আল কুরআনে জন্মান্তরবাদ (৪র্থপর্ব)
=========================
অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় দরদী মহল, জন্মান্তরবাদ নিয়ে লিখতে গিয়ে অনেকের অনেক মন্তব্য জানতে পেরে ভাল লাগছে। আরবের আরবি ভাষায় বাংগালীদের জন্য ধর্ম পালন করা অনেকটা পরজীবী লতার মতোশুধু ঢালে ঢালে নিংড়ায়ে যাওয়ার মতো। কারন একেক পন্ডিতের একেক রকম ব্যাখ্যা !
আবার বলা হয় আরবি শব্দের একাদিক অর্থ হয় যার কারনে একটি আয়াত দ্বারা সুবিধা মতো অর্থ করে অনায়াসেই নিজেকে বড় পন্ডিত বানাতে পারছি।
সরাসরি পবিত্র কুরআন থেকে দলিল দেওয়ার পরও অর্থটাকেই উল্টে দিয়ে আবার আল্লাহর উপর মিথ্যা মন্তব্য চাপিয়ে দেওয়া হয়। হায়রে ধার্মিকতা ?
নিজের অপরাধে নিজে শাস্তি পেয়ে আল্লাহকে দোষী করলাম, আল্লাহর উপর দোষ চাপিয়ে দিলাম এই বলে যে সবই আল্লাহর ইচ্ছা!
প্রিয় পাঠক সমাজ আমি চুরি ডাকাতি খুন হত্যা রাহাজানি সন্ত্রাসবাদী সবই করলাম আর বললাম সবই আল্লাহর ইচ্ছা, আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়েনা। আল্লাহর হুকুমেই যদি আমি জীবন যাপন করি তবে আমার আবার হিসাব নিকাশ কিসে হবে?
সুরা ত্ব হা এবং সুরা রুমের দুটি আয়াতে স্পষ্টাক্ষরে আল্লাহ ঘোষনা দিলেন মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে আসার কথা, কিন্তু ওগুলি নাকি গ্রহণযোগ্য হবার নয়, কিছু মানুষ হাদিসের রেফারেন্স খুঁজে। অথচ উজবেকিস্তানের ইসমাইল চাচা হাদিস লিখেছে মহানবীর মৃত্যুর ২৫০ বছর পরে। সেই হাদিসটাই গ্রহনযোগ্য হলো আর আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ গ্রন্থ পবিত্র কুরআন, এই কুরআন গ্রহনযোগ্য হলোনা। বুঝলামনা ধর্মটা আল্লাহর নাকি বোখরার ইসমাইল চাচার?
আল্লাহর ধর্ম পালন করতে গিয়ে যারা মানুষের লিখা বইকে প্রধান্য দেয় তাহারাই সবচেয়ে বড় শিরককারি তথা মুশরিক ।
যারা আল্লাহর গ্রন্থের সাথে অন্য গ্রন্থ তুলনা করে বা শরিক করে তারাই কালের শ্রেষ্ঠ মুশরিক তাতে কোন সন্দেহ নাই। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজ পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে আরেকটি দলিল পেশ করলাম পুনর্জন্ম নিয়ে। আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন
كيف تكفرون بالله وكنتم اموتا فاحياكم ثم يميتكم ثم يحيكم ثم اليه ترجعون.
সুরা বাকারা আয়াত ২৮
অর্থঃ তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করো? অথচ তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দান করেন অতঃপর জীবিত করেন (ছুম্মা ইউমিতুকুম) তারপর আবার মৃত্যু দেন অর্থাৎ ধ্বংস করে দেন (ছুম্মা ইউহয়িকুম) তারপর আবার জীবিত করেন (ছুম্মা ইলাইহি তুরজাউন) অতঃপর যেন তাহার দিকেই তোমরা ফিরে যেতে পার।
এখানে বার বার জীবিত আর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে অনেকেই তথা স্থুল জ্ঞানী মৌলবী সাহেবরা মরার পরে কবরে জীবিত হওয়ার কথাই বুঝায়। কিন্তু কবরে জীবিত হওয়া এবং কবরে আবার মৃত্যু বরন করা কি কখনো সম্ভব? আবার কবর থেকে আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়ার ব্যপারটা পুরোই জগাখিচুড়ি।
কারন মৃত্যুর পর নাহয় বুঝলাম আমাকে জীবিত করলো কবরে হিশাব নিকাশ নেওয়ার জন্য, তারপর আবার আমাকে কবরে মারবে কেন? আবার তার দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলবে কেন?
যারা বলেন জন্মান্তরবাদ হিন্দু ধর্মীয় একটি ভ্রান্তিমূলক কথা তাদেরকে বলতে চাই ভাল করে কুরআন বুঝুন। আল্লাহ যদি হিন্দুদের জন্মান্তরবাদ কুরআনে উল্লেখ করে তৃপ্তি পায় আমার আপনার অস্বস্তিবোধ করার কিছুই নাই। একটু মিলিয়ে দেখলে বুঝবেন পৃথিবীর সব ধর্মই এক।
ধর্মে ধর্মে শুধু নামটাই ভিন্ন কিন্তু সকল ধর্মের একই উদ্দেশ্য। আল্লাহ নিজেই সকল ধর্মকে বিশ্বাস করতে বলছে পবিত্র কুরআন শরীফে । এবিষয়ে পরবর্তী পোস্টে লিখার আশা রাখলাম, যদি রহমান রব করুনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন