোলামি ও ধ্যন করার পরই মারেফত পেয়েছিলেন।(সকল অলিগন নয়)।গুরুর হুককুমই শরিয়ত।গুরু যা বলবে তাই করা আবশ্যক।তাতে ওয়াক্তিয়া সালাত বা বাহ্যিক শরিয়ত থাকুক বা না থাকুক।জয় মুর্শিদ।

লেখাটি সংগৃহিত 

ভুল সবই ভুল প্রথম পর্ব

"ভুল সবই ভুল" -- (পর্ব - ১)
প্রসঙ্গ : নামাজ
যে হাদিসটি ওয়াক্তিয়া নামাজের একমাত্র ভিত্তি, সেটা নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই । সাধারণত হযরত আনাস হতে বর্ণিত হাদিসটিকে কেন্দ্র করেই ওয়াক্তিয়া নামাজের কথা বলা হয়ে থাকে । কিন্তু চোখ কান খুলে একটু গবেষণা করলেই হাদিসটির সত্যতা সম্পর্কে আসল আর নকল বিষয়টি পরিষ্কার ধরা পড়ে যায় । আল্লাহ সুযোগ সময় কিছু চিন্তা না করেই অবিবেচকের মত বান্দার উপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ চাপিয়ে দিলেন, আর মহানবীও (স.) অজ্ঞ, অবোঝ ও সুবোধ বালকের মত তা নিয়ে চলে আসার পথে বুদ্ধিমান নবী মুসার (আ.) নির্দেশে আবার ফেরত গিয়ে ৫ ওয়াক্ত কমিয়ে ৪৫ ওয়াক্ত নামাজ আনলেন । একইভাবে নামাজ নিয়ে আসার পথে আবারও মুসা নবীর সাথে দেখা হলো এবং পূর্বের ন্যায় মহানবী ও আল্লাহ একই ভুল করাতে মুসা নবী আবারও মহানবীকে অনুরোধ করে বুঝিয়ে দিলেন নামাজ কমিয়ে আনার জন্য । এমনিকরে প্রথমবার ৪৫ ওয়াক্ত, দ্বিতীয়বার ৪০ ওয়াক্ত, পরে ৩৫ ওয়াক্ত, এভাবে ৩০, ২৫, ২০, ১৫, ১০ ওয়াক্ত সব মিলিয়ে ৪৫ ওয়াক্ত কমিয়ে অবশেষে ৫ ওয়াক্ত করলেন । বিষয়টি লক্ষ্য করুনঃ মুসা নবীর নির্দেশে নবীদের সর্দার হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (স.) এরূপ ৯ বার আসা যাওয়া করে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসলেন । যদিও মুসা নবী আল্লাহ ও মহানবীর সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ৫ ওয়াক্তেও অবজেকশন দিয়েছিলেন অর্থাত্‍ আপত্তি জানিয়ে ছিলেন । বন্ধুগণ, যদি হাদিসটি সত্য বলে ধরে নেয়া হয় তবে আল্লাহর চরিত্র এবং মহানবীর চরিত্রকে অতিশয় ছোট করা হবে । আর আল্লাহ ও মহানবীর সিদ্ধান্তে বার বার অবজেকশন দেয়ার অপরাধে হযরত মুসা নবীকে (আ.) চরম বেয়াদব ও আদব-কায়দাহীন চরিত্রের মানুষ হিসেবে ধরে নিতে হবে (যদিও তাহারা প্রত্যেকেই অতি উত্তম চরিত্রের অধিকারী); হাদিসটিতে নবীদেরকে খোদার আদেশ লঙ্ঘনকারী হিসেবে অঙ্কিত করা হয়েছে; অথচ কোরান বলতেছেঃ নবীগণ আল্লাহর আদেশের তিল পরিমাণ সংযোজন, সংকোচন, অস্বীকার বা প্রতিবাদ করেন না (সূরা হাক্বা); হাদিসটিতে খোদা নিজের কথাকে বহুবার রদবদল করেছেন তাও অল্প সময়ের ব্যবধানে; অথচ কোরান বলতেছেঃ আল্লাহর বিধানে কোন রদবদল হয় না (৩৫:৪৩) এবং আল্লাহর কথা ও কাজে কোন পরিবর্তন হয় না (সূরা আহজাব); হাদিসটিতে দেখা যাচ্ছে খোদা নিষ্ঠুরের ন্যায় তাঁর বান্দাকে সাধ্যাতীত দায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছেন; অথচ কোরান বলছেঃ আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করেন না (সূরা আরাফ, সূরা বাকারা); এভাবে দেখতে পাই যে, ওয়াক্তিয়া নামাজের এই হাদিসটি কোরানের সম্পূর্ণ বিপরীত । তবে কি মহানবীকে ছোট করার চক্রান্তে এবং আল্লাহ-নবীর দায়েমী সালাতের দর্শনকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এই হাদিসটি পরবর্তিতে রচনা করা হয়েছিল ? কেননা, হাদিসটিতে মহানবীকে উম্মতের জন্য অযোগ্য, অদূরদর্শী, চরম জ্ঞানহীন রূপে অঙ্কিত করা হয়েছে । পাশাপাশি আল্লাহকেও অবিবেচক, কান্ডজ্ঞানহীন, কথার রদবদলকারী, উম্মতের উপর জুলুমকারী, ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে । আর মুসা নবীকে শ্রেষ্ঠ নবী মোহাম্মদ (স.) এবং আল্লাহর চেয়েও জ্ঞানী ও বিচক্ষণ রূপে অঙ্কিত করা হয়েছে । যেহেতু আল্লাহ ও মহানবী যা ঠিকঠাক মতো বুঝে উঠতে সক্ষম হন নাই তা মুসা নবী ঠিকই আগাম জানতে ও বুঝতে পেরেছেন এবং আল্লাহ-নবীর ভুল সিদ্ধান্ত মুসা নবী কর্তৃক ৯ বার সংশোধিত হয়েছে । হাদিসের নামে এটা কি নবী-বিদ্বেষীদের চক্রান্ত নয় ? এটা কি কোন গাজাখুরী, মিথ্যা, বানোয়াট, জাল হাদিস নয় ? তানাহলে যা মুসা নবীর মগজে ঢুকলো অথচ মহানবীর মগজে ঢুকলো না, এমনকি আল্লাহর মগজেও ঢুকলো না কেন ? এত কিছুর পরও যদি হাদিসটি সত্য বলে কেউ ধরে নিতে চায় তবে কোরানের বাণীগুলো মিথ্যা হয়ে যায় এবং আল্লাহ ও মহানবীর চরিত্রের অস্তিত্ব থাকে না, আর যদি হাদিসটি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে শরিয়তের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের যে বাধ্যবাধকতা বা যে কোন শর্তে অবশ্য পালনিয় তা মিথ্যা প্রমাণিত হল।

লেখাটি সংগৃহিত 

বুধবার, ২৭ জুন, ২০১৮

পুনঃ চতুর্থ

আল কুরআনে জন্মান্তরবাদ (৪র্থপর্ব)
=========================
অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় দরদী মহল, জন্মান্তরবাদ নিয়ে লিখতে গিয়ে অনেকের অনেক মন্তব্য জানতে পেরে ভাল লাগছে।  আরবের আরবি ভাষায় বাংগালীদের জন্য ধর্ম পালন করা অনেকটা পরজীবী লতার মতোশুধু ঢালে ঢালে নিংড়ায়ে যাওয়ার মতো।  কারন একেক পন্ডিতের একেক রকম ব্যাখ্যা !
আবার বলা হয় আরবি শব্দের একাদিক অর্থ হয় যার কারনে একটি আয়াত দ্বারা সুবিধা মতো অর্থ করে অনায়াসেই নিজেকে বড় পন্ডিত বানাতে পারছি।

সরাসরি পবিত্র কুরআন থেকে দলিল দেওয়ার পরও অর্থটাকেই উল্টে দিয়ে আবার আল্লাহর উপর মিথ্যা মন্তব্য চাপিয়ে দেওয়া হয়।  হায়রে ধার্মিকতা ?
নিজের অপরাধে নিজে শাস্তি পেয়ে আল্লাহকে দোষী করলাম,  আল্লাহর উপর দোষ চাপিয়ে দিলাম এই বলে যে সবই আল্লাহর ইচ্ছা!
প্রিয় পাঠক সমাজ আমি চুরি ডাকাতি খুন হত্যা রাহাজানি সন্ত্রাসবাদী সবই করলাম আর বললাম সবই আল্লাহর ইচ্ছা,  আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়েনা।  আল্লাহর হুকুমেই যদি আমি জীবন যাপন করি তবে আমার আবার হিসাব নিকাশ কিসে হবে? 

সুরা ত্ব হা এবং সুরা রুমের দুটি আয়াতে স্পষ্টাক্ষরে আল্লাহ ঘোষনা দিলেন মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে আসার কথা,  কিন্তু ওগুলি নাকি গ্রহণযোগ্য হবার নয়,  কিছু মানুষ হাদিসের রেফারেন্স খুঁজে।  অথচ উজবেকিস্তানের ইসমাইল চাচা হাদিস লিখেছে মহানবীর মৃত্যুর ২৫০ বছর পরে।  সেই হাদিসটাই গ্রহনযোগ্য হলো আর আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ গ্রন্থ পবিত্র কুরআন,  এই কুরআন গ্রহনযোগ্য হলোনা।  বুঝলামনা ধর্মটা আল্লাহর নাকি বোখরার ইসমাইল চাচার?
আল্লাহর ধর্ম পালন করতে গিয়ে যারা মানুষের লিখা বইকে প্রধান্য দেয় তাহারাই সবচেয়ে বড় শিরককারি তথা মুশরিক ।
যারা আল্লাহর গ্রন্থের সাথে অন্য গ্রন্থ তুলনা করে বা শরিক করে  তারাই কালের শ্রেষ্ঠ মুশরিক তাতে কোন সন্দেহ নাই।  প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজ পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে আরেকটি দলিল পেশ করলাম পুনর্জন্ম নিয়ে।  আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন

كيف تكفرون بالله وكنتم اموتا فاحياكم ثم يميتكم ثم يحيكم ثم اليه ترجعون.

সুরা বাকারা আয়াত ২৮
অর্থঃ তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করো?  অথচ তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দান করেন অতঃপর জীবিত করেন (ছুম্মা ইউমিতুকুম)  তারপর আবার মৃত্যু দেন অর্থাৎ ধ্বংস করে দেন (ছুম্মা ইউহয়িকুম)  তারপর আবার জীবিত করেন (ছুম্মা ইলাইহি তুরজাউন)  অতঃপর যেন তাহার দিকেই তোমরা ফিরে যেতে পার। 

এখানে বার বার জীবিত আর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে অনেকেই তথা স্থুল জ্ঞানী মৌলবী সাহেবরা মরার পরে কবরে জীবিত হওয়ার কথাই বুঝায়।  কিন্তু কবরে জীবিত হওয়া এবং কবরে আবার মৃত্যু বরন করা কি কখনো সম্ভব?  আবার কবর থেকে আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়ার ব্যপারটা পুরোই জগাখিচুড়ি।
কারন মৃত্যুর পর নাহয় বুঝলাম আমাকে জীবিত করলো কবরে হিশাব নিকাশ নেওয়ার জন্য,  তারপর আবার আমাকে কবরে মারবে কেন?  আবার তার দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলবে কেন?

যারা বলেন জন্মান্তরবাদ হিন্দু ধর্মীয় একটি ভ্রান্তিমূলক কথা তাদেরকে বলতে চাই ভাল করে কুরআন বুঝুন।  আল্লাহ যদি হিন্দুদের জন্মান্তরবাদ কুরআনে উল্লেখ করে তৃপ্তি পায় আমার আপনার অস্বস্তিবোধ করার কিছুই নাই।  একটু মিলিয়ে দেখলে বুঝবেন পৃথিবীর সব ধর্মই এক। 
ধর্মে ধর্মে শুধু নামটাই ভিন্ন কিন্তু সকল ধর্মের একই উদ্দেশ্য।  আল্লাহ নিজেই সকল ধর্মকে বিশ্বাস করতে বলছে পবিত্র কুরআন শরীফে । এবিষয়ে পরবর্তী পোস্টে লিখার আশা রাখলাম,  যদি রহমান রব করুনা করেন।

পুনঃ তৃতীয়

আল কুরআনে জন্মান্তরবাদ (৩য় পর্ব)
==========================
ধর্মের সবচেয়ে বড় রহস্য জন্মচক্র এই কথাটি বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকে এজিদি শিক্ষায় শিক্ষিত আরবি পড়া মাথা মোটা কামুক মোল্লার দলেরা।
মানব রচিত কতগুলো বই পড়ে কিছু কথা শিখে
   চলছে  হরদম কথার সওদাগরি, 
      আহারে মই লাজে মরি। 
            মগজে তাদের হীন কারবারী
       কোথায় সাধুর আলৌকিক তরবারি  ??
মোহাম্মদ থেকে শুরু করে পৃথিবীর সব বড় বড় মহামানবদের বিরোধিতা করেছে কথা বেপারি পন্ডিতরা।  আজও সেই ধারাবাহিকতায় চলছে আমার সোনার দেশ !!!
ভেবেছিলাম সরকারের পরিবর্তনে মৌলবাদ ঘাপটি মারবে কিন্তু বিপরীত রেজাল্টে চিন্তার রেখা কপালে দিয়েছে দেখা।  এভাবে চলতে থাকলে অভ্যন্তরীণ ধর্মীয় কোন্দলে শুরু হতে পারে আরবি চিত্র।

কুরআনকে ব্যবসায়িক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে লুটেরা ধর্মবেত্তাদের রোষানলের ফাঁদ থেকে রেহাই না পাওয়া সাধারণ মানুষ জালিমদের প্রধান খাদ্য। আমাকে হুমকি দমকি দিয়ে কি হবে?  একজন মানুষের সর্বশেষ ধ্বংস মৃত্যু তারপরে আর কি আছে ???
তবে মনে রেখ জনম থেকে জন্মান্তরে আমি শুধু শক্তি নিয়েই আসবো  ।।

আল্লাহতো মহা নিরপেক্ষ সে কারো উপর কারো দোষ চাপিয়ে দেয়না,  তাহলে শাবদুলের মেয়ে হাত কাটা আঙ্গুল বিহীন পা কাটা আঙ্গুল বিহীন অবস্থায় কেন জন্মালো? 
ওভেরির স্থান সংকুলানের কারনে হাত পা ত্যাড়া বাকা হতে পারে কিন্তু তাই বলে কাটা থাকবে? 
কোন মহামানবদের জন্মের ত্রুটিবিচ্যুতি হলোনা সব পাপি তাপিদের কেন এত ত্রুটিবিচ্যুতি?
তাছাড়া মানুষ যদি ইসলাম ধর্মের আল্লাহই তৈরি করে থাকেন,  তো সৃষ্টির সময় আল্লাহ দেখেননি কতটুকু জায়গা আছে , কিভাবে বানাতে হবে  ???
আল্লাহকি জায়গাটা বড় করতে পারেননি? 
জায়গাই যদি বড় করতে না পারেন তবে তিনি কি করে মানুষ সৃষ্টি করেছেন ?

তারপর সারা রাত প্রায় ১০০ মৌলবী দিয়ে ( সেখানে একজন আল্লাহর বুজুর্গ অলিও ছিল ) কুরআন খতম,  খতমে ইউনুস,  খতমে জালালি, খতমে খাজেগান, খতমে রুহানি, খতমে কাদেরি, মোজাদ্দেদি আরও কত খতম পড়লো কই হাত পায়ের আঙ্গুল তো গজিয়ে উঠলোনা  !  আল্লাহর অলীর দোয়া ফুলবানুর জন্য অমৃত হলোনা  !  যেমন হয়নি স্বয়ং মহানবীর দোয়া চাচা আবুজাহেলের জন্য। 

শাবদুল মানুষের প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এটা সত্য কিন্তু মাসুম বাচ্চা মেয়েটিতো রুহের জগতে থেকে কারো সাথে কোন পাপ করেনি। 
রুহের জগতে বিচরণ করেওকি কোন পাপ করা যায়? 
যদি রুহের জগতেই পাপ পুণ্য হতো তবে কেন দেহ ধারন করে পৃথিবীতে আসা যাওয়া?
আর যদি আল্লাহ নিরপেক্ষ না হয়ে একজনের পাপের জন্য অন্যজনকে শাস্তি দিয়ে থাকেন তাহলেতো সকল ধর্মই মিথ্যাচারী।
শাবদুলের মেয়ে যদি শাবদুলের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে তাহলে আল্লাহই তো সর্বকালের সেরা স্বৈরাচারী  ???
আল্লাহয়তো শ্রেষ্ঠ সাম্প্রদায়িক  ???
কিন্তু ঈশ্বর নিজেই যদি স্বৈরাচারী এবং সাম্প্রদায়িক হয় তাহলে তাঁর ভক্তরা আর কি করবে  ???
এ কিছুতেই হতে পারেনা আমার মাথা মোটা তাই বুঝিনা,  গ্লাস দিয়ে পানি খেয়ে অব্যাস্ত মানুষ আমি সাগরে হাবুডুবু খেয়ে মৃত্যুবরন করছি, এজন্য পবিত্র ভগবানের কোন দোষ নাই।

হে মাথা মোটা কামুক ফতুয়াবাজ শ্রদ্ধাভাজন পরভাষায় কুশিক্ষিত দাদারা কথায় কথায় স্রষ্টাকে আর কত দোষ দিবেন  ? না বুজে স্রষ্টাকে দোষারোপ করতে করতেই আজ বেশি অধপতনের নিম্ন পাদদেশে পদধূলিত হচ্ছে ধর্ম আর কুকর্ম।  বিষ জেনে খেলেও বিষে ধরে না জেনে খেলেও বিষে ধরে,  সে কভু নাহি  ক্ষমা করে  ।।
ভুল বুঝে খেলেও বিষ আমাকে ক্ষমা করবেনা ইভেন নবী দঃ এর নাতি হাসান রাঃকেও ক্ষমা করেনি।
কারন জন্মান্তরবাদ অস্বীকার করলে আল্লাহ দোষি হয়ে যায়,  আর যদি জন্মান্তরবাদ বুঝতে শিখি তবে দেখি শাবদুলের মেয়ে ফুলবানু নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত নিজেই করছে।  যেহেতু সে আগের জনমে একজন ডাকাত ছিল, মানুষকে হাত পা কেটেছে, মেরেছে, তাই শাস্তিটা এই জনমে নিজেই ভোগ করে দেখছে যে অঙ্গবিহিন জীবনটার স্বাধ কেমন লাগছে !!!

আপনিও পূর্ব জনমের সব কিছু অবগত হতে পারবেন এ জন্য হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী স্রষ্টার সাধনায় যখন নিজেকে বিলিন করে দেওয়া যায় তখন কোন কিছুই তাপসের অজানা থাকেনা।

এই শাস্তিময় মানব জনম কিংবা শান্তিময় মানব জনম পাওয়ার জন্য কোন কীট পতঙ্গ বা প্রাণীর জনম ঘুরে আসার কি দরকার  ?  সরাসরি মানব জনমেই আমি শাস্তি পেতে পারি,  যারা বলেন ৮৪ হাজার জনমের পর মানব জনম কিংবা ৮৪ লক্ষ যোনী ভ্রমনের পর একবার মানব জনম হয় এটা চরম মিথ্যা বিভ্রান্তি এবং ভাবে মরা মারফত কর্মীদের তথা আউলা বাউলাদের কথা ।
এ নিয়ে পরবর্তী পোস্টে বিস্তারিত লিখবো বলে আশা রাখলাম।
প্রিয় পাঠক সমাজ আমল বিহীন এলেম নোঙর বিহীন নৌকার মতো মাঝ দরিয়ায় ঘুরতে ঘুরতে উল্টে যায়,  তদ্রূপ বর্তমান সমাজের ফতুয়াবাজ আর বাউলাবজ সম্প্রদায় একই তরীর আগায় পাছায় চড়ে ধর্মের গতি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে প্রলাপ বকছেন, আর দুধ না পাওয়া ছোট বাচ্চা আমি শুধু শুধু লাফাচ্ছি  !!!
কি হবে আমার ভেবে পাচ্ছিনা ,,,
             হে আল্লাহ ভগবান ঈশ্বর গড
                    তুমি সহায় হও না প্লিজ  ...

   --- চলবে

পুনঃ দ্বিতীয়

আল কুরআনে জন্মান্তরবাদ (২য় পর্ব)
*********************************
প্রথম পর্বে জন্মান্তরবাদ নিয়ে যখন কোরানিক ডকুমেন্ট উপস্থাপন করলাম তখন বাজারে বিক্রি হওয়া সস্তা তরজমা পড়ে পণ্ডিত জ্ঞানী আরবী প্রেমিকরা আমার ব্যাখ্যার ভুল ধরতে কোন সময় নেয়নি,  অথচ আমি বলেছিলাম দাদা,  একটু বুঝার চেষ্টা করুন আল্লাহ সরাসরি বলেছেন মৃত্যুর পর পৃথিবীতে জীবিত করেন এই কথাটা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন কোন ইশারা ইঙ্গিত উদাহরণ দিয়ে বলেন নি।  তাছাড়া সুরা রুমের ঐ আয়াতটা মুহকামাত তথা স্পষ্ট হুকুমত।
আয়াতে মুহকামাতকে পেচিয়ে মনের মত করে ভাবার কোন সুযোগ নেই কারন ওটা স্পষ্ট ঘোষণাপত্র। 
সুরা মায়িদার ১৫ নং আয়াতে আল্লাহ পবিত্র কুরআন সম্পর্কে বলেছেনঃ
             وكتب مبن

           ওয়া কিতাবুম মুবিন 
অর্থঃ এবং আমি স্পষ্ট গ্রন্থ পাঠিয়েছি মানে কুরআন স্পষ্টভাষী তাতে ভাবের কিছুই নাই। 
প্রিয় দরদী সকল যে গ্রন্থ অধ্যয়ন করে আমি হেদায়ত খুঁজবো সেটা যদি ভাবের হয় স্পষ্ট কোন দিক নির্দেশনা না থাকে তাহলে সারা জীবন পড়লেও আমি পথের দিশা পাবনা সুতরাং কুরআন একটি স্পষ্ট গ্রন্থ,  নিজের মন মত তাকে বুঝা যাবেনা। 
যাই হোক এরকম আরো অনেক ডকুমেন্ট জন্মান্তরবাদের উপর আছে কিন্তু অন্তরদৃষ্টির অন্ধত্বের কারনে আমরা খুঁজে পাইনা, নিজের মানসিক সংকীর্নতার কারনে নিজে বুঝার চেষ্টাও করিনা।  বেতন ভুক্ত কর্মচারী তথা আরবী শিক্ষিত মোল্লা মুন্সির বয়ান শুনে সুবাহান আল্লাহ শব্দের ঢেউ তুলে স্বর্গের দরিয়া পার হয়ে যাই। 
আজ আরেকটি দলিল দিচ্ছি কুরআন থেকে যে আয়াতটির সাথে পৃথিবীর সব মুসলিমরাই পরিচিত।  অথচ এর সঠিক অর্থ জানেনা বলেই অধিকাংশ মানুষ গাফেল হয়ে আছে।  আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে ঘোষনা করেনঃ

منها خلكنكم وفيها نعيدكم ومنها نخرجكم تارة اخراي
সুরা ত্ব - হা  আয়াত ৫৪
অর্থঃ মিনহা খালাকনাকুম- আমরা তোমাকে যেখান থেকে সৃষ্টি করেছি,  ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম - এবং সেখানে তোমাকে আহ্বান করবো,  ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম - এবং সেখান থেকেই তোমাকে বের করে দিব,  তারাতান উখরা-  যেন অন্যান্য বা বিভিন্ন বিষয় দেখতে পারো।  তারাতান শব্দের অর্থ দেখতে পারা আর উখরা শব্দের অর্থ বিভিন্ন বা অন্যান্য ইত্যাদি।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ উপরোক্ত আয়াতের হুবহু অনুবাদটাই আমি করলাম আপনিও ডিকশনারী খুলে শব্দের অর্থ জেনে নিয়ে মিলায়ে নিতে পারেন। 

উক্ত আয়াত পৃথিবীর সব মুসলিমরাই মৃত দেহ দাফন করার সময় পাঠ করে এই জন্য যে তুমি যেখান থেকে এসেছ সেখানে আবার পাঠিয়ে দিলাম আবার আসবে যাবে এই সিস্টেম।  এখানে আয়াতের মধ্যে মাটি কিংবা সৃষ্টির কথা কোথাও নাই, যদি কোন পণ্ডিত দেখাতে পারে সারা জীবন তার পদতলে গোলামী করবো। 

আল্লাহ জাল্লা তায়ালা আমাকে সৃষ্টি করে কিংবা আমার রুহ তথা শক্তিটা যেখানে রেখেছেন সেখান থেকেই পাঠিয়েছেন আবার সেখানেই নিয়ে যাবেন সেখান থেকেই আবার বের করে দিবেন পৃথিবীতে বিচরনের উদ্দেশ্যে। 
অনেকেই বলেন ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম দ্বারা কবরের জীবনকে বুজিয়েছেন কিন্তু খারাজা শব্দের অর্থ বের করে দেওয়া,  আর এখানে বলা হয়েছে আমরা আবার তাকে বের করে দেই। সুতরাং রুহের জগত থেকে বের করে আবার পৃথিবীতে বিচরনের কথাই বলা হয়েছে।  পবিত্র কুরআন শরীফের ভাষায় তাই পরিলক্ষিত হয় এবং পৃথিবীর আবহমান কাল থেকে আবর্তের মাপকাঠিতে একথাই প্রমানিত।

কিন্তু মাথা মোটা ধর্ম বেপারীরা গবেষণা করতে আদৌ রাজি না হয়ে গবেষকদের ফতুয়ার রোষানলে পতিত করার ব্যর্থ অপচেষ্টা করে যুগে যুগে কালে কালে ধর্মকে শুধুই কলুষিত করেছে, আর গবেষকরা হয়েছে মহিমান্বিত। 
প্রিয় পাঠক বৃন্দ ৩য় পর্বে জন্মান্তরবাদ নিয়ে মারিফত পন্থিদের ও কিছু মিথ্যা তত্ত্ব তুলে ধরার প্রচেষ্টা করবো।
সংগেই থাকুন,

পুনঃ প্রথম

আল কুরআনে জন্মান্তরবাদ (১ম পর্ব )
===========================
জন্মগ্রহণ করেছি একটা সাইনবোর্ড ব্যবহার করে,  পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ এক কথায় প্রতিটি জীবই একটি প্লাটফর্ম নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে।  জন্মের পর থেকেই প্রতিটি প্রানি ধারকের সাহায্য সহযোগিতায় বেড়ে ওঠে।  তাই নিজের কোন স্বাধীন জ্ঞানকে বিবেচনায় নিতে পারেনা যতক্ষণ না সে মেচিউড হয় জ্ঞান এবং ফিজিকালভাবে।
তাই স্বভাবগত ভাবেই নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ সহ সকল প্রাণীই গভেষনার ফসল ফলাতে অনেকটাই অক্ষম হয়।  সেজন্য পরিবেশ, জাতীয়তাবাদ,সমাজ, সাইনবোর্ড প্রায় সব কিছুই দায়ি।  এই সীমাবদ্ধতা থেকে বের হতে হলে প্রতিটি মানুষকেই নিজ দ্বায়িত্বে সৃষ্টি লজিক নিয়ে নিরপেক্ষ গবেষণা করা প্রয়জন মনে করি। 
প্রায় ধর্মেই শ্রদ্ধেয় মৌলবাদ তথা চরমপন্থী সম্প্রদায়ের জনাব জনাবারা ধর্মকে জটিল কুটিল করে থাকেন, আর এ জন্যই বর্তমান বিশ্বের জ্ঞানের যুগের মানুষেরা প্রচলিত ধর্মের লেবাসে কালি মেখে প্রতিনিয়ত নাস্তিকতার পথ বেছে নিচ্ছেন।  তাতে ধর্মের যে অপুরনীয় ক্ষতি হচ্ছে তা গলাবাজি করে বন্ধ করা যাবেনা। 
যাই হোক আলোচনা জন্মচক্র নিয়ে।
জন্মচক্র বলতেই আমরা আরবী ইসলামী অনুসারীরা মনে করি এটা হিন্দু ধর্মীয় একটি ভ্রান্তিমূলক কথা।  কিন্তু এই অমৃত বানীটিযে পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে সেটা আমরা অনেকেই জানিনা।  কারন আমরা যারাই একটু জানার চেষ্টা করি তারাই বাংলা অনুবাদ কিনে পড়ি এবং কুরআন বুঝার চেষ্টা করি। কিন্তু ধর্মের সেনসেটিভ বিষয় গুলো হুবহু অনুবাদ না করায় আরবের ইসলামের সাথে বাংলা ইসলামের হুবহু মিল নাই। 
জন্মচক্র একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ মেটার অথচ এটাকে পুরোই ঢেকে দিয়েছে ধর্ম বেপারী আরবী পন্ডিতরা। পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্টভাষায় বর্ননা হয় জন্মচক্র নিয়ে।  আল্লাহ বলেন ---

  يخرج الحي من الميت ويخرج الميت من الحي و يحيي الارض بعض موتها وكذلك تخرجون
সুরা রুম,  আয়াত ১৯
অর্থঃ আমি আল্লাহ মৃত থেকে জীবিত করি এবং জীবিত থেকে মৃত করি ( ওয়া ইউহয়িল আরদা)  এবং পৃথিবীতে জীবিত করি ( বাআদা মাওতিহা)  তাহার মৃত্যুর পরে এবং এভাবেই তোমাদের বের করে দেই। 
উপরের আয়াতে কারিমায় স্পষ্টই বলা হয়েছে ওয়া ইউহয়িল আরদা বাআদা মাওতিহা যার অর্থ হচ্ছে মৃত্যুর পর পৃথিবীতে জীবিত করা।  অথচ এই অনুবাদটি বাজারের কোন তাফসির বা অনুবাদেই অনুবাদক অনুবাদ করেনি ।

কিন্তু কেন তাদের অনুবাদে সত্য প্রকাশের এই চরম অনিহা আদৌ বোধগম্য নয়।  যদি সাধারণ  মানুষ বুঝতে সক্ষম হয় সে তার কর্মফল ভোগ করার জন্য আবার দেহ ধারন করে পৃথিবীতে অবতারন করবে নিশ্চয় একটু হলেও অন্যায় থেকে বিরত থাকতো। 
কিন্তু ঝোলা ব্যবসায়ী এই অনুবাদকরা চিন্তা করলেন মানুষ বেশি অন্যায় অত্যাচার পাপ গুনাহ না করলে আমাদের দ্বারে দ্বারে দোয়ার জন্য ঘুরবেনা আর আমরাও মুনাফা থেকে বঞ্চিত হবো,  দুনিয়াতে আমাদের চলার জন্য স্বাভাবিক কর্মের প্রয়জন হবে।

তাই যদি না হয় তাহলে এই আয়াত ১৪০০ বছর যাবত ধর্মবেত্তাগন পড়েই আসছে আর মিথ্যার ফুলঝুরি ছড়িয়ে এক রাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সুর দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করে।
এই রকম বহু বিষয়ে ধর্মবেত্তাগন নিজেদের মনগড়া মতবাদ প্রচার করে নিজের উদর পূর্তি করার হীন পায়তারায় মত্ত মাতাল। জানি অনেকেই আমাকে ভুল বলবে এবং ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টা করবে কিন্তু কি লাভ হবে বলুনতো ?

একবার নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে দেখুন আয়াতে কি বলা হয়েছে  ???
আসুন সকলে কুরআন বুঝার চেষ্টা করি ধর্মীয় মিথ্যাচার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি।

সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

বাবরি চুল রাখার নিয়ম

প্রশ্ন ঃ ইসলামিক শরীয়ত ভিত্তিক চুল রাখার নিয়ম কি। নবীজি কিভাবে চুল রেখেছেন এবং বাবরী চুল রাখার নিয়ম কিভাবে ও কি কি????

উত্তর-

بسم الله الرحمن الرحمن

রাসূল সাঃ সর্বদাই বাবরী রেখেছেন। তাই বাবরী রাখা রাসূল সাঃ এর সুন্নত।

বাবরী তিনি কিভাবে রাখতেন?

এ বিষয়ে তিন ধরণের বর্ণনা এসেছে। যথা-

ওয়াফরা তথা কানের লতি পর্যন্ত চুল।

লিম্মা তথা গর্দান ও কানের লতির মাঝামাঝি বরাবর বড় রাখা।

জুম্মা তথা ঘাড় পর্যন্ত আলম্বিত চুল।

عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «كَانَ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ» (سنن ابى داود، رقم الحديث-4185)

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ এর চুল তাঁর দুই কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল।  {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৮৫}

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوْقَ الْوَفْرَةِ، وَدُونَالْجُمَّةِ» (سنن ابى داود، رقم الحديث–

4187)

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ এর চুল ঘাড়ের উপর এবং কানের নীচ পর্যন্ত লম্বা ছিল। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৮৭}

عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ: «مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ أَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» زَادَ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ: «لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ» (سنن ابى داود، رقم الحديث-4183)

হযরত বারা বিন আজেব রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কোন ব্যক্তিকে কান পর্যন্ত বাবরীধারী, লাল ইয়ামেনী চাদরের আবরণে রাসূল সাঃ থেকে অধিক সুন্দর দেখিনি। রাবী মুহাম্মদ রহঃ অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন যে, তাঁর চুল ঘাড় পর্যন্ত লম্বা ছিল। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৮৩}

হজ্ব শেষে চুল কামানো, আর অন্য সময় উপরোক্ত তিন পদ্ধতির বাবরি রাখাই রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত। আর কোন পদ্ধতির চুল রাখার কোন বর্ণনা রাসূল সাঃ থেকে প্রমানিত নয়।

তাই বাবরি রাখাই রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত সুন্নত। অন্য কোন পদ্ধতি রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত সুন্নত বলা যাবে না।

হ্যাঁ, হযরত আলী রাঃ সহ আরো কিছু সাহাবী থেকে চুল কামিয়ে ফেলা প্রমাণিত। যা চুল কামানোকে জায়েজ প্রমাণিত করে। কিন্তু এটি রাসূল সাঃ এর সুন্নত বলা যাবে না। সাহাবায়ে কেরামের সুন্নত বলা যাবে।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ القَزَعِ»، وَالْقَزَعُ: أَنْ يُحْلَقَ رَأْسُ الصَّبِيِّ فَيُتْرَكَ بَعْضُ شَعْرِهِ (سنن ابى داود، رقم الحديث-4193)

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কুযা করতে নিষেধ করেছেন। “কুযা”  বলা হয়, বাচ্চার মাথার একাংশ কামিয়ে ফেলা, আরেকাংশের  চুল না কামানো। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৯৩}

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَتْ لِي ذُؤَابَةٌ، فَقَالَتْ لِي أُمِّي: لَا أَجُزُّهَا، «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمُدُّهَا، وَيَأْخُذُ بِهَا» (سنن ابى داود، رقم الحديث-4197)

হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার মাথায় চুলের খোঁপা ছিল। আমার মা বলেন, আমি তা কাটবো না। কেননা, রাসূল সাঃ তা ধরে লম্বা করতেন এবং কাছে টেনে নিতেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৯৭)

এবিষয়ে কারো কোন দ্বিমত থাকলে দলিল সহ কমেন্ট করুন।