বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১৮

ভুল সবই ভুল দ্বতীয় পর্ব

কথায় কথায় একদল বলে যে নবিজিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ছেন।এমনকি অসুখেন সময়েও কাযা করেননি।হা কথাটা অবশ্যই সত্যি।পাচ ওয়াক্ত নামায তিনি পড়েছেন।কিন্তু কখন পড়েছেন বা কি পররিস্থিতিতে পড়েছেন তার কোন খবর নাই এসব কানা মোল্লার।নবিজিত মক্কায় বহু বছর কাটিয়েছেন।অনেককে মুসলিম বানিয়েছিলেন।কিন্তু তখন ত কায়েম করেননি তা।যখন মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন,সমাজ,অর্থ,বিচার ব্যবস্থা সব কুরআনের আইনে বাস্তবায়ন ও সকল ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করেন তারপর ৫ ওয়াক্ত নামায কায়েম করেন।কুরআনেই আছে যে সমাজ কুরআনের আইন দ্বারা পরিচালিত হয়না,মনুষ্য আইন দ্বারা পরিচালিত হয় সেটা কুফরি সমাজ।সেখানে শরিয়ত পালনে কোন ফায়দা নাই।নবিজি ইসলামি ব্যবস্থা ও ওয়াক্তিয়া নামাজ কায়েম করেন যেন ধনি গরিব এক কাতারে দাড়ায় সকল বিভেদ ভুলে ও একে অপরের খোজ খবর নিতে পারে।বিপদে একে অপরকে সাহায্য করতে পারে।কিন্তু আজকের সমাজ দেখুন কোনরকম দায়সাড়া নামায পড়ে।নামায শেষ হলে কে কার আগে বের হবে সে প্রতিযোগিতা করে।এটা সামাজিক এমন একটা বিষয় বানিয়েছে যে কুরআনে উল্লিখিত দায়েমি সালাত অনেকটা ধামাচাপা পড়ে গেছে।আর যে ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়েনা সে যতই চরিত্রবান হউক তাকে মূল্যায়ন করা হয়না।তাই অনেক হক্কানি পির সামাজিকতা রক্ষার জন্য নিজে ও মুরিদদের নামায পড়তে হুকুম দেন।কিন্তু গুরুর প্রতি একনিষ্ঠ ধ্যনই প্রকৃত সালাত।যেসব মোল্লারা নবিজির ওয়াক্তিয়া নামায ও দাড়ি টুপি লেবাসের দোহাই দেয় ও বলে দাড়ি না থাকলে কেমন মুসলিম,দাড়ি নাই পির কেমনে এদেরই নবিজির অন্য কাজগুলো যেমন নবিজি প্রথম বিয়ে বয়সে বড় বিধবা নারি করেছেন,অন্যান্য বিয়ে তালাকপ্রাপ্ত অসহায় নারি বিনাসার্থে করেছেন,খাবার আগে ৪০ বাড়ি খোজ নিয়ে খেতেন,সব সম্পদ বিলিয়ে দিছেন,যুদ্ধে নিজে অংশগ্রহন করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন।এসব কাজের কথা এদের বলুন দেখবেন সহজে তাদের মুখও দেখবেননা।এরা সরকার বিরোধি আন্দোলনে এতিম মাদ্রসার ছেলেগুলোকে পুলিশের বন্দুকের সামনে ঠেলে দেয়।নিজেরা আয়েসে থাকে।নিজেদের ছেলেদের মাদ্রাসায় না পড়িয়ে বিদেশে ইংলিস মিডিয়ামে পড়ায়।এদেশেত কম নামাযি নেই কিন্তু এদের চরিত্র আর দেশের অবস্থা দেখলে বুঝাই যায় নামায কতটা কবুল হয়!এরা নামাযে দাড়িয়ে বহু হিসাব করে,জুতা চুরির চিন্তা করে,বউয়ের জন্য কোন শাড়ি কিনবে তার চিন্তা করে।ত যেহেতু নবিজির ওয়াক্তিয়া নামাযের দোহাই দেয় ত তাদের হিসেবে নবিজিও এসব হয়ত করতেন নামাযে দাড়িয়ে!
একটি কথা বলে শেষ করছি যে বিখ্যাত অলি হযরত রুমি রঃ শরিয়ত ও ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়ে অলি হননি।বরং পিরের কথায় শরিয়ত ছুরে ফেলে গুরুর প্রতি গোলামি ও ধ্যন করার পরই মারেফত পেয়েছিলেন।(সকল অলিগন নয়)।গুরুর হুককুমই শরিয়ত।গুরু যা বলবে তাই করা আবশ্যক।তাতে ওয়াক্তিয়া সালাত বা বাহ্যিক শরিয়ত থাকুক বা না থাকুক।জয় মুর্শিদ।

লেখাটি সংগৃহিত 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন